মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামী চিন্তাবিদ, পীরে কামেল হযরত আল্লামা মুফতি মুজাহিদ উদ্দীন চৌধুরী দুবাগী (রহ.)-এর ঈসালে সাওয়াব মাহফিল গত রোববার মধ্য ইংল্যান্ডের লেস্টার শহরে দারুস সালাম মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তাঁর বড় ছাহেবজাদা হযরত আল্লামা জিল্লুর রহমান চৌধুরী দুবাগী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তাঁর মেজো ছাহেবজাদা হযরত মাওলানা ওলিউর রহমান চৌধুরী দুবাগী। মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন দারুস সালাম মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফিজ মাওলানা আব্দুল জলিল, মসজিদের সভাপতি আলহাজ মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ড. শফিকুল ইসলাম চৌধুরী, মসজিদের ট্রাস্টি প্রবীণ মুরব্বী আলহাজ্ব আব্দুর রহীম, কাউন্সিলর শহীদুল্লাহ খান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইকবাল ওয়াহিদ, মসজিদের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুর রহমান, আলহাজ্ব ফরিদ মিয়া, আলহাজ্ব আলী আশরাফ প্রমুখ। তাঁর ছাত্রছাত্রী, মুসল্লীয়ান, মুরিদান, মুহিব্বীন ও সর্বস্তরের জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা স্মৃতিচারণ করে বলেন, হযরত আল্লামা মুফতি মুজাহিদ উদ্দীন চৌধুরী দুবাগী ছাহেব (রহ.) লেস্টার শহরে সবাইর কাছে তিনি ‘বড় হুজুর’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। লেস্টারের বাইরে তিনি ‘লেস্টারের সাব’ হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিলেন। লেস্টার দারুস সালাম মসজিদ বিভিন্নভাবে ঐতিহাসিক, যেমন: ১৯৭৮ সালে দুবাগী ছাহেবের আগমনের পূর্বে লেস্টারে বাংলাদেশি কমিউনিটির নিজস্ব কোনো মসজিদ মাদরাসা বা কমিউনিটি সেন্টার ছিল না। তিনি লেস্টারে আসার পর বাংলাদেশি জনগণকে উৎসাহ-উদ্দীপনা দিয়ে মসজিদ মাদরাসা প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী করে তোলেন। পরবর্তীতে এ মসজিদকে কেন্দ্র করে লেস্টারে বাংলাদেশি কমিউনিটির অনেক মসজিদ, মাদরাসা, কমিউনিটি সেন্টার এবং সংগঠন হয়েছে। আল্লামা দুবাগী ছাহেব (রহ.) ছিলেন যুক্তরাজ্যে জৈনপুরী-ফুলতলী মতাদর্শের প্রথম আলিমে দ্বীন। ব্রিটেনে তিনি সর্বপ্রথম এ মসলকের ভিত্তিস্থাপন করেন। যুক্তরাজ্যে এ মসজিদ জৌনপুরী-ফুলতলী মসলকের সর্বপ্রথম মসজিদ। ১৯৭৮ সালে যুক্তরাজ্যে সর্বপ্রথম এই মসজিদে দারুল কিরাত প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। আল্লামা দুবাগী (রহ.) শুধু বাচ্চাদের বিশুদ্ধ কোরআন শিক্ষা দেননি, একইসাথে সাথে তিনি বয়স্কদের জন্যও শুদ্ধ কোরআন শিক্ষা চালু করেছিলেন, এমনকি বয়স্কদের মধ্যেও কেউ কেউ শামসুল উলামা হযরত আল্লামা ফুলতলী ছাহেব (রহ.) থেকে ইলমে কেরাতের সনদও অর্জন করেছেন।
হযরত আল্লামা দুবাগী ছাহেব (রহ.) ছিলেন উস্তাযুল উলামা, প্রখ্যাত মুফতি, শায়খুল হাদীস, মুফাসসির ও উঁচু মার্গীয় সাত কেরাতের ক্বারী। তাকওয়া ও পরহেজগারীসহ বহুগুণের অধিকারী এমন বিশিষ্ট বুযুর্গ ব্যক্তিত্ব ক্ষণজন্মা হয়ে থাকেন। অনেক যুগ কিংবা শতাব্দীর পর এমন বিরল গুণসম্পন্ন ব্যক্তিত্বকে পাওয়া যায়। তাদের কারো সংস্পর্শে আসা সৌভাগ্যের বিষয় হয়ে থাকে। তাঁর লেস্টারের সফল আলোকিত ছাত্রছাত্রী আলিমে-দ্বীন, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, একাউন্টেন্ট, জজ, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, রাজনীতিবিদ এবং উচ্চ পদস্থ সরকারি আমলা হিসেবে বেশ সুনাম ও সুখ্যাতির সাথে খেদমতে খালক করে যাচ্ছেন। সর্বদিক দিয়ে তিনি একজন সফল ব্যক্তি ছিলেন, তাঁর সন্তানগণ সবাই ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত এবং স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত।
সর্বশেষে এ মহতী অনুষ্ঠানে মীলাদ পাঠান্তে দোয়া পরিচালনা করেন দুবাগী ছাহেবের সুযোগ্য বড় ছাহেবজাদা আল্লামা জিল্লুর রহমান চৌধুরী দুবাগী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।