পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বন্যা কবলিত কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, অবহেলিত কৃষকরা যারা বন্যাকবলিত, যারা বসতভিটা, হালের গরুটাও হারিয়েছে সেইসব অসহায় কৃষকদের নামে শুধুমাত্র দুই-তিন হাজার টাকার জন্য মামলা হচ্ছে। ঘর থেকে তাদের বেঁধে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এইসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি এবং অনতিবিলম্বে এই কৃষকদের ঋণ ও সুদ মওকুফের দাবি জানান।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কৃষক দলের উদ্যোগে বন্যা কবলিত কৃষকদের ঋণ মওকুফের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় টাকা দিয়ে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাহলে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর (খালেদা জিয়া) সুচিকিৎসার ব্যবস্থা কেন করছেন না? মানুষ কি শুধু আপনি একাই? দেশে কি আর কোন মানুষ নাই? ২৭ কোটি টাকা লুটপাটের কোনও মামলা হয় না, কেউ গ্রেফতার হয় না, অথচ ২ কোটি টাকার মিথ্যা মামলা এখন ৮ কোটি টাকা হয়ে গেছে। সেই মামলায় দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখেছেন। আল্লাহ সব দেখছেন, বিচার সুষ্ঠু করেন, নয়তো উপরে আল্লাহ আছেন, কঠিন বিচার হবে। সেই বিচার যদি নেমে আসে তাহলে কিন্তু ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হবে।
এসময় বন্যার্ত এলাকার কৃষকদের ঋণ ও সুদ মওকুফ করার দাবি জানিয়ে সরকারের উদ্দেশ্যে দুদু বলেন, ‘ভালো কাজ করতে চাইলে বেগম খালেদা জিয়ার কাছে শিক্ষা নিন। তিনি ক্ষমতায় আসার আগে কথা দিয়েছিলেন কৃষকদের সাহায্য করবেন। কৃষকদের পাশে দাঁড়াবেন। কৃষকদের ঋণ মওকুফ করবেন। তিনি তা করেছিলেন, হাজার হাজার কৃষকদের ঋণ মওকুফ করেছিলেন। বন্যার্তদের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন। সব ধরনের সহায়তা করেছিলেন। আর আজকের প্রধানমন্ত্রী কোথায় আছেন দেশবাসী তাও জানে না।’
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যারা চালায় আমরা যাদের ঘাড়ের ওপরে বসে আছি, যারা এই দেশকে বিশ্বের সামনে মর্যাদার আসনে বসিয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের খাওয়া-পরা-আশ্রয় দিয়েছে, যারা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রকৌশলীদের ভাতের যোগান দিয়েছে তারা আর কেউ নন, তারা এই বাংলার দুখী দরিদ্র অসহায় কৃষক।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে দুদু বলেন, ‘আপনি প্রধানমন্ত্রী, বিদেশে গেছেন চিকিৎসা নিতে। দেশে মহামারি চলছে। এই কৃষকদের কে দেখবে? বন্যা কবলিত মানুষদের কে দেখবে? ডেঙ্গু আক্রান্ত মানুষদের কে দেখবে? আপনি ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিলেন- সারের দাম কমাবেন, দশ টাকা কেজি চাল খাওয়াবেন। কিন্তু আপনি তা করেন নাই। এখন কৃষকরা অনেক কষ্টে আছে। আর এই সময়ে আপনাকে খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না।’
কৃষক দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমানের আদেশে আমাদেরকে গ্রামের কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমাদের যা সামর্থ্য আছে সে অনুযায়ী সাহায্য করতে হবে। তাই চলুন কৃষকদের সাহায্যে এগিয়ে আসি।’
তিনি বলেন, ‘জালিম সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রেখেছে এবং তারেক রহমানকে বিদেশে থাকতে বাধ্য করছে। গণতন্ত্র এখন নির্বাসিত, গণতন্ত্র এখন বন্দি। লড়াই ছাড়া মুক্তির কোন পথ নাই। এই কোর্ট-কাচারি, আইন-আদালত ভুয়া। এগুলোর আশায় অপেক্ষা করে কোনও লাভ নাই। আসুন নিজের অবস্থানে দাঁড়ায়, মানুষের পাশে দাঁড়াই, সকল সমস্যা দূর করি, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করি। গণতন্ত্র থাকলে সকল সমস্যা দূর হয়ে যাবে। দেশে এখন গণতন্ত্র নাই, তাই সমস্যারও শেষ নাই। একাত্তরে যুদ্ধ করেছি, প্রয়োজনে আরেকটি লড়াই করবো। তবু গণতন্ত্রকে মুক্ত করবোই এবার।’
এ সময় তিনি কৃষি ব্যাংকের এমডি ও সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বিবেক থাকলে কৃষকদের পাশে দাঁড়ান। তাদের সমস্যা সমাধান করেন।’
মানববন্ধন শেষে কৃষক দলের পক্ষ থেকে কৃষি ব্যাংকের এমডির কাছে স্মারকলিপি প্রদান করতে যান নেতারা।
শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এস কে সাদীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, কৃষক দলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আওয়াল খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নাসির হায়দার, নাসির উদ্দিন হাজারী, মাইনুল ইসলাম, খলিলুর রহমান ইব্রাহিম, মোহাম্মদ আলীম হোসেন, লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, কে এম রফিকুল ইসলাম রিপন, এম জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুর রাজি ও শফিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।