পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সারাদেশেই হিন্দুদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি বলেন, বিগত ২৬ বছর ধরে বিভিন্ন সরকারের আমলে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন নিযার্তিত হচ্ছেন। তাদের বাড়ী ঘরে আগুন লাগানো হচ্ছে। মন্দির ভাঙ্গা হচ্ছে, পুরোহিতদের হত্যা করা হচ্ছে, ধর্ষিত হচ্ছে সংখ্যালঘু মা-বোনেরা। হিন্দুরা তো কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না। শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে গতকাল গুলশানের ইমানুয়েলস কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় পার্টির উদ্যোগে হিন্দু স¤প্রদায়ের বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গত ২৬ বছরে হিন্দুরা যাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছেন তারা কেউ হিন্দুদের চাকরি দেয়নি। এভাবে চললে অদুর ভবিষ্যতে এদেশে হিন্দুরা সরকারের উচ্চ পদে চাকরি পাবে না। তিনি আরো বলেন, ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দুদের ওপর নৃশংস ঘটনায় সরকারী দলের যে মন্ত্রী-এমপি জড়িত তাদের বিরুদ্ধে এই সরকার কোনো ব্যাবস্থা গ্রহণ করেনি। তাছাড়া বর্তমান সরকারের আমলে সারাদেশেই হিন্দু স¤প্রদায়ের লোকজন ব্যাপক ভাবে নিপিড়ন নির্য়াতন চালানো হচ্ছেন। আপনারাই (হিন্দু নেতা) সেই কথা বিভিন্ন ফোরামে তুলে ধরছেন। এরপরও আপনারা কেন একটি বিশেষ দলের (আওয়ামী লীগ) ভোট ব্যাংক হিসেবে চিহ্নিত থাকার অপবাদ নিচ্ছেন?
হিন্দু স¤প্রদায়ের নাগরিকদের সম্মানে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দলের কো-চেয়ারম্যান জি.এম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সাইদুর রহমান টেপা, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রানা দাশগুপ্ত, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত সেন দিপু, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রৗষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সদস্য সচিব নকুল চন্দ্র সাহা প্রমুখ।
সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদ বলেন, আমার শাসনামলে ভারতে বাবরি মসজিদ ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে আমাদের এখানে কিছু মন্দিরে হামলা হয়েছিল। আমি ২৪ ঘন্টার মধ্যে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি। সবকটি ক্ষতিগ্রস্থ মন্দির সংস্কার করে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নিয়েছিলাম। বর্তমানে সরকারের উচ্চপদে হিন্দু স¤প্রদায়ের যারা দায়িত্বে আছেন তাদের সবাইকে আমিই নিয়োগ দিয়েছি। কিন্তু আগামীতে আমরা যদি রাষ্ট্র ক্ষমতায় না আসতে পারি তাহলে অদুর ভবিষ্যতে আর আপনাদের কোনো লোককে সরকারের উচ্চ পদে দেখবেন না। কারণ গত ২৬ বছরে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হলেও আপনাদের স¤প্রদায়কে চাকরিতে সুযোগ দেননি।
সংবিধান সংশোধন করে সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের জন্য সংসদে ৩০টি সংরক্ষিত আসন রাখার দাবি জানিয়ে সাবেক এ প্রেসিডেন্ট বলেন, বর্তমান সংসদে মহিলাদের জন্য ৫০টি সংরক্ষিত আসন আছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টানসহ অন্যান্য স¤প্রদায়ের জন্য ৩০টি আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। এই জন্য জাতীয় পার্টি সংসদে প্রস্তাবনা দেবে। আশা করছি তা সংসদে সর্ব সম্মতিক্রমে পাশ হবে। আগামী সংসদ থেকে দেশের সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের ৩০ জন সংরক্ষিত আসনের এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।