Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পিছিয়ে পড়েও জয় মুক্তিযোদ্ধার

| প্রকাশের সময় : ৫ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে শুরুতে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত জয় তুলে নিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে তারা ৩-২ গোলে হারায় রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে। বিজয়ী দলের হয়ে মিশরীয় ফরোয়ার্ড এসিয়েন মোহাম্মদ জাকি শাহরান দু’টি ও স্থানীয় ফরোয়ার্ড আমজাদ আলী একটি গোল করেন। রহমতগঞ্জের পক্ষে দু’গোল করেন গিনির ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাতœক ফুটবল খেলে রহমতগঞ্জ। ৫ মিনিটে পরিকল্পিত আক্রমন থেকে প্রথম সুযোগটি পায় তারা। এসময় বামপ্রান্ত থেকে ফয়সাল আহমেদের নিচু ক্রসের চলন্ত বলে ইসমাইল বাঙ্গুরা পা ছোয়ালেও তা সরাসরি আশ্রয় নেয় মুক্তির গোলরক্ষক উত্তম বড়–য়ার হাতে। দশ মিনিট পরেই গোল পায় পুরান ঢাকার দলটি। ম্যাচের ১৫ মিনিটে বাঁমপ্রান্ত থেকে সাদ্দাম হোসেন এ্যানির মাপা ক্রসের বল রহমতগঞ্জের গিনিয়ান ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরার মাথায় পড়লে তিনি দর্শনীয় হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন (১-০)। তবে সমতায় ফিরতে খুব একটা সময় লাগেনি মুক্তিযোদ্ধার। ম্যাচের ২২ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে ডিফেন্ডার তানভির রানার ক্রসের বল ফরাশগঞ্জের গোলরক্ষক মোহাম্মদ রাজিবের হাত ফসকে গেলে তা পেয়ে যান আমজাদ আলী। বল পেয়েই দারুন ভলিতে জালে জড়িয়ে মুক্তিযোদ্ধাকে সমতায় ফেরান এই ফরোয়ার্ড (১-১)। ২৭ মিনিটে লিড পায় মুক্তিযোদ্ধা। এসময় সৈকতের পাসে ডি-বক্সের বাইরে বল পেয়ে একক প্রচেস্টায় বাঁমপ্রান্ত দিয়ে ছোট বক্সে ঢুকে কৌনিক শটে দর্শনীয় এক গোল করেন মিশরীয় ফরোয়ার্ড এসিয়েন মোহাম্মদ (২-১)। ৩৫ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল কামাল বাবুর শিষ্যরা। তবে নাইজেরীয় ডিফেন্ডার মানডে ওসাগির নেয়া ফ্রি-কিক মুক্তিযোদ্ধার ক্রসবার ছুয়ে বাইরে চলে যায়। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে বক্সের একটু ভেতর থেকে এসিয়েন মোহাম্মদের দুর্দান্ত শটে পাওয়া গোলে ব্যবধান বাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা (৩-১)। এই ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় তারা। তবে বিরতির পর মুক্তিযোদ্ধা আর কোন গোল না পেলেও পেয়ে রহমতগঞ্জ। কিন্তু তারা ম্যাচে ফিরতে পারেনি। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে নাইমুর রহমান শাহেদের ক্রসের বল ভালো মতো ধরতে পারেননি মুক্তির গোলরক্ষক উত্তম বড়–য়া। এই সুযোগে রহমতগঞ্জের গিনিয়ান ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা দর্শনীয় হেডে নিজের ও দলের পক্ষে দ্বিতীয় গোল করেন (২-৩)। এরপর শত চেষ্টা করেও আর গোলের দেখা পায়নি জায়ান্ট কিলার খ্যাত। তাই শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলে হারের গøানি নিয়েই মাঠ ছাড়ে রহমতগঞ্জ। লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রহমতগঞ্জ ৪-২ গোলে আরামবাগকে হারালেও শেখ রাসেলের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হেরেছিলো মুক্তিযোদ্ধা। একই মাঠে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র গোলশূণ্য ড্র করেছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের বিপক্ষে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মুক্তিযোদ্ধার


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ