Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মন্দিরে এভাবেই ভূত তাড়ায় সাধু

বহুদিনের বিশ্বাসকে পুঁজি করে ভক্তরা আসে, এটা বন্ধ করা যাবে না

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আমার পড়ালেখা করতে ভালো লাগে না। তাই মা-বাবা মনে করেছে, আমাকে ভূতে ধরেছে, বলছিল বিশাখা। স্কুলপড়ুয়া কিশোরীটিকে একটি সারিতে বসিয়ে রাখা হয়েছে। সেখানে রয়েছে বিশাখার মতো আরো কয়েকজন কিশোরী। পরিবারের দাবি, তাদের ভূতে ধরেছে। ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের তিরুচিরাপল্লির আচাপ্পান মন্দিরের দৃশ্য এটি। ভূতে ধরেছে এমন কুসংস্কারে কিশোরীদের মন্দিরে এনে সার বেঁধে বসিয়ে রাখা হয়। তারপর চাবুক দিয়ে পেটানো হয় তাদের শরীরে। মার খেয়ে অনেকেই চিৎকার করে কান্নাকাটি শুরু করে। আর এভাবেই সন্তান সুস্থ হবে বলে ধারণা তাদের মা-বাবার। সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলকে বিশাখা কাঁদতে কাঁদতে বলে, চাবুকের দাগ দেখে আমার বন্ধুরা এখন হাসাহাসি করবে। প্রতিবছর প্রায় দুই হাজার কিশোরী ওই মন্দিরে চিকিৎসার জন্য যায়। চাবুকের বাড়ি খাওয়ার জন্য তাদের প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। তবে চিকিৎসার জন্য চাবুক দিয়ে পেটানো কোনো অপরাধ নয় উল্লেখ করে মন্দিরের একজন সাধু বলেন, এই চিকিৎসা একটা প্রাচীন ঐতিহ্য। বহুদিনের বিশ্বাসকে পুঁজি করে ভক্তরা চিকিৎসা নিতে আসে। তাই এটা বন্ধ করা যাবে না। ওই সাধুর সঙ্গে একমত পোষণ করে এক বৃদ্ধা বলেন, শারীরিক বা মানসিক অসুস্থতা, চাবুকের এক বাড়িতেই ঠিক হয়ে যাবে। আমি কয়েক বছর ধরে চাবুকপেটা খাচ্ছি। এতে আমার রোগ সেরে গেছে। চাবুকপেটায় আমার অগাধ বিশ্বাস। ডেইলি মেইল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভূত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ