পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। দেশের সামগ্রিক উন্নতিতে নারীদের অবদান অপরিহার্য। কিন্তু প্রতিনিয়ত নারীরা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। ঘটছে খুন, ধর্ষণের মতো ঘটনাও। এমনকি শিশুদের ওপরও নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। তাই নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে নারী নিরাপত্তা জোট। গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধনের আয়োজন করে সংগঠনটি এ দাবি করেন।
বক্তারা বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় এক হাজার ৫০০টি ধর্ষণ, হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ২৫৮টি ধর্ষণ, ৫৫টি গণধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে ১৫টি। এই নির্যাতনের শিকার নারীদের মধ্যে মেয়েশিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। কিন্তু বিচার ব্যবস্থার ধীরগতি, প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ ও সুষ্ঠু তদন্ত না হওয়ার কারণে এই অবস্থার কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি, যাতে এসব ঘটনায় জড়িতদের দ্রæত বিচারের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করা হয়। তা না হলে এসব ঘটনা অনবরত ঘটতেই থাকবে বলেও জানিয়েছেন বক্তারা।
বক্তারা আরও বলেন, এসব ঘটনায় নির্যাতিতরা বিচার না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। প্রথমে মিডিয়ায় এসব ঘটনায় আলোড়ন সৃষ্টি হলেও কিছুদিন পর আর দেখা যায় না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিচার শুরু হলেও প্রভাবশালীদের চাপে তা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নির্যাতন প্রতিরোধ জোটের নেত্রী, ফৌজিয়া খন্দকার ইভা, ব্র্যাকের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক সারা খাতুনসহ সিভিল এভিয়েশন স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।