Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রোহিঙ্গাদের পক্ষে যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষরে অস্বীকৃতি ভারতের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ভারত। গত বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার বালির নুসা দুয়া অবকাশযাপন কেন্দ্রে ওয়ার্ল্ড পার্লামেন্টারি ফোরামের টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক সম্মেলনের শেষ দিনে আনা প্রস্তাবে এ অস্বীকৃতি জানিয়েছে নয়া দিল্লি। ওয়ার্ল্ড পার্লামেন্টারি ফোরামের এ বৈঠকে ভারতের পক্ষে যোগ দিয়েছেন লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। বালির ওই যৌথ ঘোষণায় সব পক্ষকে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে সহিংসতার পরিবর্তে সর্বোচ্চ আত্মসংযমের চর্চা, ধর্ম ও জাতিগত ভিন্নতা সত্তে¡ও রাখাইন রাজ্যের সব জনগণের মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনসহ সেখানে মানবিক সহায়তার নিরাপদ প্রবেশের নিশ্চয়তা প্রদানের আহŸান জানানো হয়। ভারতের স্বাক্ষর না করার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে লোকসভা সচিবালয় থেকে দেওয়া এক বিৃবতিতে বলা হয়েছে, ফোরামের সমাপনীতে যে প্রস্তাবটি আনা হয়েছিল সেটি টেকসই উন্নয়নের বৈশ্বিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এর একদিন আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মিয়ানমার সফর করেছেন। ওই সময় তিনি রাখাইন রাজ্যে চরমপন্থিদের সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমার সরকারের পদক্ষেপের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। খবরে বলা হয়, ভারতের লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজনের নেতৃত্বে ওই সম্মেলনে গত বৃহস্পতিবার বালি ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়েছে। ওই ঘোষণাপত্রে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। তবে এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে ভারত। রাখাইনে দ্বিতীয় বারের মতো যে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে তা যথার্থ নয় বলে নিজেদের ওই ঘোষণাপত্র থেকে সরিয়ে নিয়েছে নয়াদিল্লি। ওয়ার্ল্ড পার্লামেন্টারি ফোরাম অন সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট সম্মেলনে ভারতের সংসদীয় প্রতিনিধি দল জানিয়েছে, সম্মেলনের ঘোষণাপত্রটি টেকসই উন্নয়ন নীতিমালার সঙ্গে যায় না। ওই প্রতিনিধিদলের তরফ থেকে আরো বলা হয়েছে, ভারত সব সময়ই টেকসই উন্নয়ন নীতিমালাকে সমর্থন করে আসছে। বৈশ্বিক বিষয় এবং টেকসই উন্নয়ন শীর্ষক নীতিমালা আলোচনাই এই ঘোষণাপত্রের লক্ষ্য হওয়ার কথা। এর আগে নির্দিষ্ট কোনো দেশের কোনো বিষয় ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি যেমনটা এবারের ঘোষণাপত্রে করা হয়েছে। এ কারণেই এই ঘোষণাপত্র থেকে সরে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারত। এর আগে রাখাইন রাজ্যের সহিংসতা নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেতা অং সান সু চি। তার মতে, সন্ত্রাসীদের স্বার্থে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর মাধ্যমে উত্তেজনা উসকে দেয়া হচ্ছে। বালি ঘোষণাপত্র থেকে সরে গিয়ে সু চি সরকারের প্রতিই নিজেদের সমর্থন প্রকাশ করল ভারতের প্রতিনিধি দল। এই সম্মেলনের আগেই রোহিঙ্গা ইস্যুর সঙ্গে কাশ্মির ইস্যুর মিল আছে বলেও উল্লেখ করেছিলেন সু চি। তার মতে, কাশ্মির ইস্যুতে ভারত যে ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে, তারাও ঠিক একই রকম সমস্যায় পড়েছেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের নিরপরাধ নাগরিকদের রক্ষার চেষ্টা করছি। ভারতীয়রা এ বিষয়টি ভালোভাবে বুঝবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। রয়টার্স, বিবিসি।



 

Show all comments
  • Salman Ahmed ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:২৩ পিএম says : 0
    India is one of the biggest anime of Muslims.
    Total Reply(0) Reply
  • Sumon Ahmed ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:২৪ পিএম says : 0
    ভারতের মোদি সমগ্র মানব জাতির সাতে বেঈমানি করেছে
    Total Reply(0) Reply
  • Shihab Ahmed ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:৩৪ পিএম says : 0
    এটাই তাদের আসল চেহারা। আর এ ভারত হলো আমাদের প্রাণ বন্ধু।
    Total Reply(0) Reply
  • Shawkat Akbar ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:৩৪ পিএম says : 0
    দাদারা নিজের স্বার্থই বুজে। মানবতা বুজেনা।
    Total Reply(0) Reply
  • Rafiq Ullah ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:৩৫ পিএম says : 0
    তাঁরা তাদের জাতীয় চরিত্র দেখিয়ে দিয়েছে
    Total Reply(0) Reply
  • আবু রায়হান ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:৩৫ পিএম says : 0
    রোহিঙ্গারা মুসলমান তো
    Total Reply(0) Reply
  • Nurun Nabi ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৬:৪৭ পিএম says : 0
    India will need corridor to take gas and oil from Myanmar to Bangladesh. India will get it.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ