Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘টপ অর্ডার সফল তো বাংলাদেশ সফল’

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

২০০৮ সালে টাইগাররা যেবার দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছিলেন সেসময় দলের সঙ্গে ছিলেন জুনায়েদ সিদ্দিকি। নয় বছর পর টাইগাররা দক্ষিণ আফ্রিকা গেলেও দলের সঙ্গে নেই বাঁহাতি এই ওপেনার। দলের সঙ্গে না থেকেও টাইগারদের শুভকামনা জানাতে ভোলেননি জুনায়েদ। এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকায় নিজের অভিজ্ঞতা থেকে মুশফিক বাহিনীকে পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। বলেছেন ‘টপ অর্ডার সফল তো বাংলাদেশ সফল’। সাবেক এই ওপেনারের কণ্ঠে কণ্ঠ মেলালেন বর্তমান দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালও।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মূল লড়াইয়ের আগে বেনোনিতে দক্ষিণ আফ্রিকার আমন্ত্রিত একাদশের বিপক্ষে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে প্রথম টেস্টের ভেন্যু পচেফস্ট্রুমে পৌঁছেছে মুশফিকুর রহিমের দল। ম্যাচের দিন বেলা তিনটায় পচেফস্ট্রুমের উদ্দেশ্যে বেনোনি ছাড়েন ক্রিকেটাররা। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বিকেল পাঁচটায় পচেফস্ট্রুমে পৌঁছান তারা। এ ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে সেনওয়েস পার্ক স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া এই ম্যাচের আগে গতকাল কÐিশন পর্যালোচনার কাজটি করে রেখেছে ক্রিকেটারর-কোচিং স্টাফরা। তারই ফাঁকে নিজের খেলার সম্ভাবনা এবং দলের সফলতা নিয়ে কথা বললেন ওপেনার তামিম। পূর্বের কথার সূত্র ধরেই এগুলোন দেশসেরা এই ওপেনার। জানালেন, ‘এখন চোট অনেকটা ভালো। আশা করি প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলতে পারবো।’ পুরো দলের সম্ভাবনা নিয়ে বলতে গিয়ে দায়িত্বটা টপঅর্ডারদের কাঁধেই দিলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার বেশিরভাগ উইকেটই ঘাসে ভরা। তাই ফাস্ট বোলাররা অনেক সুবিধা পায়। ফাস্ট বোলিংয়ের বিপক্ষে খেলাই আমাদের ব্যাটসম্যানদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা শুরুটা ভালো করতে পারলে সেটা দলের অনেক উপকারে আসবে। কারণ শুরুটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। নতুন বল সামলানোর দায়িত্ব শুরুর ব্যাটসম্যানদেরই নিতে হবে। টিকে গেলে ব্যাটসম্যানদের পক্ষে বড় ইনিংস খেলা সহজ হবে, আর স্কোরবোর্ডেও যথেষ্ট রান যোগ করা সম্ভব হবে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা শুরুতেই চাইবেন টাইগার ওপেনারদের উইকেট তুলে নিয়ে মুশফিকদের ব্যকফুটে ঠেলে দিতে। আর প্রোটিয়া বোলাররা যদি এটা করতে ব্যর্থ হন তাহলে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, ‘নতুন বল ব্যাটসম্যানদের দেখে-শুনে খেলতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের লক্ষ্যই থাকবে নতুন বলে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ফিরিয়ে দেওয়া। তারা ব্যর্থ হলেই বাংলাদেশ অনেকখানি এগিয়ে যাবে, ‘এখন সবখানেই ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে হয়। শুধু আক্রমণাত্মক বা রক্ষণাত্মক ক্রিকেট খেলে সাফল্য পাওয়া সম্ভব নয়। আসল কথা হলো ইতিবাচক থেকে ভালো বলকে সমীহ করা আর খারাপ বলকে সীমানার বাইরে পাঠানো।’
প্রায় দেড় মাস-ব্যাপী দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে স্বাগতিক জাতীয় দলের বিপক্ষে দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-২০ ম্যাচ খেলবে সফরকারী বাংলাদেশ। ২৮ সেপ্টেম্বর প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ৬ অক্টোবর, যা অনুষ্ঠিত হবে বøুমফন্টেইনের মঙ্গাউন ওভালে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ