পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তিন ঘন্টার কারাবাস নিয়ে বরিশালের পুলিশ-প্রশাসনে সুনামী বয়ে গেছে। এমনকি বিচার বিভাগের রেশ পরারও সময় গুনছেন একজন বিচারিক কর্মকর্তা। আজকালের মধ্যেই বরিশালের সিএমএম আদালতের তদন্ত দল আসছে। বরিশাল সহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের ইতিহাসে ইতোপূর্বে একই সাথে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বদলীর এ ধরনের নজির নেই। তবে এ ঘটনাটি ঘটেছে একজন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাকে বিচারিক ব্যবস্থার আওতায় কথিত হেনস্থা করার অভিযোগে। এ ঘটনায় বরিশালের ডিআইজি, ডিসি ও এসপিকে বদলী করা হয়েছে। কোর্ট পুলিশের ৬ কর্মীকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে।
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ইউএনও থাকাকালীন তারিক সালমান বঙ্গবন্ধুর কথিত বিকৃত ছবি সম্বলিত কার্ড ছাপানোর অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় আদালতের সমন পেয়ে গত ১৯ জুলাই চীফ মেট্রোপলিটান ম্যজিষ্ট্রেট কোর্টে হাজিরা দেন তিনি। এ সময় তিনি ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে পরবর্তীতে সংশোধনী দেয়া হয়েছে বলেও জানান। পাশাপাশি জামিন প্রার্থনা সহ ব্যাক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন জানান। পরে তার আইনজীবী কাগজপত্র উপস্থাপন করে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত তা মঞ্জুর করলে ইউএনও মুক্ত হয়ে কর্মস্থলে ফিরে যান।
তারিক সালমান মাস তিনেক আগেই বরিশালের আগৈলঝাড়া থেকে বরগুনা সদরের উপেজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বদলী হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কথিত বিকৃত ছবি দিয়ে কার্ড ছাপানোর ঘটনায় ইতোপূর্বে বরিশালের জেলা প্রশাসক ড. মোঃ সাইফুজ্জামান তাকে শোকজ করেন। তার জবাব জেলা প্রশাসক তৎকালীন বিভাগীয় কমিশনারের কাছেও প্রেরণ করেছিলেন। বিভাগীয় কমিশনার মোঃ গাউস ইএনও’র জবাবে সন্তুষ্ট হতে পারেননি বলেও জানিয়ে দেন। এর বিছুদিন পরেই তারিক সালমানকে বরগুনা সদরে বদলী করা হয়। এরপরে জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট ওবায়দুল্লাহ সাজু বাদী হয়ে ইউএনও তারিক সালমানের বিরুদ্ধে মানহানীর মামলা দায়ের করেছিলেন।
কিন্তু দৃশ্যপটের পরিবর্তন হতে শুরু হয় ২০ জুলাই বিষয়টি সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে নজরে আনার পর। গত ২১ জুলাই এ্যডভোকেট সাজুকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়। এরপরে একে একে বরিশালের জেলা প্রশাসক ড. মোঃ গাজী সাইফুজ্জামান, পুলিশ সুপার এসএম আক্তারুজ্জামান ও সর্বশেষ ডিআইজি শেখ মারুফ হাসানকে বদলী করা হয়। এর মধ্যে ডিআইজি শেখ মারুফ মাত্র ৭ মাসের মাথায় বরিশাল রেঞ্জ থেকে নৌ পুলিশে বদলী হন। গত বছর ২২ নভেম্বর তিনি বরিশাল রেঞ্জে যোগদান করেছিলেন। রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার মোঃ শফিকুল ইসলাম বরিশাল রেঞ্জের নতুন ডিআইডজি’র দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
ইউএনও তারিক সালমানের ঘটনায় বরিশালের এসপি এসএম আক্তারুজ্জামানকেও ঢাকায় পুলিশ সদর দফ্তরে বদলী করা হয়েছে। তিনি প্রায় সোয়া দুবছর এখানে কর্মরত থাকার পরে পুলিশ সদর দফ্তরে যোগদান করেছেন। ডিএমপি থেকে মোঃ সাইফুল ইসলাম-বিপিএম, সেবা বরিশালের নতুন এসপি হিসেবে যোগ দিয়েছেন। তবে তারিক সালমানকেও বরগুনা থেকে ইতোমধ্যে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের জেষ্ঠ সহকরী সচিব পদে বদলী করা হয়েছে।
বরিশালে বদলীকৃত নতুন কর্মকর্তাবৃন্দ ইতোমধ্যে নিজ নিজ দফ্তরের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন। তারা সকলেই গনমাধ্যম প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় ‘জনগনের দ্বারা, জনকল্যানে কাজ করার অঙ্গিকার’ও ব্যক্ত করে সবার সহযোগীতা কামনা করেছেন। তবে সাধারণ মানুষ এসব কথার বাস্তবায়ন দেখতে আগ্রহী। পাশাপাশি নগরীর সব খাল সহ সরকারী সম্পত্তি অবৈধ দখলমূক্ত করতেও সরকারী প্রশাসন যন্ত্র সচেষ্ট হবেন বলে আশা করছেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।