Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্থান সংকুলান না হওয়ায় গাদাগাদি করে চলছে বরগুনার ঐতিহ্যবাহী একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান

বরগুনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৩:৫২ পিএম | আপডেট : ৩:৫৩ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

বরগুনা সদরের ইটবাড়িয়া কদমতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের শ্রেণিকক্ষে স্থান সংকুলান না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা গাদাগাদি করে পাঠদান করছে দীর্ঘদিন ধরে। সহস্রাধিক শিক্ষার্থীদের জন্য ছোট্ট পরিসরের মাত্র তিনটি কক্ষসহ নানাবিধ সংকটের মধ্যদিয়ে স্থানীয় নামিদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় পাবলিক পরীক্ষায় প্রতিবছর ভালো ফলাফল অব্যাহত থাকলেও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে আসেনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইটবাড়িয়া কদমতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ বরগুনা সদর উপজেলার আয়লাপাতাকাটা ইউনিয়নের কদমতলা বাজারের প্রাণকেন্দ্রে ৫ একর ৪৩ শতাংশ জমির উপর ১৯৬৪ সালে স্থাপিত হয়। বিদ্যালয়টি স্থাপনের পর থেকেই সুনামের সাথে এগুতে থাকলে স্থানীয়সহ দূরদূরান্তের শিক্ষার্থীরাও এখানে লেখাপড়া করে।

ইটবাড়িয়া কদমতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ ১৯৯৯ সালে এমপিওভুক্ত হয়। বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বারো শতের উপরে। ২১ জন শিক্ষকের পদ থাকলেও বর্তমানে ১৪জন কর্মরত আছেন। ১৯৯৪ সালে ৬ কক্ষ বিশিষ্ট একটি দ্বিতল ভবন নির্মিত হয়েছে। যেটি ব্যবহৃত হচ্ছে একাডেমিক ও ল্যাভরেটরি ভবন হিসেবে। ভবনটির অবস্থাও সংকটজনক। জরাজীর্ণ এ ভবনটি যেকোনো মুহূর্তে ধ্বসে বড়ধরণের অঘটন ঘটাতে পারে।

সম্প্রতি সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, ছোট্ট পরিসরের একটি শ্রেণিকক্ষে নবম শ্রেণীর শতাধিক শিক্ষার্থী পাঠদান করছেন। শারমিন জাহান নামের এক শিক্ষার্থী জানান, একটি বেঞ্চে ৪-৫ জন করে বসতে গিয়ে অস্বস্তিকর পরিবেশে ক্লাস করতে হচ্ছে। রুমের আয়তন অনুপাতে অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী একত্রে থাকায় প্রতিনিয়তই কোলাহলযুক্ত পরিবেশ থাকে। একটানা তিন চার ঘন্টা রুমের মধ্যে থাকলে মাথা ঝিম ধরে যায়।

কদমতলা ইটবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের প্রিন্সিপাল আলহাজ্ব মোঃ বশির উদ্দিন জানান, প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই এই বিদ্যালয়টি অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে প্রতিবছর ভালো ফলাফল করছে। বিদ্যালয়ের নিজস্ব পর্যাপ্ত জমি থাকা সত্ত্বেও বহুতল ভবনের অভাবে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এই বিদ্যালয়ে প্রতিবছর বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে পাবলিক পরীক্ষার সকল প্রকার কার্যক্রম অনলাইনের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। অথচ এই বিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে কোন নেটওয়ার্কের সুবিধা না থাকায় পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের ব্যাপক ঝামেলার মধ্যে পড়তে হয়। তিনি আরো জানান, বিদ্যালয়ের জমি লাগোয়া স্থানীয় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে স্কুলের জমি দখল করে আছে। তিনি স্কুলের জমি উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন।

ইটবাড়িয়া কদমতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও আয়লাপাতাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোশাররফ হোসেন জানান, বিদ্যালয়টিতে বহুতল ভবন না থাকায় বিপুল পরিমাণ ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়ার স্বাভাবিক পরিবেশে চালিয়ে আসতে পারছে না। সংশ্লিষ্ট উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের বরাবরে বহুতল ভবন পাওয়ার জন্য আমরা একাধিকবার তাদের দ্বারস্থ হলেও অদ্যোবধি ভবন বরাদ্দের আশ্বাস পাইনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাঠদান

১০ জানুয়ারি, ২০২০
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ