বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফটিকছড়ি উপজেলা সংবাদদাতা : আগামী ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য ফটিকছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৩, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬ এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৭; সর্বমোট ৪৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল সম্পন্ন হয়েছে। ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার নির্ধারিত সময় পর্যন্ত তারা নিজ নিজ মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। অত্যাসন্ন এ নির্বাচনকে ঘিরে ফটিকছড়ি পৌর এলাকাজুড়ে এখন নির্বাচনী উৎসবের আমেজ বইছে।
এ নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামীলীগ মনোনীত বর্তমান মেয়র মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, বিএনপি মনোনীত বিলুপ্ত রাঙ্গামাটিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর মাওলানা ফারুক আহমদ দাখিল করেন।
গত সোমবার দুপুরে দলীয় নেতা-কর্মী নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার শামসুল হক ফৌজদারের নিকট মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম বাবু, ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট উত্তম কুমার মহাজন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নাহার মুক্তাসহ পৌর আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।
গত মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে দলীয় নেতা-কর্মীদের বহর নিয়ে রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ মুনির হোসাইন খানের নিকট মনোনয়নপত্র জমা দেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক বিচারপতি ফয়সল মাহমুদ ফয়জী, বিএনপি নেতা কর্ণেল (অব:) আজিম উল্লাহ বাহার চৌধুরী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শহিদুল আজমসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাচন অফিসার শামশুল হক ফৌজদার বলেন, তিন মেয়র প্রার্থী, ৬ নারী কাউন্সিলর ও ৩৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ৫-৬ অক্টোবর মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই, ১৪ অক্টোবর প্রত্যাহার, ১৫ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দ এবং ৩০ অক্টোবর নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৩২ হাজার ১২ জন।
ফটিকছড়ি পৌরসভা নির্বাচনের বিষয়ে সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ও ফটিকছড়ি পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ মুনির হোসাইন খান বলেন, সুষ্টু ও অবাধ নির্বাচন উপহার দেয়াই নির্বাচন কমিশনের মূল লক্ষ্য। এ জন্য আমরা সবধরণের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। পুরো পৌর এলাকাকে আমরা নিরাপত্তার চাদরে ডেকে দেবো, এতে কোন সন্দেহ নেই। এটা যথা সময়ে ভোটারগণ বুঝতে পারবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।