পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ত্যাগ চাই মর্সিয়া ক্রন্দন চাইনা
মহররম ইসলামী আরবী সনের প্রথম মাস। এই মাসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বরকতময়, ও ফযিলতের মাস। এই মাসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বর্ণনা করতে গিয়ে মহান রাব্বুল আলামীন আল কুরআনের ৯নং সূরা তাওবাহ-এর ৩৬ নং আয়াতে ইরশাদ করেছেন : নিশ্চয়ই আকাশমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টির দিন হতে আল্লাহপাকের বিধানে মাসের সংখ্যা বারটি। তন্মধ্যে চারটি মাস সম্মানীত ও অলঙ্ঘনীয়। (যথা : জিলকদ, জিল হজ্জ মহররম ও রজব)। এই চারটি মাসের মধ্যে মহররম হলো অন্যতম বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। এই মাস যেমন বছরের প্রারম্ভ তেমনি খৃস্টজগতের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ এই মাসে সম্পন্ন হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই মাস বেদনা ও শোকের মাস, শোকরিয়া জ্ঞাপন ও নাজাত লাভের মাস, রমহত ও বরকতের মাস। এই মাসে আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত বান্দাহদের উপর অসংখ্য নেয়ামত দান করেছেন। মহররম মাসকে সহীহ হাদীসে আল্লাহর মাস বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে এবং এ মাসে নফল রোজা পালন করাকে সর্বোত্তম নফল রোজা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা:) নিজে মহররম মাসে নফল রোজা রাখতেন, আশুরার দিন রোজা রাখতেন এবং সাহাবায়ে কেরাম ও উম্মতগণকে এই মাসে রোজা রাখার জন্য উৎসাহ দিয়েছেন। হযরত আবু হুরায়রা (রা) বর্ণনা করে ছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন : সর্বোত্তম রোজা হল রমজান মাসের রোজা। তারপর আল্লাহর মাস মহররম মাসের রোজা। (মিশকাত শরীফ : ১/১৭৮ পৃ:)। হযরত আবু কাতাদাহ (রা:) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন : আমি আশাবাদী যে, আশুরার রোজার ওসিলায় আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত অতীতের এক বছরের মগীরা গোনাহ মাফ করে দেবেন। (মিশকাত শরীফ : ১/১৭৯), হাদীস শরীফে আরও বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি মহররম মাসের যে কোন তারিখে রোজা রাখবে, সে রোজার বিনিময়ে আল্লাহ পাক তাকে একমাস রোজা রাখার সওয়াব দান করবেন। (তারিখই কারবালা : ৯০ পৃ:)।
সুতরাং একথা খুবই প্রনিধান যোগ্য যে, নফল এবাদতের মাধ্যমে আল্লাহপাকের নৈটক্য লাভ করার সহজতর হয় এবং রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর অনুকরণও অনুসরণ পরিপূর্ণতা লাভ করে। এ প্রসঙ্গে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা:) বর্ণিত হাদীস খুবই প্রনিধান যোগ্য। তিনি বলেছেন : আমি রাসূলুল্লাহ (সা:) কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহপাক ও তাঁর রাসূলের অনুকরণ করা হতে হাত সরিয়ে নেবে, কিয়ামতের দিন নাজাতের জন্য তার সপক্ষে কোন দলীল থাকবে না। আর যে ব্যক্তি উপযুক্ত মোর্শেদের শিষ্য হওয়া ছাড়া মৃত্যু বরণ করবে, তার মৃত্যু হবে জাহেলী যুগের বেঈমান লোকদের মত। (সহীহ মুসলিম শরীফ : ২/১২৮ পৃ:)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।