পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বন্যার ঘোলা পানি হতে থিতিয়ে পড়া নরম মাটির স্তর, নদীবাহিত এ মৃত্তিকাকে বলা হয় পলি। এই পলি জমির উর্বরতা বাড়ায়। সৃষ্টি করে অধিক ফলনের সম্ভবনা। প্রকৃতি চলে নিজস্ব নিয়মে। বন্যায় দেশের প্রায় ৩৩টি জেলা ভাসিয়ে দিয়েছিল। নদী অববাহিকার ওই জেলাগুলোর বন্যার ঘোলা পানি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। পানি এখন চলে গেছে। কিন্তু রেখে গেছে পলির স্তর। তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, পদ্মা, যমুনা, করতোয়া, ঘাঘটসহ প্রায় দুই ডজন নদী অববাহিকায় বালুর ওপর বন্যার ঘোলা পানি ফেলে গেছে পলি। সে পলি সৃষ্টি করেছে শীতকালীন সবজি, রবি শস্য ও আমনে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। এখন প্রয়োজন শুধু বীজ-চারা। বন্যা দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর সর্বনাশ করলেও কৃষককের আগামী ফসলের জন্য আশীর্বাদও বটে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবীদ মো. গোলাম মারুফ ইনকিলাবকে বলেন, বন্যায় কৃষকের ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় মাটিতে পলি পড়ায় জমির উর্বরতা বাড়বে। যে সুযোগকে কাজে লাগালে হবে বাম্পার ফলন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. এম এ হাশেম ইনকিলাবকে বলেন, বৃষ্টি-বন্যার নেতিবাচক সামাজিক-অর্থনৈতিক প্রভাবের পাশাপাশি ইতিবাচক ফল রয়েছে। বন্যায় বড় ধরণের ক্ষতি না হলে এটা আমাদের জন্য আশীর্বাদ।
বন্যা ও বৃষ্টি শুধু কৃষকের সর্বনাশই নয়, সম্ভবনাও সৃষ্টি করে। বানের পানিতে ভেসে আসা পলিমাটি জমির যেমন- উর্বর শক্তি বাড়ায়। তেমন ফলন বৃদ্ধি করে। অধিক ফলনের জন্য সার ব্যবহার করায় জমির উপরিভাগের মাটি শুষ্ক হয়। সে মাটিতে পলি পড়লে জমির উর্বরা শক্তি অধিক বৃদ্ধি পায়। আর তার সুফল হিসেবে আসন্ন আমনে বাম্পার ফলন, রবি শস্য ও শীতকালীন সবজি আবাদেও অধিক সাফল্য আসবে মনে করছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাময়িক ক্ষতির পাশপাশি উপকারও বয়ে আনে। বন্যায় কৃষিজমিতে নতুন পলির যে স্তর পড়েছে তা চলতি মওসুমে ধানের বাম্পার ফলন ও সবজি চাষে সহায়ক হবে। এদিকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য চারা, বীজ ও সারসহ কৃষি প্রণোদনা অনেক কাজে আসবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও বন্যায় ফসলের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষকদের করণীয় সম্পর্কে ইতোমধ্যে একটি পরামর্শমূলক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান ইনকিলাবকে বলেছেন, আগামী দু’এক মাসের পূর্বাভাসে বড় ধরণের কোন দুর্যোগের সম্ভাবনা নেই। তবে আগামী দু’একদিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। যা ফসলের জন্য উপযোগী।
সূত্র মতে, প্রতিবছরই কমছে ফসলি জমি। তারপরও সরকার আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সর্বোচ্চ ফলন নিশ্চিত করছে। এবার অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পানির লবণাক্ততা কেটে গেছে। যা আগামী দিনে ফসল ফলনের জন্য ইতিবাচক। গত ২ বছর ধরে বৃষ্টির ধারাবাহিকতা ভালো। এখনো বৃষ্টি হচ্ছে দেশের অধিকাংশ জেলায় তাই এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় আমনের ফলন, রবি শস্য (ডাল ও তেল জাতীয়) এবং সবজির ফলনে অধিক সাফল্য আসবে বলে মনে করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তাদের তথ্য মতে, প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত হওয়ায় এ মৌসুমে শীতকালীন সবজি শিম, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, লালশাক, মূলা, পেঁপে ও কলার আবাদেও ভালো সাফল্য আসবে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. এম এ হাশেম ইনকিলাবকে বলেন, বৃষ্টি-বন্যার নেতিবাচক সামাজিক-অর্থনৈতিক প্রভাবের পাশাপাশি কিছু ইতিবাচক ফল রয়েছে। বন্যায় বড় ধরণের ক্ষতি না হলে এটা আমাদের জন্য আশীর্বাদ। একই সঙ্গে বৃষ্টি হওয়ায় ফসলি জমি ফাটে না। ফসলের জন্য উপযুক্ত পরিমান পানি থাকে ফলে ফলন ভালো হয়। এছাড়া বৃষ্টিতে জমিতে থাকা লবণসহ অন্যান্য ক্ষতিকর দ্রব্যাদি নদীতে চলে যায়। জোয়ারের মাধ্যমে নতুন পলি পড়ে। যা আমাদের ফসলের জন্য আশীর্বাদ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবীদ মো. গোলাম মারুফ ইনকিলাবকে বলেন, বন্যায় কৃষকের ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু বন্যার পরে মাটিতে পলি পড়ায় উর্বরতা বাড়বে। যে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাম্পার ফলনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, এবারে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৫৩ লাখ হেক্টর। এখন পর্যন্ত ফসলের যা ক্ষতি হয়েছে তাকে ক্ষতি বলবো না। কারণ ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বীজ রোপনের সময় আছে। এর মধ্যে লক্ষ্যমাত্রায় পৌছাতে কোনো সমস্যা হবে না। মো. গোলাম মারুফ বলেন, অধিদপ্তর থেকে বীজ দেয়া হয়েছে। চাষীকে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা হিসেবে সার ও চারা সরবরাহ করা হবে। গত শনিবার গাইবান্ধায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদের মধ্যে বীজ ও চারা সরবরাহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘বন্যার পর যাতে কৃষকরা গম, ডালসহ সব ধরণের শস্য চাষাবাদ করতে পারে সেজন্য ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের বিশেষ প্রনোদনার কথা বলেন। একই সঙ্গে বন্যা কবলিত এলাকায় কোন ধরণের ব্যাংক ঋণের সুদ আদায় করা হবে না। কৃষির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিনাজামানতে সুদমুক্ত ঋণ, আমন ধানের চারা বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে ৫৮ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা বিতরণ করা করার ঘোষণা দেন।’
মো. গোলাম মারুফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে কৃষি সেক্টরের ধারাবাহিক অগ্রগতি আসছে। চাল নিয়ে সাময়িক সমস্যা দেখা দিলেও দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ। এই কৃষিবিদ বলেন, বর্তমান সরকার নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে, তা মাঠে প্রয়োগে এবং কৃষকের চাহিদামত উপকরণের যোগান দিতে সর্বদা তৎপর। তিনি বলেন, কৃষি উন্নয়নের সব রকম আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্রমহ্রাসমান জমি থেকে সর্বোচ্চ ফলন নিশ্চিতে কাজ করা হচ্ছে। এ বছরও ফসলের বাম্পার ফলন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) প্রটোকল অফিসার মাহবুবা আফরোজ চৌধুরী জানান, বারি এ পর্যন্ত ২০০টিরও বেশি ফসলের ৪৭১টি উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিডসহ), রোগ প্রতিরোধক্ষম ও বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ প্রতিরোধী জাত এবং ৪৫২টি অন্যান্য প্রযুক্তিসহ এ যাবত ৯০০ টিরও বেশি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। যে কারনে এসব ফসলের আবাদে আশানুরুপ সাফল্যও আসছে। ইতোমধ্যে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্রমহ্রাসমান জমি থেকে সর্বোচ্চ ফলন নিশ্চিত করা হয়েছে।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল এনভায়রণমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ও গবেষক প্রফেসর জহির বিন আলম ইনকিলাবকে বলেন, এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে দেশে বৃষ্টি হচ্ছে। যা এখনও বিরাজমান। কয়েকবছর থেকে ধারাবাহিকভাবে দেশে বৃষ্টি হচ্ছে। ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তরকে অনেক উপরে নিয়ে এসেছে। যা ধানসহ অন্যান্য রবি শষ্যের জন্য অত্যান্ত উপযোগী। তবে এবারের বন্যায় কৃষকের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে সুনামগঞ্জ এলাকায়। এই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা কৃষকের জন্য অনেকটা কষ্টসাধ্য হবে বলে মনে করেন তিনি। এক্ষেত্রে তিনি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক প্রণোদনাসহ ভর্তুকি ও সুলভ মূল্যে চারা, বীজ, সারসহ সেচব্যবস্থা নিশ্চিত করার তাগিদ দেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক চৈতন্য কুমার দাস বলেন, আমন ধান চাষের ক্ষেত্রে সাধারণত ভূগর্ভস্থ পানির উপর নির্ভর করতে হয়। বৃষ্টি বেশি হওয়ায় ফসলের জন্য ভূ-গর্ভস্থ পানির উপর নির্ভরশীলতা কমবে। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে বর্তমান পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে দেশের অধিকাংশ জেলায় বৃষ্টি এবং সম্প্রতি বন্যা হওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তরকে উপরের দিকে নিয়ে আসবে। যা আমাদের জন্য ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেন তিনি। একই সঙ্গে বন্যায় ফসলের কিছুটা ক্ষতি হলেও মাটিতে পলি পড়ায় উর্বরতা বাড়ে। পরবর্তীতে অধিক ফলনের সুযোগ চলে আসে।
চৈতন্য কুমার দাস বলেন, প্রতিবছর সেপ্টেম্বরে খড়া শুরু হয়। দেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, কৃড়িগ্রাম, লালমনিরহাট এবং রাজশাহী এই সময়ে পানির অভাবে প্রচন্ড খড়া দেখা দিতো। শুকিয়ে চৌচির হয়ে যেত, যার বিরুপ প্রভাব আমাদের পরিবেশের উপর পড়ে। জলবায়ুজনিত এই প্রভাব থেকে উত্তরণে কিছুটা হলেও এবারের বৃষ্টি কাজ করবে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এ বছরে এখন পর্যন্ত যে বৃষ্টি হয়েছে এটা আমাদের জন্য দরকার ছিল। তবে সারাদেশে বন্যা হলেও উঁচু এলাকা পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুরে বন্যার প্রকোপ ছিলো না। এছাড়া নওগাঁ এলাকায়ও বন্যা হতো না বললেই চলে। এবার সেখানেও কিছু এলাকায় বন্যা হয়েছে। তাই এসব এলাকার শীতকালীন ফসল আলু ও ভুট্টার বাম্পার ফলনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
চৈতন্য কুমার দাস বলেন, কয়েক বছর থেকে জলবায়ুর বিরুপ প্রভাবের কারণে আমাদের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গিয়েছিল, অনেকদিন স্থায়ী বৃষ্টি হওয়ায় এটা কিছুটা হলেও ব্যালেন্স হবে। তাই চলতি বছরে দেশে আমনের ফলন, রবি শষ্য ও শীতকালীন সবজিতে অধিক সাফল্য আসবে বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া বৃষ্টি ও বন্যার পর রবি ফসলের (ডাল, তেল, গম ও ভুট্টা জাতীয়) ফলন ১০ থেকে ৫০ শতাংশ বেড়ে যায়। তবে প্রথমবার যে ফসলের চাষ করা হবে সেই ফসলেই এই সুবিধা পাওয়া যাবে বলে জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা।
এদিকে বন্যায় ফসলের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষকদের করণীয় সম্পর্কে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বা আংশিক হয়েছে, এমন জমির ক্ষেত্রে- বন্যার পানিতে ভেসে আসা কচুরিপানা, পলি, বালি এবং আবর্জনা যত দ্রæত সম্ভব পরিষ্কার করা। বন্যার পানি সরে যাওয়ার পর ৫-৭ দিন কাদাযুক্ত ধান গাছ পরিষ্কার পানি দিয়ে, প্রয়োজনে স্প্রে মেশিন দিয়ে ধৌত করা। তবে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরপরই সার প্রয়োগ না করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এতে ধান গাছ পচে যেতে পারে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার ১০ দিন পর ধানের চারায় নতুন পাতা গজানো শুরু হলে বিঘা প্রতি ৮ কেজি ইউরিয়া ও ৮ কেজি পটাশ সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ব্রি উদ্ভাবিত আলোক সংবেদনশীল উফশী জাত যেমন- বিআর৫, বিআর২২, বিআর২৩, ব্রি ধান৩৪, ব্রি ধান৪৬, ব্রি ধান৫৪ এবং নাইজারশাইলসহ স্থানীয় জাতসমূহ রোপণ করা। এছাড়া, ব্রি উদ্ভাবিত স্বল্প জীবনকালসম্পন্ন জাত ব্রি ধান৫৭ ও ব্রি ধান৬২ রোপণ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত বীজতলা করা যাবে।
বন্যা পরবর্তী সময়ে গাছে মাজরা, বাদামি ও সাদা পিঠ গাছ ফড়িং, পাতা মোড়ানো এবং পামরি পোকার আক্রমণের হাত থেকে রক্ষার জন্য পোকা বিশেষে হাতজাল, পার্চিং এবং প্রয়োজন হলে অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। দেশের উত্তরাঞ্চলে আগাম শীত আসার কারণে ১৫ সেপ্টেম্বর এবং মধ্য ও দক্ষিণ অঞ্চলে ২০ সেপ্টেম্বরের পর আমন ধান রোপণ করা উচিৎ নয়। এক্ষেত্রে আগাম রবি ফসলের আবাদ করার তাগিদ দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।