পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুন্শী : হিজরী ৬১ সালের ১০ই মুহাররম কারবালা প্রান্তরে যে মর্মান্তিক, হৃদয়বিদারক হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে, তার মর্মবাণী হচ্ছে এই যে, সত্য চিরভাস্বর, চির অমর, চির বিজয়ী, চির উন্নত, চির উদ্ভাসিত ও অবিনশ্বর। সত্যের কোন ব্যত্যয় নেই, পরাজয় নেই, অবলুপ্তি ও বিলুপ্তি নেই। কারণ সত্য সত্যই। মিথ্যা ও পাপ-পঙ্কিলতা সত্যের অগ্রযাত্রাকে কখনো ও অবদমিত করতে পারে না। প্রতিরোধ করতে পারে না। মিথ্যা বিলুপ্ত হয়ে যায়, কিন্তুু সত্য আপন মহিমায় অবিরাম আলো বিতরণ করে থাকে।
গভীর মনোনিবেশসহ কুরআনুল কারীম অধ্যয়ন করলে জানা যায় যে, আল্লাহ রাব্বুল উজ্জত সত্য ও সত্য প্রসঙ্গ আল-কুরআনে সর্বমোট ১৭১ বার উল্লেখ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! এটা এক পরম বিস্ময়। তিনি সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন : সত্য তোমার প্রভুর নিকট হতেই আগত, সুতরাং তোমরা সন্দেহ পোষণকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। (সূরা বাকারাহ : আয়াত ১৪৭) আরও ইরশাদ হয়েছে : আর এটাই সুনিশ্চিত যে, সত্য তোমার প্রভুর নিকট হতে আগত, আর আল্লাহপাক তোমাদের কর্মকান্ড সম্পর্কে গাফেল নন। (সূরা বাকারাহ : আয়াত ১৪৯) কারবালা প্রান্তরে সাইয়্যেদেনা হযরত ইমাম হুসাইন (রা:) এজীদি বাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করেছিলেন শুধুমাত্র একটি সত্যকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে।
‘খিলাফাতুন আলা মিনহাজিন নাবুওয়্যাত’কে এজীদি চক্রান্ত পৃথিবী হতে বিলুপ্ত করে দেয়ার জন্য বদ্ধপরিকর হয়েছিল। সত্যের নির্ভীক সৈনিক সাইয়্যেদেনা ইমাম হুসাইন (রাঃ) সত্যের পতাকাকে অম্লান রাখার জন্য রুখে দাঁড়ালেন। নিজের ও পরিজনদের দেহ-মন প্রাণ সত্য রক্ষায় উৎসর্গ করলেন। ফলে, সত্যের জয়ই অনাগতকালের শৈল শিখরে চিরস্থায়ী আসন লাভে ধন্য হয়েছে। মিথ্যাশ্রয়ী এজীদি চিন্তা-চেতনার বিলুপ্তি সাধিত হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, এজীদের বংশ চিরতরে এই পৃথিবীর পরিমন্ডল হতে ধুয়ে-মুছে নীল হয়ে গেছে। পক্ষান্তরে ইমাম হোসাইন (রাঃ)-এর বংশ ধারা রোজ কেয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে এবং সত্যের অনির্বান আলোর বন্যায় পৃথিবীকে যুগে যুগে প্লাবিত ও পরিশীলিত করে তুলবে।
এরই ফলশ্রুতি স্বরূপ বছর পরিক্রমায় যখনই মুহাররম ও আশুরাকালের পৈঠায় আসীন হবে, তখনই সত্য চেতনার সমুজ্জ্বল আলোর বন্যা ধূলা-ধুসরীত পৃথিবীকে উপহার দিতে থাকবে সত্যও সত্য প্রতিষ্ঠার চেতনা সমৃদ্ধ জোয়ার ধারা। যার তুঙ্গ-তরঙ্গে ভেসে যাবে, নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে অসত্য ও এজীদি চক্রান্তের যাবতীয় জঞ্জাল। এটাই বাস্তব। এটাই সত্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।