পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে শনিবার নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় নিজ গ্রাম পেময়ীতে সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয় লাশ। এরপর সহধর্মিণী আনোয়ারা আহমদের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরসহ সাহাবুদ্দীনের পরিবার ও কাছের মানুষজন দাফনে অংশ নেন। সাহাবুদ্দিন আহমদের দ্বিতীয় জানাজায় ইমামতি করেন সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদের ইমাম আবু সালেহ মো. সলিমউল্লাহ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আব্দুল ওয়াহাব মিয়া, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ, ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতিগণ, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান নূর, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, খায়রুল কবির খোকনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।
জানাজার আগে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সাহাবুদ্দিন আহমদের ছেলে সোহেল আহমদ বক্তব্য রাখেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল জানাজা পূর্ব অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। জানাজা শেষে সাহাবুদ্দিন আহমদের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এসময় প্রেসিডেন্ট ও প্রধান বিচারপতির পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। গতকাল শনিবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) সাহাবুদ্দীন আহমদ মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।