নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
একটা সময় ছিল যখন টেস্টে বাংলাদেশকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাওয়া মানেই জয় মনে করত যে কোন দল। বড় বড় দলগুলো একারণে বাংলাদেশের সাথে খেলতেই চেতো না। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে অবস্থান বদলেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটেরও। সিরিজ শুরুর আগে প্রতিপক্ষও তাই এখন কথা বলে সমীহের সুরে। যেমনটা গতকাল মিললো অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিফেন স্মিথের কন্ঠে।
অস্ট্রেলিয়া এই দলের কারো এখানকার কন্ডিশনে টেস্ট খেলার কোন অভিজ্ঞতা নেই। লম্বা ক্রিকেটে বাংলাদেশের কন্ডিশনে তাই অজি এই দলকে অনভিজ্ঞই বলা চলে। স্মিথ তাই কোন দলকেই ফেভারিট মনে করছেন না। সিরিজটি কঠিনই হবে বলে মনে করেন তিনি। বাংলাদেশে পা রেখে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্মিথ বলেন, ‘আমার মনে হয়, দারুণ একটি সিরিজ হবে। বাংলাদেশ এখন খুবই ভালো দল। আমি ফেভারিট দল নির্বাচন করতে পারছি না। দলের সামর্থ্য নিয়ে আমাদের সন্তুষ্ট থাকতে হবে। আশা করছি পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারব এবং দুর্দান্ত একটি সিরিজ হবে।’
এক দশকেরও বেশি সময় পর বাংলাদেশ সফর করছে অস্ট্রেলিয়া টেস্ট দল। উপমহাদেশে তারা শেষ টেস্ট খেলে ভারতের মাটিতে চার মাসেরও বেশি সময় হয়ে গেল। এরপর তারা লম্বা ক্রিকেট থেকে বাইরে। চার ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারের পর বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেছে অসিরা। তাই পারফরমেন্সের দিক দিয়ে ধারাবাহিক হবার সুযোগ পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। তবে উপমহাদেশ তাদের জন্য সব সময়ই একটা চিন্তার বিষয়। গত দশ বছরে মাত্র দুবার সিরিজ জিতেছে তারা। বর্তমান সফরকে এই ধারা পরিবর্তনের সুযোগ হিসেবে দেখছেন স্মিথ, ‘উপমহাদেশে আমাদের রেকর্ড সমৃদ্ধ করার একটা সুযোগ এসেছে। ভারতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা ভালো করেছি। আমাদের আরও বেশি ভালো করা ও ধারাবাহিক হওয়া দরকার। সামর্থ্য প্রমাণের আরও একটি সুযোগ আমাদের সামনে। আমরা আগে যা শিখেছি সেটা প্রমাণ করে সামনে ভালো কিছু করার আশা করছি।’
সামনেই অজিদের অ্যাসেজ সিজি। এর আগে এই সিরিজটি তাদের জন্য তাই বড় পরীক্ষার। বিশেষভাবে বোলারদের ভালোভাবে নেড়েচেড়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে। ভারত সফরে প্রথম টেস্টে ভালো করা স্টিভ ও’কেফে নেই এই দলে। তার পরিবর্তে নাথান লায়নের উপর আস্থা রেখেছেন অজি নির্বাচকরা। তার সাথে আছেন অ্যাস্টন আগার। স্মিথ বলেন, ‘তার (ও’কেফি) ভাগ্যটা খারাপ। ভারতের প্রথম টেস্টে দারুণ পারফরমেন্স করেছে সে। অন্য তিনটি টেস্ট সিরিজেও সে দারুণ অবদান রেখেছিলেন। আমরা গ্রæপে নতুন কাউকে দিয়ে কিছু করার চেষ্টা করছি।’
বাংলাদেশের সিনিয়র খেলোয়াড়দের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারলে অস্ট্রেলিয়ার সাফল্য পাবার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন স্মিথ। বাংলাদেশ কখনো টেস্ট ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘সাকিব, তামিম ও মুশফিকরা অনেক ক্রিকেট খেলেন এবং নি জেদের খেলা সর্ম্পকে ভালো বুঝতে পারেন। তারা খুবই ভয়ংকর তাই সাফল্য পেতে হলে তাদের আটকাতে হবে।’ তৃতীয়বারের মত দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে নামবে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া।
সিরিজটি হওয়ার কথা ছিল ২০১৫ সালে। কিন্তু বার বার নিরাপত্তার খোড়া অজুহাত দেখিয়ে সময় সফর স্থগিত করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তবে ঢাকায় পা রেখে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোন ক্রুটি চোখে পড়েনি স্মিথদের। নিরাপত্তা প্রশ্নে সন্তোষ প্রকাশ করে অসি দলপতি বলেন, ‘এখানকার নিরাপত্তায় আমরা সত্যিই মুগ্ধ। আমাদের এ সফরকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে। মিরপুরে এসে আমার দারুণ লাগছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।