পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের অপসারণ ও গ্রেফতার দাবি করেছে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। গতকাল রোববার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভবন প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশ করে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
সমাবেশে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বিচারপতি খায়রুল হক ডাবল স্ট্যান্ডার্ড গ্রহণ করেছেন। তিনি তার রায়ে বলেছেন, বিচারপতিদের অবসরের পর চাকরিতে যোগদান করা উচিত নয় বলেছেন। আবার তিনি সরকারি চাকরি নিয়েছেন। তিনি প্রধান বিচারপতি ও ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দিয়ে চাকরিবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তিনি আরও বলেন, তত্ত¡াবধায়ক সরকারের বাতিল সংক্রান্ত মামলায় ওপেন কোর্টে যে রায় দেয়া হয়েছিল। ১৬ মাস পর সেই রায় পাল্টে দিয়েছেন। এ রায় দিয়ে তিনি জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। অনেকে বলছেন, তাকে দেশ ছাড়া করতে হবে; আমি বলছি, তাকে গ্রেফতার করে বিচার করতে হবে। এমন একদিন আসবে যেদিন সোহরাওয়ারর্দী উদ্যানে জনতার আদালতে খায়রুল হকের বিচার হবে। রায় নিয়ে সরকারের মন্ত্রীরা আপত্তিকর বক্তব্য দিচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর রায় ভালভাবে না পরে তারা লাগামহীন বক্তব্য দিচ্ছেন। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, যতবার ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করবে ততবার সংসদে তা পাস করা হবে। এটা বলে তিনি আদালত অবমাননা করেছেন। একমাত্র তিনি তার বয়সের কারণে মাথা ঠিক নেই বলে বাঁচতে পারেন। খাদ্যমন্ত্রী সর্বোচ্চ আদালত থেকে সাজাপ্রাপ্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, রায় নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী কি বলেছেন। অথচ তিনি সর্বোচ্চ আদালত থেকে সাজাপ্রাপ্ত। মায়া আদালতে সাজাপ্রাাপ্ত। এই সাজাপ্রাপ্ত মন্ত্রীসভার মন্ত্রীরা রায় না পড়েই বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। আর ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেন, এটা তাদের ব্যক্তিগত বক্তব্য, দলের নয়। তাহলে আমার প্রশ্ন তারা কোন দলের মন্ত্রী? তাদের মন্ত্রীসভায় রেখেছেন কেন? সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।