পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় ও এর পর্যবেক্ষণকে, সাংবিধানিক পন্থায় শেখ হাসিনাকে কাত করার চেষ্টা বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকি। গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোধনী কোন বিষয় নয়, আমার ধারণা বিষয়টি অন্য কোথাও আড়াল করে রাখা হয়েছে। আমরা দূর থেকে হাত পা ছুড়ছি। আসল বিষয়টি দেখতে পাচ্ছি না। ব্যাপারটা কি এমন? মানুষ হত্যা, যানবাহন পোড়ানো, ককটেল-বোমা ফোটানো, বৃক্ষনিধন, নির্বাচন বর্জন, সড়ক অবরোধ, পুলিশ হত্যা, জিঙ্গবাদ ও হোলি আর্টিজান হত্যা তান্ডব করে কিছু হলনা, অসাংবিধানিক শক্তিকেও ব্যবহারের সুযোগ কমে গেছে। বারবার ব্যবহার করে অস্ত্রটি ভোঁতা হয়ে গেছে। তাই সাংবিধানিক পন্থায় শেখ হাসিনাকে কাত করা হবে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে নিজের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কৃত নেতা আবদুল লতিফ সিদ্দিকি। রায় নিয়ে বিদ্যমান বিভিন্ন গোষ্ঠীর দ্ব›দ্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একাত্তরের পক্ষশক্তি ও যুদ্ধাপরাধী স্বাধীনতাবিরোধীশক্তি দ্ব›েদ্ব লিপ্ত হয়েছে। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ফলে যে গোষ্ঠী সুবিধা পেয়েছে- সেই শক্তি স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির পক্ষে আইনি এবং একাডেমিক সমর্থন দিচ্ছে।
স্বাধিকার আন্দোলনের ধারাবাহিকতা তুলে ধরে লতিফ সিদ্দিকি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন সবটাই শেখ মুজিবের নেতৃত্ব-নির্দেশনায়। এখানে কোন দাবিদার নেই। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অপ্রাসঙ্গিক ও অযাচিতভাবে বঙ্গবন্ধুর একক নেতৃত্ব নিয়ে অসঙ্গত ইঙ্গিত দেয়া হয়ে। যে ইঙ্গিত ঘোষক বিতর্কের অনুক‚লে যায় বলে ভাবলে দোষের কিছু নেই।
রায় নিয়ে উদ্ভ‚ত পরিস্থিতি মোকাবেলায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব ব্যর্থ হচ্ছে মন্তব্য করে লতিফ সিদ্দিকি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্রের একটি বড় অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে এই রায়। প্রধানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী পরিস্থিতি মোকাবেলায় সঠিক কৌশল নিলেও অন্যরা ষড়যন্ত্রকে উস্কে দেয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে।
লতিফ আরও বলেন, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ে আসল আক্রমণের লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী। পলিটিক্যাল এক্সিকিউটিভ বলতে প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, হাইকোর্টের বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের লর্ডগণ যেসব অনাকাঙ্খিত মন্তব্য করেছেন তার কি আদৌ কোন প্রয়োজন ছিল?
সংসদ সদস্যদের যোগ্যতা নিয়ে তোলা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংসদ সদস্য- একজন সংসদ সদস্য- এই যোগ্যতাই যথেষ্ট। সংসদ সদস্যের যোগ্যতা নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন জাগে। তিনি বলেন, রায়ের পর্যবেক্ষণে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী নিয়ে নেতিবাচক প্রশ্ন তোলার অর্থই বঙ্গবন্ধুকে আদর্শিক হত্যার জঘন্য প্রচেষ্টা। এক প্রশ্নের জবাবে লতিফ সিদ্দিকি বলেন, এ রায় কে লিখে দিয়েছেন তা তিনি জানেন, তবে বলবেন না। সংবাদ সম্মেলনে লতিফ সিদ্দিকির স্ত্রী লায়লা সিদ্দিকি উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।