পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অচিরেই পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরে রূপ নিতে যাচ্ছে সিলেট তামাবিল শুল্ক স্টেশন। এখন কেবল উদ্বোধনের অপেক্ষা। এতে দু’দেশের বানিজ্যিক সম্পর্ক আরো সম্প্রসারিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। একই সাথে সরকারের রাজস্ব আয়ের পথ আরো সুগম হবে।
২০০১ সালে সিলেটের তামাবিল শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হলেও কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনের কার্যালয় ছাড়া এখানে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষেও কোন স্থাপনা বা অবকাঠামো ছিল না। গেল বছর বাংলাদেশ সরকারের নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান তামাবিল শুল্ক স্টেশনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ৬৯ কোটি ২৬ লাখ ২৪ হাজার টাকা ব্যায়ে স্থল বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মকান্ড অনেকটা শেষ হয়েছে। এবার উদ্বোধনের অপেক্ষা। নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিক থেকে এই শুল্ক রেস্টশন দিয়ে কৃষি পণ্য ও ফলমূলসহ কয়লা ও পাথর আমদানি রফতানি শুরু হয়। তারপর থেকে কৃষি পণ্য ও ফলমূল আমদানি রফতানির হার কমতে থাকলেও ক্রমাগতভাবে বছরের পর বছর বাড়তে থাকে কয়লা ও পাথর আমদানি রফতানির পরিমাণ। বর্তমানে দেশের ইটভাটা গুলোর জালানী হিসেবে যে পরিমান কয়লার প্রয়োজন তামাবিল শুল্ক স্টেশন দিয়ে আমদানিকৃত কয়লা দিয়ে এর প্রায় ৬০শতাংশ পূরণ হয়ে থাকে ।
বিগত কয়েক বছর আগে এই স্টেশন দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ থাকলেও ২০১০ সাল থেকে পূণরায় পাথর ও আমদানি হচ্ছে পুরোদমে। এতে লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আয় হয় অনেক সময়। স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তারা জানান, বসুন্ধরা টিস্যু, আর এফ এল প্লাস্টিক সামগ্রী এবং প্রাণের ম্যাঙ্গো জুস রফতানি হয়ে থাকে তাও অনিয়মিত। এক সময় এই স্টেশন দিয়ে কয়লা পাথর ছাড়াও কৃষি পণ্য ও ফলমূল আমদানি ও রফতানি করা হতো। কিন্তু এই স্টেশনে রক্ষণা বেক্ষনের ব্যবস্থা না থাকায় কাচামাল আমদানি রফতানি বন্ধ রয়েছে। অবশ্য এবার স্থলবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে আমদানী রফতানীর নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (ট্রাফিক) মো. হাবীবুর রহমান জানান, তামাবিল স্থল বন্দর উদ্বোধন হলে ভারতের মেঘালয়সহ ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, আসাম ও ভূটানের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে। একই সাথে সরকারের ্রপ্রতিবছর এই স্থলবন্দর থেকে শত কোটি টাকার উপরে রাজস্ব আয় হবে। মো. হাবীবুর রহমান আরো জানান, গত সপ্তাহেই উদ্বোধনের কথা ছিল। অতিথিদের সিডিউল না মেলায় পেছানো হয়েছে। আশা করছি দ্রæততম সময়েই তামাবিল স্থলবন্দর উদ্বোধন হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।