Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোহিঙ্গাদের নিয়ে মোদি-সু চি সংলাপ

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : অং সান সু চির অনতিদূরে দাঁড়িয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা নিয়ে মিয়ানমারের উদ্বেগ আমলে নিয়েছে ভারত। এর জবাবে মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো সরকারপ্রধান সু চি বলেছেন, স¤প্রতি মিয়ানমার যে সন্ত্রাসী হুমকি মোকাবিলা করছে, তার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়ায় ভারতকে ধন্যবাদ। মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদোয় প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে গতকাল বুধবার যৌথ সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন মোদি ও সু চি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি দুই দিনের সরকারি সফরে মিয়ানমারে রয়েছেন। গতকাল বুধবার রাজধানী নেইপিদোর প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকের পর দুই নেতা যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় মোদি বলেন, ‘যখন দেশটি একটি শান্তি প্রক্রিয়ায় আসছে অথবা সমস্যা সমাধানের পথে আছে, তখন আমরা চাই মিয়ানমারের ঐক্য ও সার্বভৌমত্বের জন্য সব পক্ষ একসঙ্গে কাজ করবে। খবরে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সা¤প্রতিক সহিংসতা নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন অং সান সু চি। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা শুরু হলেও গত ১২ দিনে মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন তিনি। নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছিলেন। তার এ মৌনব্রত পালন নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনা হয়। সু চি দাবি করেছেন, রাখাইন রাজ্যের সব মানুষের রক্ষায় কাজ করছে তার সরকার। তবে সংঘর্ষ নিয়ে ‘ব্যাপকভাবে ভুল তথ্য’ চাউর হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন এবং বলেছেন, এতে সন্ত্রাসীদের স্বার্থ প্রচার পাচ্ছে। মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো সরকারপ্রধান ও রাষ্ট্রীয় পরামর্শক নোবেলজয়ী সু চির কার্যালয় জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সময় এমন মন্তব্য করেন নেত্রী। ১২ দিনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী রাখাইন রাজ্যে কমপক্ষে ৪০০ রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে। শত শত বসতবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। প্রাণ নিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পথেও তাদের হত্যা করা হয়েছে। শিশু-বৃদ্ধ কেউ-ই মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর বর্বরতার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এরই মধ্যে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার রোহিঙ্গা। তারা বাঁচাতে চাইছে। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ইতিহাসের এই নির্মম অত্যাচারের মধ্যে শেষ পর্যন্ত যে কথা বললেন সু চি, তা তার আগের অবস্থানের পুনর্ব্যক্তি ছাড়া কিছুই নয়। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের সাংবিধানিকভাবে নাগরিকত্বের অধিকার না দেওয়ায় সংখ্যালঘু এই জাতিটি মূলত রাষ্ট্রহীন ও ভাসমান। মিয়ানমারে কঠোর নিয়ম-কানুন মেনে কোনোমতে বেঁচে আছে তারা। প্রায় ৭০০ বছর ধরে রোহিঙ্গারা রাখাইন রাজ্যে (সাবেক আরাকান রাজ্য) বসবাস করলেও মিয়ানমার সরকার দাবি করে, তারা বাঙালি। এ বিষয়ে সু চির বক্তব্যও তাই। এরদোগানের সঙ্গে কথোপকথনের বিষয় নিয়ে গতকাল বুধবার বিবৃতি প্রকাশ করে সু চির কার্যালয়। স্থানীয় গণমাধ্যমে তার বিবৃতি ছাপা হয়েছে। তিনি তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে বলেছেন, যতটা সম্ভব সবচেয়ে উত্তম উপায়ে রাখাইনের সব মানুষকে রক্ষার কাজ শুরু করেছে তার সরকার। সু চিকে উদ্ধৃত করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা ভালো করেই জানি, অনেক বেশিই ভালো জানি, মানবাধিকারের বঞ্চনা ও গণতান্ত্রিক সুরক্ষার অর্থ। সুতরাং আমরা নিশ্চিত করছি, আমাদের দেশের সব মানুষের অধিকারের সুরক্ষা আছে এবং সেই অধিকার, যা শুধু রাজনৈতিক নয়, বরং সামাজিক ও মানবিক সুরক্ষার অধিকর। বিবৃতিতে সু চির উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, সংঘর্ষ নিয়ে অনেক ভুল সংবাদ ও ছবি প্রকাশ করা হচ্ছে, যা ব্যাপকভাবে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। বিভিন্ন স¤প্রদায়ের মধ্যে সমস্যা বাড়াতে এবং সন্ত্রাসীদের স্বার্থ প্রচারের উদ্দেশ্যে এ কাজ করা হচ্ছে। রয়টার্স, টাইমস অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া টুডে।



 

Show all comments
  • ibrahim islam Emon ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৪:৩২ পিএম says : 0
    ছালাম তুকি্ সুলতান ছালাম মুসলিম বিস্বের রাস্ট্র প্রধানদের উদ্দেশ্যে বলছি অাপনারা রাজনিতি করুন একমাত্র মহান অাল্লাহর জন্য মুসলমানদের বিপদে এগিয়ে অাসুন অাপনারা অাজই ঘোসোনা দিন জারজ ইসরাইল এবং মিয়ানমারের সকল পন্য বজ্ন করুন অাপনারা মুসলমান দেশের সাথে বানিয্য করুন এমন ভাবে মনে করুন বেইমানদের কোন দেশ পৃথিবিতে নেই প্রতিটি মুসলিম ভাইবোনদের অপমান নিজের অপমান বলে মনে করুন অামাদের নিজেদের মধ্যে কোন সমস্য থাকলেও বেইমানদের বিরুদ্ধে সকলে এক থাকুন অার অাপনারা সামরিক খাতকে মহা শক্তিশালি করার জন্য একে অপরের সাহায্য নিন কেউ নিজেকে বড় ছোট মনে না করি শুধু একমাত্র অাল্লাহু তাঅালার জন্য অন্যাথায় অামাদের মা বোনদের লানচিত হতে হবে যুগযুগ ধরে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ