Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ত্যাগ চাই মর্সিয়া ক্রন্দন চাহি না

এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুনশী | প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০২২, ১২:০১ এএম

বছর ঘুরে আবার আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে ‘মুহাররম’ মাস। আরবী ‘মুহাররম’ শব্দটি নামবাচক বিশেষ্য নয়, বরং গুনবাচক বিশেষণ। ‘মুহাররম’ শব্দটির শব্দ মূল হচ্ছে ‘হারামুন’। এর অর্থ হলো নিষিদ্ধ, সম্মানিত ও মর্যাদাবান। ইসলামী আরবী বর্ষপঞ্জির ১২টি মাসের মধ্যে মহররম মাসটি সম্মান ও মর্যাদার এমন এক শৈল শিখরে অধিষ্ঠিত আছে, যার অফুরন্ত ফল্গুধারা পৃথিবী বিলয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে, এর কোন ব্যত্যয় হবে না।
বস্তুত : মহররম শব্দটির প্রথম বর্ণটি হচ্ছে ‘মীম’ এবং তা’ পেশ যুক্ত হয়ে উচ্চারিত হচ্ছে। এই পেশ স্বর চিহ্নটি এমন এক বিশেষত্ব বা হাকিকতের নিদর্শন হয়ে আছে, যার নজির আল কোরআনুল কারিমে খুঁজে পাওয়া যায় না। আমরা জানি, আল কোরআন ৩০টি পর্বে বা পারায় বিন্যস্ত।

এতে রয়েছে ১১৪টি সূরা, ৫৪০টি রুকু, ১৪টি তিলাওয়াতের সিজদাহ, ৭টি মঞ্জিল ও ৬২৩৬টি আয়াত। এই কালামে পাকে ২৫ জন নবী ও রাসূলের নাম উল্লেখ আছে। তাদের মধ্যে যে সকল নবী ও রাসূলের নামের আদ্যাক্ষরে পেশ যুক্ত আছে, তাদের মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক এই পৃথিবীতে বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ড পরিসাধিত করেছেন। যেমনÑ হযরত ইউসুফ (আ.), হযরত ইউনূস (আ.), হযরত নূহ (আ.), হযরত মূসা (আ.) হযরত লূত (আ.), হযরত মুহাম্মাদ মোস্তাফা (সা.)। তাঁদের নাম মোবারকের প্রথম বর্ণটি পেশ স্বর চিহ্নযুক্ত হয়ে উচ্চারিত হওয়ায় এদের সকলের কর্মকাণ্ডই বৈপ্লবিক কর্মপ্রবাহের সুমহান চিহ্ন হয়ে কালের খাতায়, ইতিহাসের পাতায় চিরস্মরণীয় ও চিরবরণীয় রূপে বিকশিত হতে থাকবে, এটাই মহান আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের অমোখ বিধান। আল কোরআনে অলক্ষণীয় পবিত্র মাসের কথাও বলা হয়েছে। যেমন আল কোরআনের ২ নম্বর সূরা বাকারাহ-এর ১৯৪ নম্বর আয়াতে এবং ২১৭ নম্বর আয়াতে এবং আল কোরআনের ৫ নম্বর সূরা মায়েদাহ-এর ৫৭ নম্বর আয়াতে। তাছাড়া ৯ নম্বর সূরা তাওবাহ-এর ৩৬ নম্বর আয়াতে সময় গণনার পদ্ধতি বিধিবদ্ধ করার উপলক্ষে চারিটি অলক্ষণীয় পবিত্র মাসের কথাও বলা হয়েছে। তম্মধ্যে, প্রথম প্রথম স্থানে রয়েছে মুহাররম মাস। এ মাসে পরম করুণাময় আল্লাহ পাক এমন সব বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন, যার উদাহরণ অন্য কোনো মাসে পরিদৃষ্ট হয় না। মূলত : মুহাররম শব্দের প্রথম অক্ষর মীম বর্ণটি পেশ যুক্ত হওয়ার মাঝেই রয়েছে জ্ঞান ও মনীষার এক সুবিশাল মহাসমুদ্র। আমরা সহৃদয় পাঠক ও পাঠিকাগণকে সে সমুদ্র হতে সঞ্চিত কিছু মণি-মুক্ত উপহার দিতে প্রয়াস পাব, ইনশাআল্লাহ। মহান আল্লাহ পাক সকল অবস্থায় আমাদের সহায় হোন- আমীন!



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ত্যাগ চাই মর্সিয়া ক্রন্দন চাহি না


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ