২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
সারা পৃথিবীতে এ সিনড্রোমের মাত্র ১০০-২০০ জন রোগী পাওয়া গেছে। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে এটি খুব বিরল রোগ। অসুখটিতে মাংসপেশিতে ব্যথা হয় এবং শক্ত হয়ে যায়।
কেন এ সিনড্রোম হয় তা আজ পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি। তবে সিনড্রোমটিতে অটো এন্টিবডি তৈরি হয়। শরীরের কোনো কোষ বা টিস্যুর বিরুদ্ধে যদি এন্টিবডি তৈরি হয় তবে তাকে অটো এন্টিবডি বলে।
একদম শিশু থেকে শুরু করে ৬০ বছর যে কোন সময়েই রোগটি হতে পারে। তবে ৪০-৬০ বছরের মধ্যে আইজ্যাক সিনড্রোম বেশি হয়। সিনেড্রোমটিতে যেসব উপসর্গ থাকে তার মধ্যে আছে-
১। মাংসপেশিতে ব্যথা। ২। মাংসপেশি শক্ত হয়ে যায়। ৩। মাংসপেশি কাঁপে। ৪। ঘাম হয়। ৫। মাংসপেশি বড় হয়ে যায়। ৬। মাংসপেশির দুর্বলতা।
আইজ্যাক সিনড্রোমের সাথে কিছু অসুখের সম্পর্ক আছে। ফুসফুসের ক্যান্সার, থাইমোমা, জিবিএস, মায়েস্থেনিয়া, ঝখঊ, জঅ ইত্যাদি অসুখ এর সাথে সিনড্রোমের সম্পর্ক প্রমাণিত হয়েছে।
আইজ্যাক সিনড্রোম ডায়াগনসিসের জন্য ভালভাবে ইতিহাস নিতে হবে। শারীরিক পরীক্ষা করলে ধারণা পাওয়া যায়। নিশ্চিত হবার জন্য ঊগএ করা হয়। রক্ত পরীক্ষায় আটোএন্টিবডি পাওয়া যায়। মরভান সিনড্রোমের সাথে রোগটির মিল আছে। সুতরাং সবকিছু মিলেই ডায়াগনসিস করা হয়।
ফেনিটোয়েন, ভ্যালপ্রোয়িক এসিড, কার্বমাজেপিন, ল্যামোট্রিজিন ইত্যাদি ওষুধ দিয়ে আইজ্যাক সিনড্রোমের চিকিৎসা করা হয়। কখনো একটি কখনো বা দু’টি ওষুধ লাগে।
এছাড়া স্টেরয়েড, এজাথায়েপ্রিণ ও মোথোট্রিক্সেট ব্যবহার করা হয়। যদি খুব খারাপ অবস্থা হয় তবে আইভিআইজি এবং প্লাজমাফেরেসিস করা হয়।
আইজ্যাক সিনড্রোম পুরোপরি ভালো হয় না। তবে এটি খুব বিপদজনক নয়। সুতরাং চিন্তার কিছু নেই।
ষ ডাঃ ফজলুল কবির পাভেল
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।