পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আজ ১৭ মার্চ। মার্চের প্রতিটি দিনই ছিলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আন্দোলনে উত্তাল মার্চ প্রতিদিনই একেক দিকে মোড় নিচ্ছিলো। তবে চূড়ান্তভাবে বাঙালি জনগণ যে স্বাধীনতা সংগ্রামের দিকেই যাচ্ছিল তা সময়ের পরিক্রমায় স্পষ্ট হয়ে ওঠছিলো। ১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীনতা আন্দোলন নতুন রূপ ধারণ করে। এ দিন বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের আন্দোলনকারীরা সশস্ত্র প্রস্তুতি নেন। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে, ছাত্র-ছাত্রীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় কুচকাওয়াজ ও রাইফেল প্রশিক্ষণ শুরু করে। ঢাকার বাইরেও ছাত্র-জনতা বাঁশের লাঠি নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বাঙালি সৈনিক ও পুলিশ সদস্যরা। এছাড়াও আরো একটি কারণে আন্দোলনের নতুন মাত্রা যোগ হয়। এদিনে প্রেসিডেন্ট হাউসে দ্বিতীয় দফা বৈঠকে বসেন শেখ মুজিব ও ইয়াহিয়া। প্রথম দিনে কোন পরামর্শদাতা না থাকলেও দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে দু’জনের পরামর্শদাতারাও উপস্থিত ছিলেন। কোন রকম ফল ছাড়াই আজকের বৈঠকও শেষ হয়। কিছুটা হতাশা নিয়েই বৈঠক থেকে বের হয়ে আসেন বঙ্গবন্ধু। পরিস্থিতির কারণে বঙ্গবন্ধু দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন। বৈঠকে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ পূর্ব বাংলার মানুষের গণতান্ত্রিক রায়ের ভিত্তিতে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয় তুলে ধরেন। এছাড়া ছয় দফার ভিত্তিতে প্রস্তাবিত সংবিধান প্রণয়নের যৌক্তিকতা উপস্থাপন করেন তাঁরা। আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রস্তাবে হতভম্ব হন ইয়াহিয়া এবং তার পরামর্শদাতারা। দুইদিন বৈঠক শেষে প্রেসিডেন্ট হাউসে রাতেই ইয়াহিয়া-টিক্কা খানের মধ্যে স্বল্প সময়ের জন্য গোপন বৈঠক হয়। বৈঠকে ইয়াহিয়া খান বঙ্গবন্ধুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘শয়তানটা ঠিকমতো কথাবার্তা বলছে না।’
এ দিন ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। ধানম-ির বত্রিশ নম্বরের বাসায় তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ছুটে আসেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের বলেন, আমি আমার জন্মদিনের উৎসব পালন করি না। আমার জন্মদিনে মোমের বাতি জ্বালি না, কেকও কাটি না। এই দুঃখিনী বাংলায় আমার জন্মদিনই বা কি, আর মৃত্যুদিনই বা কি? বাংলাদেশের জনগণের জীবনের কোন নিরাপত্তাই তারা রাখেনি। জনগণ আজ মৃতপ্রায়। আমার আবার জন্মদিন কী? আমার জীবন নিবেদিত জনগণের জন্য। এদিকে ইয়াহিয়ার টালবাহানায় ছাত্র নেতারা দারুণ ক্ষুব্ধ হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।