পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : কথিত খসড়া বিলে আরও বলা হয়, ইতিপূর্বে বর্ণিত তদন্ত কমিটি তদন্ত পরিচালনার পর বিচারকের বিরুদ্ধে প্রাথমিক অভিযোগ পেলে তারা তা স্পিকারের কাছে পেশ করবেন। এরপর স্পিকার (পূর্ণাঙ্গ) তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করবেন। কথিত খসড়া বিলের ৫ ধারায় বলা হয়েছেঃ
‘৫। তদন্ত কমিটি গঠনঃ কোন বিচারকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে তদন্তের জন্য স্পিকার নিম্নরূপ ৩(তিন) সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করিবেন যথাঃ-
(ক) বাংলাদেশের ১ জন সাবেক প্রধান বিচারপতি অথবা আপিল বিভাগের ১ জন সাবেক বিচারপতি যিনি উক্ত কমিটির চেয়ারম্যান হইবেন; (খ) বাংলাদেশের ১ জন সাবেক অ্যার্টনি জেনারেল এবং (গ) বাংলাদেশের ১ জন সম্ভ্রান্ত নাগরিক/জুরিষ্ট । তবে শর্ত থাকে যে, সাবেক অ্যার্টনি জেনারেল ব্যতীত তদন্ত কমিটির অন্যান্য সদস্যে বয়স ৬৭ (সাতষট্টি) বৎসরের কম হইবে না।’
এটি সত্য যে, এখনও এমন কোন আইন প্রয়োগ করা হয় নি। তবে এই আইন সংক্রান্ত খসড়ায় নির্বাহী বিভাগ তথা সংসদের অভিপ্রায় ব্যক্ত হয়েছে। সংসদে উভয় পক্ষের পেশ করা বক্তব্য সংক্রান্ত বই ‘সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী-আলোচনা- তর্ক -বিতর্ক ’ থেকে কয়েকটি লাইন উদ্ধৃতি দেয়া প্রাসঙ্গিক বলে মনে করছি। বইটিতে বলা হয়েছে, ‘বিচারপতিদের অপসারনে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের ক্ষেত্রে বিশেষ কমিটি যে সুপারিশ করেছিল, আজকের বৈঠকে সেটিও বাতিল করা হয়। ফলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে সংসদের কাজে জবাবদিহিতা করতে হবে না। আগের মতোই তারা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে। বৈঠকে বিচারপতিদের অভিসংশনের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের ওপর ন্যাস্ত করার প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দিয়ে প্রধানমšী¿ বলেন, বিচার বিভাগ এখন সম্পূর্ণ স্বাধীন। স্বাধীন বিচার বিভাগের ওপর কোন ধরনের হস্তক্ষেপ করা যাবে না।
রিটের বিবাদী-আপিলকারীরা এটি সুনির্দিষ্টভাবে অস্বীকার করেননি যে, বইয়ের লেখকের বিবৃতিটি সঠিক নয় এবং এর কোন ভিত্তি নেই। ঐ বিবৃতিতে প্রতীয়মান হয় যে, সংসদের কাছে জুশিয়াল কাউন্সিলের জবাবদিহিতার বিষয়টি (জাতীয় সংসদে) আলোচিত হয়েছিল এবং সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাবটি বাতিল করে বলেন, এতে সুপ্রিম কোর্টের বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হতে পারে। এই পর্যালোচনায় আমি খসড়া বিলের বৈধতা বিশ্লে করতে চাই না। কেননা এই খসড়া এখনও আইন হয়নি। তবে ভয়ংকর বাস্তবতা এই যে, সংসদের সদস্যদের দ্বারা একটি কমিটি গঠন করে একজন বিচারিক বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্তানুষ্ঠানের প্রস্তাব টেবিলে উত্থাপন করা হয়েছে।
অনুরূপভাবে, প্রস্তাব করা হয়েছে যে, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেলকে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। বাংলা দেশে জীবিত সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেলরা হলেনঃ (১) জনাব রফিকুল হক, (২) জনাব কাজী শহীদ উদ্দীন নবী, (৩) জনাব আবু ফয়েজ হাসান আরিফ, (৪) জনাব এ জে মোহাম্মাদ আলী, (৫) জসাব ফিদা মোঃ কামাল এবং (৬) জনাব সালাউদ্দিন আহমেদ। এদের মধ্যে জনাব কাজী শহীদ উদ্দীন নবী গুরুতর অসুস্থ। অবশিষ্ট অ্যাটর্নি জেনারেলরা এই আদালতে আইন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। তারা নিয়মিত এই আদালতের উভয় বেঞ্চে হাজির হচ্ছেন। (তাদের) সরাসরি যুক্তির লড়াইয়ে সু² সামঞ্জস্য বিধানে সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।