পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদীহিতা সাথে দায়িত্ব পালনের অঙ্গিকার থেকে বিন্দুমাত্রও সরে যাবেন না উল্লেখ করে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, জীবনের বিনিময়ে হলেও নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণ করব। এখানে আমি কিছু নিতে আসিনি, দিতে এসেছি। আগামী তিন বছরের মধ্যে নগরবাসীর শতভাগ সেবা নিশ্চিত করা হবে। তার নির্বাচনী প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী পরিচ্ছন্ন, আলোকিত, নান্দনিক মহানগরী গড়ার পাশাপাশি মহানগরীতে কোন কাঁচা সড়ক থাকবে না বলেও ঘোষণা দেন মেয়র। পানিবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে জানিয়ে মেয়র বলেন, দখল হয়ে যাওয়া খাল, নালা উদ্ধারে খুব শিগগির উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে এক্ষেত্রে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। কয়েক দফা পানিবদ্ধতায় দুর্ভোগের জন্য দুঃখ প্রকাশ ও নগরবাসীর কাছে ক্ষমা চান মেয়র।
চট্টগ্রামের মেয়র হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল (সোমবার) নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট হলে আয়োজিত বর্ণাঢ্য এক সুধি সমাবেশে মেয়র একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মেয়রের দুই বছরের সাফল্য নিয়ে একটি দীর্ঘ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর নানা শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিরা মেয়রের এ সময়ের সাফল্য-ব্যর্থতা তুলে ধরে মেয়রকে বেশকিছু পরামর্শও দেন। আলোচকরা নগরীকে বিলবোর্ডমুক্ত করার পাশাপাশি ডোর টু ডোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং নগরীকে পরিচ্ছন্ন করার ক্ষেত্রে মেয়রের সাফল্যের প্রসংশার পাশাপাশি পানিবদ্ধতা নিরসনে ব্যর্থতার সমালোচনা করে দ্রæত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দেন।
সড়ক অবকাঠামো উন্নয়ন ও সংস্কারে কর্পোরেশনের প্রকৌশল শাখার ব্যর্থতা রয়েছে উল্লেখ করে আলোচকরা এ ব্যাপারে মেয়রকে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন। তারা বলেন, কর্পোরেশন পরিচালনায় মেয়র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতা পুরোপুরি পাচ্ছেন এটা মনে হচ্ছে না। তারা মেয়রকে সমস্যার সঠিক চিত্র দিচ্ছেন না। তারা কঠোরহস্তে কর্পোরেশনে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধের আহŸান জানিয়ে বলেন, সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। এখন মেয়রের আশপাশে যারা আছেন তারা একসময় কেটে পড়বেন। ব্যর্থতার দায় পুরোটাই মেয়রকে দিতে হবে। মহানগরীর উন্নয়নে ও নগরবাসীর দুর্ভোগ এবং ভোগান্তি কমাতে সিটি কর্পোরেশনকে সিডিএ, ওয়াসাসহ বিভিন্ন সংস্থার সাথে সমন্বয় করারও তাগিদ দেন তারা। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে পানিবদ্ধতা যানজটসহ নগরবাসীর দুঃখ-দুর্দশার দায় কোনভাবেই মেয়র এড়াতে পারেন না বলে জানান আলোচকরা।
জবাবে মেয়র বলেন, নির্বাচনী অঙ্গীকার ও দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আমি শতভাগ সচেতন রয়েছি। জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে জনগণের কাছেই আমি দায়বদ্ধ। তাদের কাছে দেয়া প্রতিটি অঙ্গীকার অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। তিনি বলেন, পানিবদ্ধতা সমস্যা নিরসন একটি দীর্ঘ মেয়াদী প্রক্রিয়া। এ সমস্যার জন্য সিটি কর্পোরেশন কতটুকু দায়ী তা বলব না। তবে জনদুর্ভোগের পুরো দায়-দায়িত্ব আমার। এ সমস্যা নিরসনে বেশকিছু প্রকল্প নেয়া হয়েছে। খুব শিগগির নগরবাসী এর সুফল পাবে। সততা ও স্বচ্ছতার সাথে মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, গত দুই বছরে সিটি কর্পোরেশনের টেন্ডার নিয়ে কোন অনিয়মের অভিযোগ উঠেনি। প্রশাসনকে দলীয়করণ করিনি স্বজনপ্রীতি ও দলপ্রীতি করিনি। এসব করতে হলে হাসিমুখে কর্পোরেশন থেকে বিদায় নিয়ে যাব।
মেয়রের একান্ত সচিব মনজুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সুধি সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সামসুদ্দোহা। বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য বেগম সাবিহা মুসা ও ওয়াসিকা আয়শা খান, চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, উইমেন চেম্বারের প্রতিনিধি রেখা আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক, বিএমএ চট্টগ্রামের সভাপতি ডাঃ মুজিবুল হক, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শামসুল হক হায়দরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আলী আব্বাস, নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতি সোহেল সাকুর, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সাহাবুদ্দিন আহমদ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, সাংবাদিক ওমর ফারুক। অনুষ্ঠানে শুরুতে সিটি কর্পোরেশনের মোবাইল অ্যাপস উদ্বোধন করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। পরে নির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে মেয়রকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।