Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে আগুনে পুড়েছে রাইস মিল ও চালের আড়ত

| প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগরীর চাক্তাই এলাকায় ভয়াবহ আগুনে পুড়ে গেছে তিনটি রাইস মিল, ৭টি চালের আড়ত ও দু’টি মুদি দোকান। গতকাল (রোববার) ভোর ৪টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত টানা ৭ ঘণ্টার এ অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
রাইস মিল ও আড়তে থাকা বিপুল পরিমাণ চালের সাথে পুড়ে গেছে ব্যবসায়ীদের লাখ লাখ নগদ টাকাও। আগ্রাবাদ ফায়াস স্টেশন থেকে বলা হয়, ভোর পৌনে ৪টায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে নতুন চাক্তাইয়ের পুরান সড়কের একটি রাইস মিলে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর আগুনের লেলিহান শিখা আশপাশের সবকটি প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে নগরীর ৪টি ফায়ার স্টেশন থেকে ১২টি ইউনিট সেখানে ছুটে যায়। বেলা ১১টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের হিসাবে আগুনে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগুনের কবল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কোটি টাকার মালামাল। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি আগুনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তারা ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরূপণ করছেন। ব্যবসায়ীরা ফায়াস সার্ভিসের কর্মীদের বিরুদ্ধে দ্রæত সময়ে সেখানে না পৌঁছানোর অভিযোগ করেন। তাদের দাবি যথাসময়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে গেলে ক্ষয়ক্ষতি আরও কম হতো। তবে ফায়াস সার্ভিসের সহকারী পরিচালক পরিমল কান্তি কুন্ড অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা যথাসময়ে ঘটনাস্থলে গেছেন এবং আগুন নিয়ন্ত্রণের সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়েছে।
খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যাসেসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, আগুনে জাহাঙ্গীর আলম সওদাগরের মদিনা রাইস মিলস, আলী আকবর সওদাগরের নিউ আজমীর রাইস মিলস, সোহেল খানের জিলানী রাইস মিলস, হাজী সেলিমের সততা ষ্টোর, সুফিয়ান সওদাগরের শাহনুর ষ্টোর, হাজী বি.জামান ব্রাদার্স, মোহাম্মদ মিয়া সওদাগরের মোহাম্মদীয়া ট্রেডিং, হারুনুর রশিদ সওদাগরের হারুন এন্ড ব্রাদার্স নামের চালের আড়ত ও নুরুল ইসলাম সওদাগরে নুর ষ্টোর, আবদুল মোমিন সওদাগরের এনকে ষ্টোর, হাজী মোহাম্মদ সেলিমের আরাফাত ট্রেডার্স নামে তিনটি পাইকারী মুদির দোকানসহ প্রায় ১৬টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
আগুন নেভাতে গিয়ে কয়েকজন আহত হন তবে মুসলিম উদ্দিন (৪৫) নামে দোকান কর্মচারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্র ও শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকায় বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ছিল এসব আড়ত ও মিলে। এসব নগদ টাকা পুড়ে গেছে। প্রায় ১৫ হাজার বস্তা চালসহ অন্যান্য পণ্য সামগ্রী পুড়ে যাওয়ায় বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হয়। অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জামাল হোসেন, চট্টগ্রাম চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর আজম ও চাক্তাই মহল্লা ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি জসিম উদ্দিন মিন্টু ব্যবসায়ীদের এই ক্ষয়ক্ষতিতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন। তারা অগ্নিকান্ডের সময় ফায়ার সার্ভিসের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্টগ্রাম

৩০ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ