Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বন্যায় ৪৮ ঘণ্টায় ২৪ শিশুর মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বন্যাদুর্গত ২১টি জেলায় গত দেড় মাসে পানিতে ডুবে ১০৭ জন মানুষ মারা গেছেন। মৃতদের বেশিরভাগই শিশু। গত ৪৮ ঘণ্টায় পানিতে ডুবে ২৪ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে দিনাজপুর জেলায় সর্বোচ্চ সংখ্যক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে বন্যা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে, রয়েছে ওষুধ, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইনসহ সবকিছু।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ( প্লানিং) প্রফেসর ডা. এ এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) প্রফেসর ডা. সানিয়া তাহমিনা, রোগতত্ত¡ ও রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, রাগতত্ত¡ ও রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা ইন্সটিটিউটের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এ এস এম আলমগীর প্রমুখ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে মহাপরিচালক টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে আক্রান্ত বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জনদের কাছে জানতে চান পানিতে ডুবে শিশুরা কেন মারা যাচ্ছে। এ সময় বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জন ও সংশ্লিষ্টরা জানান, শিশুদের অধিকাংশই সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টার মধ্যে মারা যাচ্ছে। এ সময় পরিবারের পুরুষ সদস্যরা কাজে ঘরের বাইরে এবং নারী সদস্যরা রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকেন। নদীর ধারে খেলাধুলা করতে গিয়ে শিশুরা অসতর্কতাবশত ডুবে মারা যায়। তারা আরও জানান, শিশুদের পানিতে ডুবে মরার হাত থেকে রক্ষা করতে স্বাস্থ্যকর্মীরা সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। তারা শিশুদের নদী বা পানির কাছাকাছি খেলাধুলা না করতে মাইকিং ও ব্যক্তিগতভাবে সতর্ক করছেন। শিশুদের বাবা-মায়েরা সচেতনতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে শিশুদের কোমরে ঘুংঘুর বেঁধে দিচ্ছেন। তবুও শিশুরা খেলাধুলা করতে গিয়ে ডুবে মরছে।স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহা পরিচালক ও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর প্রফেসর ডা. এনায়েতুর রহমান বলন, ২১টি জেলা ও উপজেলা ৪৫ টি উপজেলায় ১৪৪ টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১ হাজার ৮২৪টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।
পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার বিষয়ে অ্যাওয়ারনেস বিল্ডিং হলো সবচেয়ে বড় জিনিস জানিয়ে ডা. এনায়েতুর রহমান বলেন, মা-বাবা যদি সচেতন না থাকে তাহলে এটা আটকানো খুব কঠিন। এর মধ্যে পাঁচ বছরের নিচে যেসব বাচ্চারা রয়েছে তারা বাড়ির আশেপাশে খেলতে গিয়ে অনেক সময় পানিতে পড়ে যাচ্ছে। আমরা তাদেরকে সতর্কক করার চেষ্টা করছি। শিশুদের পানিতে ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে স্বাস্থ্যকর্মীরা সচেতনতামূলক প্রচারণা জানাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, শিশুরা যেন পানিতে যেতে না পারে সেজন্য তারা মাইকিং করছে এবং শিশুদের কোমরে ঘুঙুর বেঁধে দিচ্ছেন, যেন শিশুরা বাড়ির বড়দের নজরে থাকতে পারেন।এই মুহূর্তে বন্যাজনিত কারনে কোনও অসুখে কারও মৃত্যুর খবর আমরা এখনও পাইনি বলে তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা

১৫ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ