পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কাজ ও খাবারের আশায় অপেক্ষা তবে ত্রাণ মিলছে সামান্য : অভাব-অনটনকে পুঁজি করে মহাজনি সুদের কারবার বিস্তার : ১৩ নদ-নদী ১৫টি পয়েন্টে বিপদসীমার ঊর্ধ্বে : অবশেষে পদ্মা বিপদসীমার নিচে, সুরমা-কুশিয়ারায়ও পানি কমছে
দেশের ছয়টি বিভাগের আওতায় অর্ধেক জেলা এবার দীর্ঘস্থায়ী বন্যা কবলিত হয়। তবে এখন বানের পানি ভাটির দিকে নামছে অব্যাহতভাবে। সর্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরও উন্নতির দিকে রয়েছে। কিন্তু বন্যা কবলিত গ্রাম-জনপদে বিরাজ করছে শুধুই হাহাকার। কাজকর্মের তালাশে এবং খাবারের আশায় দিন গুনছে লাখ লাখ অসহায় বন্যার্ত নর-নারী, শিশু-বৃদ্ধ। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে এখনো বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের অভাব প্রকট। বিভিন্ন স্থানে এ যাবত খাদ্য-ওষুধসহ ত্রাণ সামগ্রী গেছে খুবই অপ্রতুল পারিমানে। তা কারো কারো ভাগ্যে জুটছে, অধিকাংশই এখনো পায়নি। অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে বন্যার্তরা। আর এই সুবাদে অগণিত বানভাসি মানুষের নিত্যদিনের অভাব-অনটনকে পুঁজি করে মহাজন ও কতিপয় এনজিওর সুদের কারবার জমজমাট হয়ে উঠছে দিন দিন। বিস্তৃত হচ্ছে সুদি মহাজনি কালো থাবা। যেন বন্যার মতো আরেক করাল গ্রাসের মতোই।
এদিকে গতকাল (মঙ্গলবার) দীর্ঘদিন পর পদ্মা নদী অবশিষ্ট দু’টি পয়েন্টে বিপদসীমার নিচে নেমেছে। বৃহত্তর সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার উপর থেকে কমতে শুরু করেছে। রাজধানী ঢাকা সংলগ্ন নদী টঙ্গী-খালের পানি বিপদসীমার ঊর্ধ্বে গিয়ে ফের হ্রাস পেয়ে বিপদসীমা বরাবর রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি ও নদ-নদী প্রবাহের সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত অনুসারে, গতকাল ১৩টি নদ-নদী ১৫টি পয়েন্টে বিপদসীমার ঊর্ধ্বে প্রবাহিত হয়। দেশের নদ-নদীসমূহের ৯০টি পানির সমতল পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে পানি হ্রাস পায় ৭৩টিতে, বৃদ্ধি পায় ১৫টিতে। অন্যতম প্রধান দুই অববাহিকা গঙ্গা-পদ্মা ও ব্রহ্মপুত্র-যমুনায় পানি হ্রাস অব্যাহত রয়েছে। আর মেঘনা অববাহিকায় অবস্থিত সুরমা-কুশিয়ারাসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে গত তিন দিনে পানি বেড়ে গিয়ে আবার কমতে শুরু করেছে। উত্তর-পূর্ব ভারতে গত সপ্তাহে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বর্ষণে উজানে বরাকের ঢলের পানি ভাটিতে বৃহত্তর সিলেটের নদ-নদী ফুলে-ফুঁসে উঠেছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পূর্বাভাসে জানা গেছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি হ্রাস পেতে পারে। অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদে এবং গঙ্গা-পদ্মা নদীর উজান ও ভাটিতে পানি হ্রাস আগামী ৪৮ ঘণ্টায়ও বজায় থাকতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে দেশের নদ-নদী পরিস্থিতি ও পূর্বাভাসে জানা যায়, গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা এই তিনটি অববাহিকায় ভারতীয় ও বাংলাদেশ অংশে পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর ভারতীয় অংশের গোয়াহাটিতে ১১ সেমি, পান্ডুতে ৮ সেমি, গোয়ালপাড়ায় ৮ িেম এবং ধুবরীতে ৬ সেমি হারে পানির সমতল হ্রাস পেয়েছে। দেশের উত্তরাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানির সমতল হ্রাস অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি বজায় থাকবে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল হ্রাস অব্যাহত আছে। মেঘনা অববাহিকার সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানিও হ্রাস পাচ্ছে। ঢাকার আশপাশের নদীগুলোতে পানির সমতল কমতে শুরু করেছে। উল্লেখযোগ্য নদ-নদীসমূহের প্রবাহের সর্বশেষ অবস্থান ছিল, উত্তরের জনপদে চক-রহিমপুরে করতোয়ার পানি বেড়ে বিপদসীমার ২ সেমি উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদের পানি হ্রাস অব্যাহত থাকায় গত সোমবার সিরাজগঞ্জে বিপদসীমার নিচে নেমেছে। সিংরায় গুর নদীর পানি আরো হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৫৯ সেমি উপরে প্রবাহিত হয়। আত্রাই নদীর পানি আরও হ্রাস পেয়ে বাঘাবাড়িতে বিপদসীমার ৭ সেমি এবং ধলেশ্বরী নদীর পানির সমতলও আরো কমে গিয়ে টাঙ্গাইলের এলাসিনে ১৬ সেমি উপরে প্রবাহিত হয়। উত্তরাঞ্চলে মহানন্দা নদীর পানি গতকাল আরো হ্রাস পেয়ে রোহনপুরে বিপদসীমার ২৩ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। গঙ্গা নদীর ভাটিতে পদ্মায় পানি হ্রাস অব্যাহত থাকায় সর্বশেষ দুটি পয়েন্টে ভাটিতে গোয়ালন্দে এবং সুরেশ্বরে বিপদসীমার নিচে নেমে গেছে।
অপরদিকে মেঘনা অববাহিকায় সিলেটের সুরমা নদীর পানির সমতল গত সোমবার বাড়লেও গতকাল ফের কমে গিয়ে কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৮ সেমি উপরে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুশিয়ারা নদীর পানির সমতল ৩টি পয়েন্টে বেড়ে ফের কমছে। এরফলে অমলশীদে বিপদসীমার ৭৮ সেমি, শেওলায় ৭২ সেমি এবং শেরপুর-সিলেটে ১৮ সেমি উপরে প্রবাহিত হয়। খোয়াই নদী হবিগঞ্জের বাল্লাহ পয়েন্টে বিপদসীমার নিচে নেমেছে। দিরাইয়ে পুরাতন-সুরমা নদীর পানি অপরিবর্তিত থেকে বিপদসীমার ১২ সেমি উপরে, নেত্রকোণা জেলায় কংস নদীর পানি হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৩৭ সেমি উপরে, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় তিতাস নদীর পানি কিছুটা কমে বিপদসীমার ৩৯ সেমি উপরে প্রবাহিত হচ্ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।