পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নগরীর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে ১০ দিনব্যাপী ৩২তম আন্তর্জাতিক শাহাদাতে কারবালা মাহফিল আগামীকাল (শুক্রবার) শুরু হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ মাহফিলের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল (বুধবার) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে মাহফিল প্রস্তুতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মাহফিল পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সূফী মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ব্যাপক আয়োজনে টানা ১০ দিন ধরে শাহাদাতে কারবালা মাহফিল চট্টগ্রাম থেকেই শুরু হয়েছে। যা দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিকভাবেও সুখ্যাতি অর্জন করেছে। এখন দেশে দেশে পালিত হচ্ছে শাহাদাতে কারবালা মাহফিল। এ মাহফিল ইসলামী কৃষ্টি-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে।
শাহাদাতে কারবালা মাহফিল গুরুত্বের সঙ্গে পালনের মাধ্যমে অবক্ষয়পূর্ণ জীবনধারা থেকে বেরিয়ে এসে ঈমান-আকিদা হেফাজত করতে সর্বস্তরের মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সকল বাধা প্রতিক‚লতাকে মোকাবেলা করে সর্ব অবস্থায় দ্বীন ও সত্যের উপর সুদৃঢ় থাকাই কারবালার ঐতিহাসিক শিক্ষা। মুসলমানদের আত্মমর্যাদা ও আত্মশক্তি নিয়ে উন্নত শিরে বেঁচে থাকতে কারবালাই প্রেরণার উৎস। ১০ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক শাহাদাতে কারবালা মাহফিলে বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ইসলামী চিন্তাবিদগণ যোগ দেবেন বলে জানান তিনি। এ মাহফিলের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন মরহুম মাওলানা জালালুদ্দীন আল কাদেরী। সংবাদ সম্মেলনে তার মাগফিরাত কামনা করা হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তুল ফালাহর খতিব মাওলানা আবু তালেব মোহম্মদ আলাউদ্দিন, গাউসিয়া কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, সৈয়দ মুহাম্মদ আবদুল লতিফ, মুহাম্মদ খোরশেদুর রহমান, আবদুল হাই মাসুম, অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আহমদ, জাফর আহমদ, মাওলানা মুহাম্মদ জাফর উল্লাহ, দিলশাদ আহমেদ, হাফেজ মুহাম্মদ সালামত উল্লাহ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।