পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফারুক হোসাইন : ২৩ মার্চ। বাঙালির মুক্তি আন্দোলনের ইতিহাসে আরেকটি গৌরবোজ্জ্বল দিন। ১৯৭১ সালে এই দিনটি ছিল মঙ্গলবার। লাগাতার চলা অসহযোগ আন্দোলনের ২২তম দিবস। বঙ্গবন্ধুর ডাকে উত্তাল অহিংস-অসহযোগ আন্দোলনে পাকিস্তান দিবসের বিপরীতে আজ সারা বাংলাদেশে পালিত হয় লাহোর প্রস্তাব দিবস। আর স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ও স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বানে দিনটি পালিত হয় প্রতিরোধ দিবস হিসেবে। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে আজ ছিল সাধারণ ছুটির দিন। ঢাকাসহ সারাদেশের প্রতিটি বাড়িতে, যানবাহনে, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার ভবনসমূহের শীর্ষে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পরিষদ ভবন, সুপ্রীমকোর্ট, হাইকোর্ট, জজকোর্ট, বঙ্গবন্ধুর বাসভবন, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালসহ (বর্তমানে রূপসী বাংলা) সকল প্রতিষ্ঠানে কালো পতাকার পাশাপাশি স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত বাংলার মানুষের প্রাণের পতাকা উত্তোলিত হয়। রাজধানী ঢাকা পরিণত হয় পতাকার নগরীতে। কড়া প্রহরাবেষ্টিত প্রেসিডেন্ট ভবন, গভর্নর হাউস এবং ক্যান্টনমেন্ট ছাড়া আর কোথাও পাকিস্তানের পতাকা দেখা যায়নি। এছাড়া ঢাকার নেপাল, ইরান, ইন্দোনেশিয়া ও চীনা দূতাবাসে প্রথমে পাকিস্তানী পতাকা উত্তোলন করা হলেও পরে তা নামিয়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করে। এইদিন স্বাধীন বাংলার পতাকা তোলা হয় সোভিয়েত কনস্যুলেট ও ব্রিটিশ হাইকমিশনেও। অবশ্য স্বাধীন বাংলা বা পাকিস্তান কোন দেশের পতাকাই তোলা হয়নি ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে। এইদিন লাঠি ও বন্দুকের মাথায় পতাকা বেধে মিছিল বের করা হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সঙ্গে কালো পতাকাও উড়ানো হয় ৭১ সালের মার্চ মাসের আজকের দিনে। জয় বাংলা বাহিনীর আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ ও মহড়া অনুষ্ঠিত হয় পল্টন ময়দানে। এ বাহিনীর সদস্যরা সামরিক কায়দায় অভিবাদন জানান জাতীয় পতাকার প্রতি। আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি গানটি বাজানো হয়, যা পরে পরিণত হয় জাতীয় সঙ্গীতে। পরে জয় বাংলা বাহিনীর গার্ড অব অনার নেন কেন্দ্রীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের তিনজন শীর্ষ নেতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা তোলার পর প্রভাতফেরি বের করে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।