পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যা ও জেল হত্যা মামলার অনেক কিছুই তদন্তে উঠে আসেনি। তাই একদিন আমি লিখে সবকিছু প্রকাশ করে যাবো বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তদন্তে ও প্রসিকিউশনে অনেক ত্রুটি ছিলো। একজন বিচারপতি হওয়ায় তা বলতে পারিনি। এ নিয়ে আমি ভবিষ্যতে কিছু লেখার চেষ্টা করছি। জেল হত্যা মামলা ও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা নিয়ে লিখবো। গণমাধ্যমের উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনাদের কাছে আমার একটি আবেদন আমাকে মিস কোর্ট (ভুলভাবে উদ্ধৃত বা ব্যাখ্যা) করবেন না। এতে আমাকে বিব্রত করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে ‘জুডিসিয়াল ইন্টারপ্রিটেশন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের সময় এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলা আপিল এবং রিভিউয়ের রায় নিষ্পত্তির কথাও তুলে ধরেন প্রধান বিচারপতি বলেন,আমি যখন মামলার ইয়ো করি তখন এত কষ্ট লাগলো। এই মামলাতে অনেক কিছু ছিল। একটা বাচ্চা ছেলে রাসেল তাকে কেন হত্যা করা হয়েছিল? এটা পশুর চেয়েও ইঅ। কিন্তু এর নথি যখন পর্যালোচনা করলাম, যেহেতু এটা ফাইনাল কোর্ট, আমরা দেখলাম অনেক ত্রুটি ছিল এই মামলায়। যেরকম ইনভেস্টিগেশনের ত্রুটি ছিল, সেরকম প্রসিকিউশনের ত্রুটি ছিল। বিচারপতি হওয়ার তা আমি বলতে পারেনি। আমি হয়তো ভবিষ্যতে কিছু লেখার চিন্তা-ভাবনা করছি। আমি তুলে ধরবো শুধু এই মামলা না, জেল হত্যা মামলাও। সেখানেও কিন্তু অনেক ত্রুটি ছিল এবং অনেক গাফিলতি ছিল। আপনারা দুইটা রায় পর্যালোচনা করে দেখবেন। আমরা ট্রায়াল কোর্টের জাজমেন্ট এবং আপিল হাইকোর্টের জাজমেন্ট কিন্তু আমরা মানিনি। আমরা দুই রায়ই না মেনে পরিস্কার বলেছি এটা ক্রিমিনাল কনসপেরেসি ছিল। ক্রিমিনাল কনসপেরিসি যদি হয় এটা একেবারে ক্যান্টনম্যান থেকে কনসপেরেসি হয়েছে। এই কনসপেরিসে কে কে জড়িত ছিল?’ কনসপেরেসিতে যদি একজন লোকও থাকে এবং তার সাথে যদি আর যারা আছে প্রত্যেকেই সমভাবে দায়ী। আমরা মাত্র ১৫, ১৬, ২০ জনের বিচার করেছি। যারা সেই রাত্রে মার্চ (মিছিল) করেছিল, মার্চ করার পরে জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিয়েছিল, মার্চ করে ৩২ নম্বরে আনা হয়েছে, তখন তো কনসপেরেসি ক্লিয়ারলি ডিসক্লোজড হয়ে গিয়েছিল।
একজন বিচারপতি হিসেবে মুখ খুলতে পারছি না মন্তব্য করে প্রধান বিচারপতি বলেন, কিন্তু আমি হয় তো কিছু লিখে যাব। আমি দেখিয়ে দেবো যারা ষড়যন্ত্রের মধ্যে কারা কারা ছিল। কী রকম গাফিলতি হওয়ার পরেও যারা সেনাবাহিনীর মধ্যেও অনেকজন যারা কোষাগার থেকে সুবিধা নিয়ে চলে গেছেন। তারা তো পাওয়ার কথা ছিল না।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনাদের কাছে আমার একটা আবেদন, আমি প্রকৃতপক্ষে কোনো ইয়ো করি না। আপনারা আমাকে অনেক ইয়ো করছেন। কিন্তু একটু মিসকোট করবেন না। আমাকে নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। আমি কোর্ট যা বলি তার কিছু ডিস্টোর্টেড (বিকৃত) ইয়ো করা হয়। এতে গিয়ে আমি... বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। এটা যাতে আমাকে না পড়তে হয়।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারকরা হয়তো ছাত্রজীবনে বা প্রফেশন জীবনে প্রত্যেকের চিন্তা-চেতনা থাকতে পারে রাজনীতি নিয়ে। আমরা বিচারকরা যখন বিচারক হিসেবে শপথ গ্রহণ করি এবং দেশে যারা বিচারক আছেন আপিল বিভাগে, হাইকোর্ট বিভাগ কিংবা নিম্ন আদালতে, তাদেরকে বলবো- আপনারা আপনাদের পাস্ট ভুলে যান। এই বিচার ভিাগের আপনি যখন বিচারক আপনাকে প্রেজেন্ট এবং ফিউচার নিয়ে ভাবতে হবে। অনেক..আমরা দেখি নিরপেক্ষভাবে বিচার করার জন্য। বিচার করতে গেলে কে কি রাজনীতি করত সেটা, যদি রাজনীতি করতে হয় আপনারা ছেড়ে চলে আসেন। বিচারক যদি হোন নিরপেক্ষভাবে করবেন। এটা আপনাদের প্রতি মানুষের অধিকার।
অনুষ্ঠানে ড. কামাল হোসেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন, সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সহ অসংখ্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।