Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বন্যার মুখে ঢাকাসহ মধ্যাঞ্চল

| প্রকাশের সময় : ১৭ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিহার নেপালের ঢলে গঙ্গা-পদ্মায় পানিবৃদ্ধি আশঙ্কাজনক : ব্রহ্মপুত্রে সামান্য কমলেও যমুনায় ভয়াবহ : পদ্মা তিনটি পয়েন্টে বিপদসীমার ঊর্ধ্বে: ঢাকার চারদিকে ৮টি নদীতে পানি বাড়ছে : এ যাবত ২৫ জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫ লাখ ও পানিবন্দী ১২ লাখ মানুষ : ১৯ নদ-নদীর ২৯টি পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম পানি বৃদ্ধি ৬০টি পয়েন্টে : সুরমা-কুশিয়ারায় কিছুটা হ্রাস : খাদ্য পানি আশ্রয়ের অভাবে বন্যার্ত অসহায় লাখো বনিআদমের আহাজারি


শফিউল আলম : এবার বন্যার একেবারে মুখোমুখি অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে রাজধানী ঢাকা, আশপাশসহ দেশের বিস্তীর্ণ মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ-মধ্যঞ্চল। দেশের অভ্যন্তরে গত কয়েকদিনে তেমন বৃষ্টিপাত নেই। তবে তা সত্তে¡ও উজানভাগে নেপাল ও ভারতের বিহার রাজ্যে অতিবর্ষণের কারণে গতকাল (বুধবার) পর্যন্ত ব্যাপক মাত্রায় ঢল-বানের পানি ভাটিতে ধেয়ে আসে। এরফলে গঙ্গা-পদ্মা অববাহিকায় অব্যাহতভাবেই পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা এ মুহূর্তে খুবই আশঙ্কাজনক পর্যায়ে রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদে পানি খুব সামান্য কমেছে। তবে যমুনায় পানি বৃদ্ধির পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। এতে করে পদ্মা নদী এখন তিনটি পয়েন্টে বিপদসীমার ঊর্ধ্বে প্রবাহিত হচ্ছে। রাজধানী ঢাকা এবং ঢাকার চারদিকে ৮টি নদীতেই পানি বাড়ছে। এরমধ্যে ঢাকায় বুড়িগঙ্গা বিপদসীমার ১২৮ সেন্টিমিটার নিচে ও শীতলক্ষ্যা ২৮ সেমি নিচে এসে গেছে। টাঙ্গাইল, ফরিদপুর থেকে শুরু করে বৃহত্তর ঢাকাসহ মধ্যাঞ্চল হয়ে ভাটির দিকে এই পানিবৃদ্ধি দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলে কুমিল্লা-চাঁদপুর পর্যন্ত ক্রমেই বিস্তার লাভ করছে। এ যাবত দেশের উত্তর জনপদ, মধ্যাঞ্চল, উত্তর-মধ্য ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৬টি বিভাগের ২৫টি জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বেসরকারি হিসাবে অন্তত ৩৫ লাখ মানুষ। এরমধ্যে এ মুহূর্তে পানিবন্দী রয়েছে ১২ লাখ মানুষ। আর সরাসরি আশ্রয়হারা মানুষের সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। অবশ্য সরকারি হিসাবে গতকাল পর্যন্ত বন্যায় ৭ লাখ ৫২ হাজার পরিবারের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৩২ লাখ ৮৭ হাজার মানুষ। সর্বশেষ তথ্য-উপাত্তে দেশের প্রধান তিনটি অববাহিকায় (ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা ও মেঘনা) ১৯টি নদ-নদীর ২৯টি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদ-নদীর মোট ৯০টি পানির সমতল পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৬০টিতে। পানি হ্রাস পায় ২৬টিতে এবং অপরিবর্তিত থাকে ৪টি পয়েন্টে। উজানে ভারতের বরাক অববাহিকায় পানির চাপ কিছুটা কমেছে। ফলে বৃহত্তর সিলেটে সুরমা-কুশিয়ারায়ও পানি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। তবে এখনও সকল পয়েন্টে বিপদসীমার বেশ উপরে রয়েছে। বন্যার অবনতি ও বিস্তারের সাথে সাথেই একমুঠো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, মাথাগোঁজার ঠাঁইটুকুর অভাবে শিশু-বৃদ্ধ, মহিলাসহ বন্যার্ত অসহায় লাখ লাখ বনিআদমের দুঃখ-কষ্ট আর আহাজারি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ত্রাণের আশায় বাঁধের উপরে, সেতুতে, আশ্রয়কেন্দ্রে কিংবা উঁচু স্থানে গিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুণছে বন্যার্তরা। কিন্তু মিলছে না ত্রাণ সাহায্য। কবে ত্রাণ মিলবে তারা কেইউ জানেনা!
প্রধান নদ-নদীর প্রবাহ ও বন্যার সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে গতকাল পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, বাংলাদেশের উজানের তিনটি অববাহিকার মধ্যে গঙ্গা-পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের উজানের তিনটি পয়েন্টে অর্থাৎ উত্তর-পূর্ব ভারতের আসামের গোয়াহাটি, পান্ডু ও গোয়ালপাড়ায় পানি হ্রাস পাচ্ছে। ধুবরী পয়েন্ট পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। অপরদিকে মেঘনা অববাহিকায় পানি হ্রাস অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদের ভারতীয় অংশের গোয়াহাটিতে (বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ১৮০ কিলোমিটার উজানভাগে) ২৯ সেমি, পান্ডুতে (বাংলাদেশ সীমান্তের ১৬০ কিমি উজানে) ২৪ সেমি, গোয়ালপাড়া (বাংলাদেশ সীমান্তের ৯০ কিমি উজানে) ৯ সেমি পানি হ্রাস পেয়েছে। তবে ধুবরী (বাংলাদেশ সীমান্তের ২৫ কিমি উজানে) ৩ সেমি পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও সর্বশেষ অপরিবর্তিত অবস্থায় ছিল। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্রহ্মপুত্রের কুড়িগ্রামের নুনখাওয়া ও চিলমারী পয়েন্টে পানি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। আর যমুনায় বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে অপরিবর্তিত রয়েছে এবং সারিয়াকান্দি, সিরাজগঞ্জ ও আরিচা পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মেঘনা অববাহিকায় ভারতীয় অংশে পানি হ্রাস অব্যাহত থাকায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মেঘনা অববাহিকার অধিকাংশ নদীর পানি কমতে শুরু করেছে।
তথ্য-পরিসংখ্যান মতেই, দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অবনতিশীল অবস্থায় রয়েছে। উত্তরাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র-যমুনা অববাহিকায় (উজানের অংশ বাদে) বন্যা অবনতিশীল রয়েছে। উত্তর জনপদের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার অববাহিকায় বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। ফলে সেখানে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকবে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পদ্মা বর্তমানে তিনটি পয়েন্টেই বিপদসীমার উপরে উঠে গেছে। আর গঙ্গা তিনটি পয়েন্টে পানি ক্রমাগত বেড়ে গিয়ে ৭২ থেকে ১৪৩ সেমি নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। মেঘনা অববাহিকায় তথা সুরমা-কুশিয়ারা এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতি আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় উন্নতি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামীতে যদি আসাম, মেঘালয়সহ উত্তর-পূর্ব ভারতে বৃষ্টিপাতের মাত্রা আরও বেড়ে যায় তাহলে পরিস্থিতির আবারও অবনতি ঘটতে পারে। কেননা ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ওইসব অঞ্চলে এখনও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হচ্ছে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনার ভারতীয় অংশে আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টায় গড়ে ২৫ সেমি হারে পানি কমতে পারে। আর বাংলাদেশ অংশের উজানে নুনখাওয়া ও চিলমারী পয়েন্টে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় পানি হ্রাস অব্যাহত থাকবে। ভাটির অংশে যমুনা নদ বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বর্তমানে বিপদসীমার অনেক উপরেই অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে উজানের পানির চাপ কমলে আগামী ২৪ ঘন্টায় পানি হ্রাস পেতে শুরু করতে পারে। সারিয়াকান্দি ও সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে আগামী ২৪ ঘন্টায় বিপদসীমার উপরে অপরিবর্তিত থেকে এর পরবর্তীতে হ্রাস পেতে পারে। কিন্তু গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি আগামী ৭২ ঘণ্টায়ও অব্যাহত থাকবে। তবে তখন পর্যন্ত গঙ্গায় পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা অববাহিকার উজানভাগে অবস্থিত নেপাল ও ভারতের বিহার রাজ্যে বন্যা অব্যাহত রয়েছে। এরফলে গঙ্গা-পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। মেঘনা অববাহিকার নদ-নদীর পানি আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টায় হ্রাস অব্যাহত থাকবে। দেশের উত্তরাঞ্চলে বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকেই থাকতে পারে। ব্রহ্মপুত্র নদীর উজানের অংশে (কুড়িগ্রাম ও রংপুর) পানি কমতে শুরু করবে, তবে ভাটিতে যমুনাসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি বা অপরিবর্তিত থাকার কারণে জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অবনতিশীল থাকবে। এই বন্যা মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলে পর্যন্ত বিস্তৃতির আশঙ্কা রয়েছে। গঙ্গা-পদ্মা অববাহিকায় পানি বৃদ্ধির প্রভাবে মধ্যাঞ্চলে ঢাকার চারপাশের নদ-নদী বিপদসীমার নিচে পানি অব্যাহতভাবেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা মধ্যাঞ্চল, দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলে বন্যা বিস্তারের আলামত বহন করছে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, হিমালয় পাদদেশীয় অঞ্চলসমূহ চীন তিব্বত, নেপাল, ভূটান এবং ভারতের বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম ও উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম, অরুণাচল, মেঘালয়, মিজোরাম, ত্রিপুরা অঞ্চলে মৌসুমি বায়ু-তাড়িত বৃষ্টিপাতের ঘনঘটা এখনও পুরোপুরি কাটেনি। ফলে সেসব অঞ্চলে উজানে নদ-নদী অববাহিকায় পানি প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে, কোথাও কিছুটা কমছে। যদি উপরোক্ত উজানভাগে ফের ভারী বর্ষণের কারণে ঢল নেমে আসে তাহলে প্রধান তিন অববাহিকায় (ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা ও মেঘনা) বাংলাদেশ প্রান্তে নদ-নদী শাখা ও উপনদীগুলোতে পানির চাপ বাড়তে পারে।
ঢাকার আশপাশের নদ-নদী
ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা নদ-নদী এবং উভয় অববাহিকায় অবস্থিত শাখা, উপনদীগুলোতে উজানের পানির ক্রমাগত চাপে ভাটিতে পানি উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজধানী ঢাকার চারপাশ বন্যার মুখোমুখি অবস্থায় পড়বে এমনটি আশঙ্কা করা হচ্ছে। গতকাল সর্বশেষ নদীপ্রবাহের তথ্যে ৮টি নদীর পানি সকল পয়েন্টে আরো বৃদ্ধির কারণে বিপদসীমার নিচে অবস্থান ছিল- ঢাকার বুড়িগঙ্গা ১২৮ সেমি, শীতলক্ষ্যা ২৮ সেমি, বালু ৫৭ সেমি, তুরাগ ৭৬ সেমি, টঙ্গী-খাল ৫৯ সেমি, কালিগঙ্গা ৪৮ সেমি, ধলেশ্বরী ১২১ সেমি, বংশী নদী ১৮৩ সেমি নিচে প্রবাহিত হচ্ছিল। তাছাড়া ঢাকা বিভাগের অন্যতম নদী ধলেশ্বরী মধ্যাঞ্চলের টাঙ্গাইলের এলাসিনঘাটে পানি আরও বেড়ে গিয়ে বিপদসীমার ৯৬ সেমি উপরে এবং দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলে তিতাস নদী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরও পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৫ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
প্রধান নদ-নদীর পরিস্থিতি
বিপদসীমার উপরে এবং নিচে কাছাকাছি অবস্থানে থাকা দেশের প্রধান নদ-নদীর পরিস্থিতি সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য-উপাত্তের প্রেক্ষিতে অবস্থান ছিল- অন্যতম প্রধান অববাহিকায় ব্রহ্মপুত্র নদ কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী পয়েন্টে গতকাল পানি ১০ সেমি হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৭৬ সেমি উপর দিয়ে এবং নুনখাওয়া পয়েন্টে মাত্র এক সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। যমুনা নদে গতকাল আবারও ৫টি পয়েন্টের প্রতিটিতেই পানি বৃদ্ধি পায় এবং অতীতের রেকর্ড ভঙ্গ হয়েছে। এরফলে বাহাদুরাবাদে বিপদসীমার ১৩৩ সেমি উপরে, সারিয়াকান্দিতে ১২৬ সেমি উপরে, কাজীপুরে ১৫৫ সেমি উপরে, সিরাজগঞ্জে ১৫১ সেমি এবং এমনকি ভাটিতে আরিচায় ৬৩ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
পদ্মা নদী তিনটি পয়েনেই বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরমধ্যে গোয়ালন্দে ৮৩ সেমি উপরে, ভাগ্যকুলে ২৫ সেমি উপরে এবং সুরেশ্বরে ৫ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
উত্তর জনপদের ধরলা নদীর পানি কিছুটা হ্রাস পেয়ে কুড়িগ্রামে বিপদসীমার ৭০ সেমি উপরে, বদরগঞ্জে যমুনেশ্বরীর পানি সামান্য হ্রাস পেয়ে ১৩৬ সেমি উপর দিয়ে, ঘাগট গাইবান্ধায় ৮২ সেমি উপরে, আপার করতোয়া চক রহিমপুরে ২৫ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। মধ্যাঞ্চলের দিকে বানের পানি বৃদ্ধিতে আত্রাই নদী বাঘাবাড়িতে পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে ৮৫ সেমি উপরে, লাক্ষ্যা নদী ২৬ সেমি উপরে এবং সিংরায় গুর নদী ৪৩ সেমি উপর দিয়ে বইছিল। পদ্মার সাথেই এই অববাহিকার নদ-নদীগুলোতে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত আছে। বিপদসীমার উপরে রয়েছে ইছ-যমুনা ৫ সেমি, ছোট যমুনা ৭৩ সেমি, আত্রাই ৭৬ সেমি। তবে পুনর্বভা ও কপোতাক্ষ নদী বিপদসীমার নিচে নেমেছে।
এদিকে মেঘনা অববাহিকায় বৃহত্তর সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারাস অন্যান্য নদীর পানি ধীরে ধীরে কমছে এবং হ্রাস অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বিপদসীমার উপরে প্রবাহ ছিল সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ৮৮ সেমি, সিলেটে ২৮ সেমি, সুনামগঞ্জে ৫৩ সেমি এবং কুশিয়ারা নদী অমলশীদে ৭০ সেমি, শেওলায় ৬৫ সেমি, শেরপুর-সিলেটে ৫ সেমি উপরে। পুরাতন সুরমা দিরাইতে বিপদসীমার ২০ সেমি উপরে এবং নেত্রকোণায় কংস নদীর পানি হ্রাস পেলেও বিপদসীমার ১২৭ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা

১৫ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ