পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, সারাদেশে এখন অস্তিরতা বিরাজ করছে। রাজনৈতিক সংকট, রোহিঙ্গা সংকট, খাদ্য সংকট, প্রশাসনিক দূর্বলতা, আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতির চরম অবনতি, বিচার বিভাগসহ সর্বক্ষেত্রে অস্থিরতা বিরাজ করছে। দেশে এখন আইনের শাসন নেই বললেই চলে। তাই সাধারণ মানুষ নিজের হাতে আইন তুলে নিচ্ছে। গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলানায়তনে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যৌথ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
যৌথসভায় বক্তৃতা করেন গৃহপালিত বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি.এম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দীন আহমেদ বাবলু এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, শেখ সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল ইমাম এমপি, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, এটিইউ তাজ রহমান, মেজর অব. খালেদ আখতার, গোলাম মোহাম্মদ রাজু,
শফিকুল ইসলাম সেন্টু, জহিরুল আলম রুবেল, নুরুচ্ছাফা সরকার ও এ কে এম আসরাফুজ্জামান খান, শফিকুল ইসলাম মধু, ইয়াহিয়া চৌধুরী এমপি, মহসিন উল হাবলু, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা প্রমূখ।
এরশাদ আরো বলেন, দেশ নাকি মধ্যম আয়ের দেশ। অথচ তিন টাকায় ডিম কিনতে হাজার হাজার মানুষের হাঙ্গামা দেখি। এটা তো দৈন্যতার লক্ষণ, দারিদ্র্যের লক্ষণ, হীনমন্যতার লক্ষণ। আমরা সেই পর্যায়ে পৌঁছে গেছি। তিনি আরো বলেন, বিএনপি মাত্র দশ বছর ক্ষমতার বাইরে আছে। এর মধ্যে তারা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। আমরা ২৬ বছর ক্ষমতার বাইরে। কিন্তু জণগণের ভালোবাসায় জাতীয় পার্টি এখনও বাংলাদেশে জনপ্রিয় দল। বিএনপি আগামীকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে। তিনি দলীয় নেতাকর্মীর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তোমরা আমার নয় বছরের শাসনামলের উন্নয়ন কর্মকান্ড জণগণের কাছে তুলে ধরো না। অথচ প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনাররা সেই আমরা কর্মকান্ডের যে প্রশংসা করেছেন তাতে আমি অভিভুত হয়েছি। তারা সরকারী উচ্চ পদে থেকেও আমার প্রসংশা করেছেন।
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, মিয়ানমারে সেনা প্রধান বলেছেন রোহিঙ্গারা নাকি বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার গেছে, তারা বাঙ্গালী। সেনা প্রধানের এই বক্তব্যে পর মনে হয় না রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে পাঠানো যাবে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধণ্যবাদ দিয়ে তিনি বলেন, আপনি যতই কূটনৈতিক তৎপরতা চালান না কেন্ মনে হয় না তারা আর ফিরে যেতে পারবে বা মিয়ানমার ফেরত নেবে। তাই আমি অনুরোধ করবে তাদের কে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে যদি জাতীয় পার্টির সাহায্য প্রয়োজন হয়, আমরা সাধ্যমত সাহায্য করবো।
এরশাদ সারাদেশ থেকে আগত দলীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই। কিন্তু তোমরা মনে রেখো ক্ষমতা কেউ হাত তুলে দেয় না। ক্ষমতা আদায় করে নিতে হয়। এজন্য দলকে আরো সুসংগঠিত করতে হবে। রওশন এরশাদ বলেন, ক্ষতায় যেতে হলে দলকে আরো সুসংগঠিত করতে হবে। সাধারণ মানুষের কাছে জাতীয় পার্টির নয় বছরের উন্নয়ন কর্মকন্ড তুলে ধরতে হবে। জিএম কাদের বলেন, যারা দল থেকে বিশ্বাস ঘাতকতা করে চলে গেছেন তারা আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন। আবার অনেক পরিক্ষিত কর্মীও সঠিক মূল্যায়ন পাচ্ছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।