নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জাতীয় দলে দীর্ঘদিন উপেক্ষিত থাকলেও বল হাতে আব্দুর রাজ্জাকের ভেলকি কিন্তু থামেনি। ঠিকই নিয়মিতই নিজেকে জানান দিয়ে যাচ্ছেন মুশফিকের সেই ‘লালা’। গতকালও নিলেন ৫ উইকেট। ১৯তম ওয়ালটন জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলায় একমাত্র ম্যাচ হিসেবে তার দল খুলনা বিভাগও জিতেছে ২৩৯ রানের বিশাল ব্যবধানে।
বৃষ্টি আর বাজে আউটফিল্ডের কারণে চট্টগ্রাম-রাজশাহী ও রংপুর-ঢাকার মধ্যকার ম্যাচ দুটি হয়েছে নিরুত্তাপ ড্র। একই কারণে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা মেট্রো ও সিলেট বিভাগের মধ্যকার ম্যাচটিতে টানা চতুর্থ দিনেও একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। ফলে ম্যাচ পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ম্যাচ বাঁচাতে বরিশালকে গতকাল শেষ দিনে ব্যাট করতে হতো পুরো ৯০ ওভার। এজন্য হাতেও ছিল পুরো ১০ উইকেট। কিন্তু খুলনার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তারা ৫০ ওভারও টিকতে পারেনি। তাদেরকে ১৬৩ রানে গুটিয়ে বড় জয় নিশ্চিত করে খুলনা।
১৭ ওভারে ৭ মেডেনসহ ৩২ রানে ৫ উইকেট নেন রাজ্জাক। প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে এটি তার ২৯তম ৫ উইকেট শিকার। বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে ৩০ বার ৫ উইকেট নিয়ে তার উপরে আছেন কেবল এনামুল হক জুনিয়র। প্রথম ইনিংসেও ৪ উইকেট নেন রাজ্জাক। তারপরও ম্যাচসেরা তিনি নন, ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে ১৭৭ রান করা মেহেদী হামান।
বিনা উইকেটে ৩২ রান নিয়ে দিন শুরু করে বরিশাল। এদিন জুটিটা বেড়ে গিয়েছিল ৫৮ পর্যন্ত। এরপরই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। তবে এক প্রান্তে টিকে ছিলেন ওপেনার ফজল মাহমুদ। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রাজ্জাকের বলে স্টামড আউট হয়ে ফেরার আগে ১৭১ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৮৮ রান। রাজ্জাক একাই ৫ উইকেট নিলেও প্রথম সারীর তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে বড় অবদান রাখেন মইনুল ইসলাম।
এছাড়া নিরুত্তাপ ম্যাচে কিছুটা উত্তাপ ছড়ায় নাসির হোসেনের ব্যাট। নিশ্চিত ড্রয়ের দিকে এগুতে থাকা ম্যাচে অনিয়মিত বোলারদের পেয়ে ২৬ বলে ফিফটি হাঁকান নাসির। পরে নিয়মিত বোলাররা এলে কিছুটা স্থির হয় তার ব্যাট। শেষ পর্যন্ত তিনি থামেন সবুজ বর্মনের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে। এর আগে করেন ৩৭ বলে ৭ চার ও ২ ছয়ে ৫২ রান।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে রংপুর ও ঢাকা বিভাগের মধ্যকার ম্যাচে ফিফটি হয়েছে আরো চারটি। ৬৩ ও ৫৩ রান করে আহত অবসরে যান রংপুরের দুই ওপেনার সায়মন আহমেদ ও জাহিদ জাবেদ। সোহরাওয়ার্দি শুভ অপরাজিত ছিলেন ৫২ রানে। নাসির আউট হতেই ২ উইকেটে ২৩৭ রানে ইনিংস ঘোষনা করে ঢাকাকে ব্যাটিং অনুশীলনের সুযোগ দেয় রংপুর। রনি তালুকদারের ফিফটিতে (৬০) ঢাকার ইনিংসে ৪৪ ওভারে ৩ উইকেটে ১৫০ রান জমা হওয়ার পর আলোকস্বপ্তার কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। পরে আর শুরু হয়নি। উল্লেখ্য, তাদের মধ্যকার ম্যাচের প্রথম দুদিন পরিত্যাক্ত হওয়ার পর তৃতীয় দিনে খেলা হয়েছিল ১৭ ওভার।
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম ও স্বাগতিক রাজশাহীর মধ্যকার নিরুত্তাপ ড্রয়ের ম্যাচেও একমাত্র প্রাপ্তি শেষ দিনে তাদের ব্যাটিং অনুশীলন। অনুশীলনের এই সুযোগটা ভালোভাবে কাজে লাগান জাতীয় দলের সাবেক ব্যাটসম্যান জুনায়েদ সিদিদ্দক ও ফরহাদ হোসেন। দুজনেই তুলে নেন ফিফটি। আগের দিন ৭৫ রানে অপরাজিত থাকা জহুরুল ইসলাম এদিন আউট হন ৪ রান যোগ করেই। প্রথম ইনিংসে রাজশাহী অলআউট হয় ৪১৫ রানে। চট্টগ্রাম প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ৪৩২, দ্বিতীয় ইনিংসে ১ ওভার ব্যাট করার পরই ম্যাচ ড্র।
খুলনা-বরিশাল
খুলনা : ৪৪৪ ও ৪৯ ওভারে ২১৬/৭ (ডি.)।
বরিশাল : ২৫৮ ও (লক্ষ্য ৪০৩) ৬১ ওভারে ১৬৩ (ফজলে রাব্বি ৮৮, রাফসান ২৭, শামসুল ১, সালমান ৩, আল আমিন ১০, সোহাগ ২, নুরুজ্জামান ১৬, আবু সায়েম ০. রাব্বি ০, মনির ৮, তানভির ১*; মাশরাফি ০/১৪, মেহেদি ১/৭২, আল-আমিন ০/৬, রাজ্জাক ৫/৩২, রবি ০/৫, জিয়াউর ০/১১, মইনুল ৩/১৯)।
ফল : খুলনা ২৩৯ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : মেহেদি হাসান (খুলনা)।
রংপুর-ঢাকা
রংপুর : ৫২.৩ ওভারে ২৩৭/২ (ডি.) (সায়মন ৬৩ আহত অবসর, জাভেদ ৫৩ আহত অবসর, শুভ ৫৬*, নাঈম ১১, নাসির ৫২; শাহাদাত ০/১৩, সবুজ ১/৪৬, অপু ০/৫৮, শুভাগত ০/১৬, তাইবুর ০/২৫, মজিদ ০/৩২, জয়রাজ ০/৩০, রনি ০/১৫)।
ঢাকা : ৪৪ ওভারে ১৫০/৩ (মজিদ ৩, রনি ৬০, জয়রাজ ৪৫, রকিবুল ৮*, জাহিদুজ্জামান ২১*; সাজেদুল ০/১৮, সাদ্দাম ১/১৬, আরিফুল ০/১৫, নাসির ০/৫, তানবীর ০/৪৪, শুভ ২/২৮, মাহমুদুল ০/১৯)।
ফল : ম্যাচ ড্র।
চট্টগ্রাম-রাজশাহী
চট্টগ্রাম : ৪৩২ ও ১ ওভারে ১/০।
রাজশাহী : ১১৮.৩ ওভারে ৪১৫ (আগের দিন ১৪৭/১) (মাইশুকুর ৩৬, জহুরুল ৭৯, শান্ত ৩৮, জুনায়েদ ৭৭, ফরহাদ ৬০, হামিদুল ১, ফরহাদ রেজা ২৯, সানজামুল ১১, মুক্তার ৩১, সাকলাইন ১১*, শরিফুল ৭ ; সাইফুদ্দিন ৩/৯১, রানা ২/৭০, বেলাল ১/৫৯, ইমরুল ১/৫৫, রনি ২/৮০, কাজি কামরুল ১/৩২, তাসামুল ০/৮)।
ফল : ম্যাচ ড্র।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : ইয়াসির আলী (চট্টগ্রাম)।
ঢাকা মেট্রো-সিলেট
ম্যাচ পরিত্যাক্ত
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।