পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সারাদেশে দ্বিতীয় দফার বন্যায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) এক হাজার ৯০০ কিলোমিটার বাঁধের এক তৃতীয়াংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সংসদীয় কমিটিকে তথ্য দিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের। এদিকে দেশের উপকূলীয় এলাকার বাঁধ সংস্কার কার্যক্রমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুর্নীতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সংসদীয় কমিটি। কমিটি বলছে, প্রতিবছর নভেম্বর মাসের আগেই বাঁধ সংস্কারের কাজ শেষ করতে হবে।
গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। বৈঠকে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। সংসদীয় কমিটি বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর কোন বাঁধ কী অবস্থায় আছে, কোন কোন বাঁধের ওপর স্থায়ী বসতি তৈরি হয়েছে তার একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পরবর্তী বৈঠকে জমা দিতে বলেছে মন্ত্রণালয়কে। জুলাইয়ের শেষ থেকে শুরু হওয়া চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় দফার বন্যায় এ পর্যন্ত ২২ জেলার ৪৮ লাখ ২৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের তথ্য। কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, নীলফামারী, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, খাগড়াছড়ি, দিনাজপুর, জামালপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজবাড়ী, নওগাঁ, জয়পুরহাট, যশোর ও রাঙামাটি জেলার ১২২টি উপজেলা ও ৩৮টি পৌরসভা এখন বন্যায় প্লাবিত। গত এপ্রিলে দেশের সিলেট অঞ্চলে আগাম বন্যায় বাঁধ ভেঙে হাওর এলাকার ছয় জেলা প্লাবিত হয়। এদিকে দেশের উপকূলীয় এলাকার বাঁধ সংস্কার কার্যক্রম নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সংসদীয় কমিটি। কমিটি বলছে, প্রতিবছর নভেম্বর মাসের আগেই বাঁধ সংস্কারের কাজ শেষ হতো, এবার সেভাবে মনিটরিং লক্ষ্য করা যায়নি। কমিটির সভাপতি সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন সাংবাদিকদের বলেন, আগে নভেম্বর মাস আসার আগেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাঁধগুলো পরীক্ষা করা হতো। এমন কি রোলার দিয়ে বাঁধ শক্ত করেও দিতাম, যাতে বন্যার পানি সহজেই প্রবেশ করতে না পারে। কিন্তু এবার তা দেখিনি। তিনি আরো বলেন, বাধ সংস্কারে কিছুটা দুনীতি হয়েছে। সে জন্য মামলা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন কর্মকর্তাকে সামরিক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বন্যাজনিত কারণে ক্ষতি মোকাবেলায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। এবারের বন্যায় যেসব এলাকার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা দ্রæত সংস্কারের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। কমিটি বাংলাদেশের প্রতিটি নদীতে পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে ড্রেজিং মাস্টার প্ল্যানের আওতায় একটি গাইড লাইন করারও সুপারিশ করেছে। কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য পানি সম্পদ আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এবং অনুপম শাহজাহান জয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।