Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

টিসিবি সুফল পাচ্ছে না দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলবাসী

প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এ.টি.এম. রফিক, খুলনা থেকে ঃ বাজার দর নিয়ন্ত্রণে সরকারি বাণিজ্য সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাধারণ মানুষের কোন উপকারে আসছে না। টিসিবি খুলনাঞ্চলের ১৪ জেলার ১৬১ জন ডিলার পণ্যই উঠায়নি। মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে শেষ হয়ে গেছে চিনির মজুদ। গত কয়েকদিন ধরে তেলও মিলছে না ডিলারদের ট্রাকে। বর্তমানে ছোলা ও মশুর ডালের সাথে সেমাই ও রুহ আবজা বিক্রি করছে টিসিবির ডিলার। পবিত্র রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে গত ২৯ মে থেকে খোলা বাজারে তেল, চিনি, ছোলা ও মশুর ডাল বিক্রি শুরু করে টিসিবি।
টিসিবি’র খুলনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রমজানে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা এবং ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ি ও পিরোজপুরসহ মোট ১৪টি জেলায় বিক্রির জন্য ১৪০ টন চিনি, ৮০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল, ২৪০ টন ছোলা এবং ৭০ টন মশুর ডাল বরাদ্দ দেয়া হয়।
সূত্রটি জানায়, খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের অধীনে ৫৪২জন ডিলার রয়েছেন। এরমধ্যে ১৬১ জন ডিলার পণ্য উত্তোলন করেছেন। এছাড়া প্রতিদিন খুলনা মহানগরীতে ৮টি ট্রাকে এবং জেলাগুলোয় দুটি ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করা হয়েছে। ট্রাকের ডিলাররা প্রথমে ৪০০ কেজি করে চিনি, ৩০০ লিটার করে তেল পেয়েছিলেন। পরে তা’ কমিয়ে ৩০০ কেজি চিনি এবং ১৫০ লিটার করে তেল দেওয়া হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় চত্বরে, নগরীর ময়লাপোতা, শান্তিধাম মোড়, গলামারী, নিউমার্কেট, বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়ে টিসিবির ট্রাকেও তেল এবং চিনি পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে টিসিবির ডিলার মোঃ সেলিম জানান, তিনদিন চিনি দেয়া হচ্ছে না। তেল কিছুদিন ২০০ লিটার দিয়েছে। এখন দিচ্ছে ১৫০ লিটার। পণ্যের অভাবে শুক্রবার ও শনিবার বিক্রি বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
নিউমার্কেট এলাকায় টিসিবির ট্রাকের সামনে কথা হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামানের সঙ্গে। তিনি অভিযোগ করেন, এবার তেল ও চিনির মান ভালো। দামও ছিল বাজারের চেয়ে কম। এজন্য বেশিরভাগ পণ্যই কালোবাজারে বিক্রি হয়ে গেছে। না হলে বেলা ১১টার মধ্যে সব তেল বিক্রি হয় কিভাবে?
সংশিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন পর এবারই টিসিবির সবগুলো পণ্যের মান অনেক ভালো ছিল। দামও ছিল অনেক কম। এজন্য মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। টিসিবির ট্রাকে প্রথম দিন থেকেই ভিড় ছিল। আগে নিম্নবিত্তদের লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনতে দেখা যেত, কিন্তু এ বছর ব্যক্তিগত গাড়ি থামিয়ে অনেক উচ্চবিত্ত পরিবারের মানুষকেও টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে দেখা গিয়েছিল। তখন ক্রেতারা কালোবাজারে কোনোভাবেই যাতে পণ্য বিক্রি না হয় সেজন্য কঠোর নজরদারির অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে সেটা হয়নি। এজন্য অনেক ডিলার পণ্য উত্তোলন করে কিছু পণ্য খোলা বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন।
টিসিবি’র আঞ্চলিক কার্যালয়ের ইনচার্জ রবিউল মোর্শেদ জানান, চিনির মজুদ আরও কয়েকদিন আগে শেষ হয়ে গেছে। তেল আছে মাত্র ৫০০ লিটার। প্রতিদিন ডিলারদের সামান্য কিছু তেল দেয়া হয়। যা দ্রæত বিক্রি হয়ে যায়। এজন্য ট্রাকে তেল ও চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। ট্রাকে বিক্রি কার্যক্রম তদারকির জন্য লোক থাকে। কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ সঠিক নয়। রমজানে নতুন করে পণ্য আসেনি। এজন্য আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টিসিবি সুফল পাচ্ছে না দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলবাসী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ