পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
কোনো অমুসলিম প্রধান রাষ্ট্র নয়। মুসলিম অধ্যুষিত দেশ তাজিকিস্তানে নিষিদ্ধ করা হয়েছে হিজাব। ধর্মনিরপেক্ষ ওই দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৯৮ ভাগ মানুষ মুসলিম।হিজাব অত্যন্ত বিপজ্জনক একটি পোশাক। সে কারণে সমগ্র দেশ জুড়ে বাতিল করা হল হিজাব। খবর দি ডেইলি কলার।
হিজাব নিষিদ্ধ নির্দেশিকার সপক্ষে একটি বিল আনা হয় তাজিকিস্তানের আইনসভায়। আইন প্রণেতারা তা অনুমোদন করেন। ওই দেশের সংস্কৃতি মন্ত্রী শামসিদ্দিন ওরামবেকজোদার বলেছেন, “ইসলামিক পোশাক অত্যন্ত বিপজ্জনক। হিজাব পরিহিত মহিলাদের দিকে সাধারণ মানুষ সন্দেহ এবং আতঙ্কের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে যা মহিলাদের পক্ষে অত্যন্ত অপমানজনক।”
ইসলামিক পোশাকের সমালোচনা করে তাজিকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘মুসলিম প্রধান দেশ হলেও তাজিকিস্তান একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। হিজাব নিষিদ্ধ হলেও তাজিকিস্তানের ঐতিহ্যশালী পোশাক মহিলাদের জন্য আবশ্যিক।’ মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রে এই ধরণের সিদ্ধান্ত যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ তা বলাই বাহুল্য।
দি ডেইলি মেইল-এর খবরে বলা হয়, তাজিকিস্তানে আগে থেকেই হিজাব পরার উপর কড়াকড়ি ছিল। হিজাব পরিহিত মহিলাদের সরকারী অফিসে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। ২০১৬ সালে তাজিক কর্তৃপক্ষ ১৬শ’ মহিলার হিজাব খুলে ফেলতে বাধ্য করে। ১৩ হাজার লোকের দাড়ি কামিয়ে দেয়, হিজাব বিক্রয় করা ১৬২টি স্টোর বন্ধ করে। এ বছর গত মাস পর্যন্ত তাজিক পুলিশ ৮ হাজার মহিলাকে জানায় যে হয় তাদের ঐতিহ্যবাহী তাজিক রীতিতে হিজাব পরতে হবে নয় তা খুলে ফেলতে হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা হচ্ছে হিজাবের কফিনে শেষ পেরেক।
তাজিক মানবাধিকার কর্মী অনিখল বোবোনাজারোভা রেডিও ফ্রি ইউরোপকে বলেন, আমি কি পরব তার সিদ্ধান্ত আমার। আমি কি পরব তা বলার অধিকার আর কারো নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।