বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্থানীয় দানশীল ব্যক্তিদের দেয়া ৮০ শতাংশ জমির উপরে প্রতিষ্ঠিত গাবতলী উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের করিম পাড়া গ্রামে প্রতিষ্ঠিত ‘করিম পাড়া দাখিল মাদরাসা’ সফরে গিয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তারা প্রায়ই বিস্মিত হন। তাদের বিস্ময়ের কারন, এই নিভৃত পল্লীতে ৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদরাসাটিতে নেই ছাত্র/ছাত্রীর ঘাটতি, নেই ভ‚-সম্পত্তির অভাব, নেই শিক্ষক সল্পতা, দাখিল (এএসসি), জেডিসি (জেএসসি) ‘পাসের হার সবই ভাল, কিন্তু ভাল নেই কেবল মাদরাসার ভবনটিই যা’ রীতিমত বিস্ময়কর!
শুধু শিক্ষা কর্মকর্তারাই নন, যে কোন মানুষই যখন এই মানসম্মত মাদরাসাটি যখন দেখেন এখনও ভাঙাচোরা পুরাতন টিনের চালা ঘরে বসে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে, শিক্ষক-শিক্ষিকারা শিক্ষা দিচ্ছেন তখন সবাই একটা বড় ধরনের ধাক্কা খান, আর মনে মনে বলেন উন্নয়নের জোয়ারে ভাসা এই ডিজিটাল বাংলাদেশে (তাও আবার বগুড়ার মত উন্নত জেলায় ) এমন ভাঙচোরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব এখনও তাহলে আছে?
সম্প্রতি ইনকিলাবের পক্ষ থেকে এই মাদরাসাটি সরেজমিনে পরিদর্শন করতে গেলে মাদরাসার সুপার মোঃ মোজাম্মেল হক জানালেন, আশে পাশের কত মাদরাসা, স্কুল/কলেজ চোখের সামনে বড় বড় বিল্ডিং হয়ে গেল অথচ কেন জানি না আমাদের এই মাদরাসাটি রয়ে গেল সেই আগেরই মতই?
এক প্রশ্নের জবাবে মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, ১৯৭৯ সালে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠার পর ৮৪ তে এটি এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পায়। তারপর থেকেই মাদরাসাটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। ক্রমশ বাড়ছে লেখাপড়ার মান। মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারিদের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই। মুলত সকলেই চেয়েছি, সবার আগে পড়াশোনার মান নিশ্চিত করা তাই হয়তো লবিং এ আমরা কিছুটা পিছিয়ে আছি, হয়তোবা এক্ষেত্রে কিছুটা উদাসিনতাও এক্ষেত্রে কাজ করতে পারে। তিনি পরিসংখ্যান দেখে বললেন, বিগত দাখিল পরিক্ষার ফলাফলে এই মাদরাসার ২৫ জন নিয়মিত পরিক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে। আগামীর জন্য প্রস্ততি নিচ্ছে ৩৫ জন, আশা করি তাদের সবাই পাস করবে।
অপরদিকে কয়েকজন শিক্ষক জানালেন, বিগত ৯৬ - ২০০১ মেয়াদের আ’লীগ সরকারের শেষ সময়ে তৎকালীন সংসদের মহিলা এমপি এবং ২০০১-২০০৬ মেয়াদের বিএনপির এমপি মাদরাসা ভবনের জন্য ডিও লেটার দিলেও সরকার বদলের কারনে মন্ত্রনালয় আর এবিষয়ে আগ্রহ দেখায়নি। তবে গাবতলী এলাকার বর্তমান সংসদ সদস্য এ্যাড. আলতাব আলী কথা দিয়েছেন, তিনি ও এই মাদরাসায় নতুন পাকা ভবনের জন্য সুপারিশ করে ডিও লেটার দেবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।