পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দেশে এমন একটি পরিবার খুঁজে পাওয়া যাবে না যে পরিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার মত ভীত সন্তুষ্ট হয়ে কথা বলা বন্ধ করে দেয় নাই। তিনি বলেন, যে দেশে নিরাপত্তার প্রশ্নে প্রধান বিচারপতিকে দেশ ছাড়তে হবে সে দেশে আর থাকে কি? আমরা কোর্টে যাই বিচারের আশায়, সুপ্রিম কোর্টে যাই সর্বশেষ বিচারের আশায়, সেই কোর্টের প্রধান বিচারপতি কোন কথা বলছেন না। ভয়ে হঠাৎ করে নীরব হয়ে গেছেন তিনি। গতকাল (রোববার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঘুরে দাঁড়াও বাংলাদেশ আয়োজিত ‘দেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র ও রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার দাবিতে’ এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বিএনপির এই নেতা বলেন, এই বছরের শেষে কিনা আমি বলতে পারবো না তবে আগামী বছরে বাংলাদেশে যে সরকারটি হবে সেটি হচ্ছে গণতান্ত্রিক সরকার। ২০ দলের সরকার। আর সেই সরকারের প্রধান হবেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেটি গণতান্ত্রিকভাবে আমরা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল করি তাই গণতান্ত্রিক ভাবেই সরকারের সাথে লড়াই করতে চাই। আমরা সামরিক শাসন চাই না। সামরিক শাসন আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান প্রত্যাহার করেছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতা খন্দকার মোশতাক সামরিক শাসন জারি করেছিলেন। এই দেশে যতগুলো সামরিক শাসন এসেছে প্রকাশ্যে সবগুলোতে শেখ হাসিনা সমর্থন জানিয়েছেন।’
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কথা বলেন ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে দেশের গণতন্ত্রের জন্য যতটুকু কাজ হয়েছে সেটা হয় জিয়াউর রহমান না হয় খালেদা জিয়ার হাত দিয়ে। এই দেশে মঈনউদ্দীন যে কাজ করেছে তার সমর্থক ছিল শেখ হাসিনা এবং তার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বিদায় দিতে হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আপনার যদি ভালো কাজের কোনো লক্ষণ থাকে আসেন, আলোচনায় বসেন, স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য স্বাভাবিক একটি নির্বাচন দেন। তাহলে বুঝব আপনি শেখ মুজিবের কন্যা। বুঝব আপনার সাহস আছে। আপনি ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেন, মানুষের খাবার ফিরিয়ে দেন, ব্যাংকের যত টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে সেগুলো ফিরিয়ে আনুন। তখন আওয়ামী লীগের সংবর্ধনা দিতে হবে না, দেশের জনগণ আপনাকে সংবর্ধনা দেবে। তা না হলে আপনি সংবর্ধনার নামে ঢাকা শহরে যা করেছেন সেটা কলঙ্কের ইতিহাস হয়ে থাকবে। রোহিঙ্গা সঙ্কট সরকারের ব্যর্থতার জ্বলন্ত প্রমাণ দাবি করে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘সরকার যে সাফল্যের কথা বলছেন পুরোপুরিভাবে তা মিথ্যা কথা। শেখ হাসিনার সঙ্গে চীন, ভারত ও রাশিয়া নাই। বিশ্বের কোনো দেশই নাই- এটাই প্রমান করেছে রোহিঙ্গা ইস্যু। রোহিঙ্গারা এমনিতেই আমাদের দেশে আশে নাই, শেখ হাসিনার ব্যর্থতার কারণে অন্য একটি দেশের নাগরিকরা আমাদের দেশে ঢুকেছে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতউল্লাহ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।