পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : জাতীয় পার্টি কোন জোটে (অ্যালায়েন্স) নেই উল্লেখ করে পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেছেন, নামমাত্র হলেও আমরা বিরোধী দল। ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দেয়া রায় পড়ে লজ্জায় মাথা হেট হয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদ বলেন, দেশে কোন প্রতিষ্ঠান অক্ষত নেই, সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে, সর্বত্রই দুর্নীতি। সুশাসনের অভাবে দেশে খুন আর ধর্ষণের জোয়ার বইছে বলেও মন্তব্য করেন সাবেক এ প্রেসিডেন্ট।
গতকাল (সোমবার) চট্টগ্রামের পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন বøুতে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। একটি বেসরকারি ব্যাংকের সভায় যোগদান ও একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণে চট্টগ্রাম আসেন তিনি। পাঁচ তারকা হোটেলে দুপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন এরশাদ।
জাতীয় পার্টির অবস্থান সম্পর্কে এরশাদ বলেন, আমরা কোন অ্যালায়েন্সে (জোট) নেই। আমরা বিরোধী দল। যদিও নামমাত্র আমরা বিরোধীদল, তবুও আমরা বিরোধীদল। আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান এরশাদ। তিনি বলেন, ৩শ’ আসনে নির্বাচন করব, এটা আমাদের দলের সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্তে আমরা অটল আছি।
দেশে সুশাসনের অভাব আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুশাসনের অভাবে খুন, ধর্ষণের বন্যা বইছে। প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললেই দেখা যায় শুধু ধর্ষণ আর খুন। এদেশে নারী হয়ে জন্মগ্রহণ করা একটা মহাপাপ। নারীর ক্ষমতায়নের কথা শুনি, সেটা শুধু ঢাকা শহরে। বাইরের গ্রামেগঞ্জের মেয়েরা নিরাপদ নয়। দুঃখ হয়, আমরা তো এই অবস্থায় ছিলাম না। তাহলে এখন কেন হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষদূত এরশাদ আরও বলেন দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকায় দেশী-বিদেশী বিনিয়োগে স্থবিরতা বিরাজ করছে। মানুষ চরম সংকটে রয়েছে। উন্নয়নের নামে যা হচ্ছে তা মানুষের কোন কাজে আসছে না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এইচ এম এরশাদ আরো বলেন, দেশের সব প্রতিষ্ঠান এখন নষ্ট হয়ে গেছে। কোন প্রতিষ্ঠান ভাল নেই, সর্বত্রই দুর্নীতি। ক্ষমতাবানরা দুর্নীতিতে লিপ্ত। তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেওয়া রায় পড়ে লজ্জায় মাথা হেট হয়ে গেছে। পুরো বাংলাদেশের মানুষের মাথা হেট হয়ে গেছে। আমরা নিজেদের খুব দুর্ভাগ্যবান মনে করছি। রায়টা পড়ার পর মনে হয়েছে জাতি হিসেবে আমরা খুব দুর্ভাগ্যবান।
এরশাদ বলেন, ৫ জানুয়ারীর মতো নির্বাচন দেশের মানুষ আর চায় না। আশা করি এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। তবে তা নির্ভর করছে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উপর। তিনি যদি নির্বাচনে আর্মি (সেনাবাহিনী) চান সরকার দিতে বাধ্য। তিনি যদি ডিসির পোস্টিং চান সরকার তা দিতেও বাধ্য। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের অসীম ক্ষমতা। এ ক্ষমতা তাকে সংবিধান দিয়েছে। তবে তিনি তার সেই ক্ষমতা খাটাবেন কিনা এবং সত্যিকারের একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবেন কিনা সেটা নির্ভর করছে তার উপর। এরশাদ বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা আছে। আশা করি তারা একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে পারবে।
তিনি বলেন, দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নেই। এ কারণে বিনিয়োগ হচ্ছে না। যতদিন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে না ততদিন পর্যন্ত এখানে বাইরের লোক বিনিয়োগ করতে আসতে পারবে না। এ সময় জাতীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুসহ চট্টগ্রামের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।