পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের ইমেজ ক্ষুন্ন হয় এমন বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখার বিষয়ে সর্তক করলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। গতকাল রোববার একটি জামিন শুনানিকালে আবেদনকারীর আইনজীবীর উদ্দেশ্যে তিনি এ কথা বলেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মামলার আসামি গোলাম সারোয়ারের জামিন শুনানি চলছিলো আপিল বিভাগে। তারপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো.আসাদুজ্জামান। তার উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, রলখেন, কিন্তু এরকমভাবে কিছু করবেন না, যা একজন শিক্ষিত মানুষের রশাভা পায় না। মনে রাখবেন রদশের ইমেজ সবার আগে।
গত বছরের মার্চে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সিলেটে গোলাম সারোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা হয়। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে নিয়ে কটাক্ষ ও ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ পোস্ট ও শেয়ারের অভিযোগে এ মামলা দায়ের করা হয়।
মামলায় গত বছরের অক্টোবরে হাইকোর্ট রুল দিয়ে সারোয়ারকে অন্তর্বর্তীকালিন জামিন দেন। জামিনের বিরুদ্ধে আপিল করে সরকারপক্ষ। এ প্রেক্ষিতে গত বছরের ১৮ অক্টোবর চেম্বার জাস্টিস হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। পরে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে জামিন আবেদন করা হয়।
গতকালের শুনানিতে সারোয়ারের অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এ মামলায় এখন পর্যন্ত অভিযোগপত্র দেয়া হয়নি। তার হৃদযন্ত্রে চারটি স্টেন্ট পরানো আছে। স্বাস্থ্যগত কারণে জামিন চাওয়া হয়েছে। তখন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ বলেন, এত স্টেন্ট থাকার পরও আপনি এসব করেন? আইনজীবী বলেন, গত ১৪ মার্চ থেকে সারোয়ার কারাগারে আছেন। প্রায় এক বছর ধরে তিনি বিনা বিচারে বন্দী রয়েছেন। অভিযোগপত্র হয়নি এখনো। হাইকোর্ট মূলত মেডিকেল গ্রাউন্ডে জামিন দিয়েছেন।
এ পর্যায়ে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ভবিষ্যতে এগুলো করলে আর জামিন না। দেশের ইমেজ হলো সবার আগে। আপনি সতর্ক করবেন। আমেরিকায় তো মানুষ ‘স্যাটায়ার’ করে। কিন্তু আমাদের এখানকার মতো কুৎসিতভাবে লেখে না। একজন শিক্ষিত মানুষ কীভাবে এসব ভাষা ব্যবহার করতে পারে? তাহলে শিক্ষার দাম কী হলো?
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ শুনানিতে বলেন, শব্দচয়নগুলো খুবই কুৎসিত। প্রধান বিচারপতি বলেন, একদিন একজনেরটা পড়েছি। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এগুলো পড়া যায় না। শব্দচয়ন এমন, সবার সামনে বলাও মুশকিল।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনি লিখেন, কিন্তু এ রকমভাবে কিছু করবেন না, যেটি একজন শিক্ষিত মানুষের জন্য শোভা পায় না। শুনানি নিয়ে আদালত সরকারপক্ষের আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন। শুনানি শেষে সারোয়ারকে হাইকোর্টের জামিনাদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।