পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আন্দোলন ছাড়া বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার অন্য কোন পথ খোলা নেই বলে মনে করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে সকলকে রাজপথে নামতে হবে। জেলের তালা ভেঙেই তাঁকে মুক্ত করে আনতে হবে। আওয়ামী লীগ জেলের তালা ভেঙেছে, বিএনপিকেও ভাঙতে হবে- এটাই রাজনীতি, এটাই এখন আমাদের লক্ষ্য। বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, পাকিস্তান আমলে শেখ মুজিবকে বের করার জন্য যেমন স্রোগান দেয়া হতো- ‘জেলের তালা ভাঙবো শেখ মুজিবকে আনবো’- তেমনই একইভাবে এখন স্লোগান দিতে হবে- ‘জেলের তালা ভাঙবো খালেদা জিয়াকে আনবো’। আন্দোলন ছাড়া বেগম জিয়ার মুক্তির আর কোনও পথ খোলা নাই।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া যদি এখন জেলের বাইরে থাকতেন তাহলে তিনি কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, ঢাকা শহরের ডেঙ্গু আক্রান্ত অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতেন। ঢাকা শহরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মানুষ যে অসহায় জীবনযাপন করছে, কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ধান ক্ষেতে আগুন দিয়েছে, চামড়ার মূল্য না পেয়ে রাস্তায় ফেলে দিয়েছে, মাটিতে পুতে ফেলেছে। তিনি তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ব্যাংকে ও শেয়ার মার্কেটে যে টাকা লুট হয়েছে তার বিরুদ্ধে বেগম জিয়া প্রতিবাদ করতেন। বেগম জিয়া বাংলাদেশের অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য লড়াই করতেন, রাজপথে নেমে আসতেন। কিন্তু তাঁকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে, যাতে তিনি দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে না পারেন। যাতে তিনি অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে না পারেন।
জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করার জন্যই খালেদা জিয়াকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে মন্তব্য করে কৃষক দলের আহ্বায়ক বলেন, বেগম জিয়াকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে, তাঁর ছোট ছেলে নির্যাতনের শিকার হয়ে বিদেশে মৃত্যুবরণ করেছেন। তার বড় ছেলে তারেক রহমানকে নির্বাসনে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে এবং দেশে আসতেও দেয়া হচ্ছে না।
ছাত্রদলের এই সাবেক সভাপতি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। তাঁর পরিবার বারবার নির্যাতিত গরিব-দুঃখী-মেহনতি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। শুধু তাই নয়, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। এজন্যই জিয়া পরিবারের প্রতি বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এত রাগ, এত বিদ্বেষ।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, সহ-তথ্যবিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমা, কৃষকদলের সদস্য লায়ন মিয়া মো: আনোয়ার, মৎস্যজীবী দলের নেতা ইসমাঈল হোসেন সিরাজী প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।