Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারী বর্ষণে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

| প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে বন্যায় ব্যাপক ভাবে বিস্তার লাভ করছে। নতুন করে আরো অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে পানির স্রোতে ভেসে গেছে দুইটি গরু, মাছ ধরতে গিয়ে পানির স্রোতে প্রাণ হারাল এক যুবক। লোহাগাড়ায় টংকাবতীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, ধানী জমি, রাস্তা, কালভার্ট। আবারো বন্যায় প্লাবিত ফেনীর ৩ উপজেলা, বন্যা দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া দুর্গত এলাকায় ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ বাড়ছে। নোয়াখালালীর কোম্পানীগঞ্জে ছোট ফেনী নদী ও বামনী নদী ভাঙন বাড়ছে, রিরতিহীন ভারী বর্ষণে দক্ষিণাঞ্চল প্লাবিত, বিস্তীর্ণ এলাকা পানি নিচে, এখনও বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছেনি। বরিশালের হিজলায় বন্যায় গাছ চাপায় ২ জন নিহত ও ১ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে পানিবদ্ধতা, সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দিনদিন আরো বাড়ছে। এ সব এলাকায় খাবার পানি, খাওয়ার স্যালাইন ও ওষুধপত্র সরবরাহে কেউ এগিয়ে আসতে দেখা যায় নি। বন্যা-ভাঙন কবলিত ও পানিবন্দি মানুষ খাদ্য ও আশ্রয় সংকটে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। দেশের বানভাসি মানুষের দু:খ কষ্টের কথা তুলে ধরে আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যের আলোকে ডেস্ক রিপোর্ট-
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) থেকে সৈয়দ জাহেদুল্লাহ কুরাইশী জানান, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় বন্যার পানি এখনো থৈ থৈ করছে। উজান থেকে পানি নেমে এখন ভাটি অঞ্চলে ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে। এ বন্যার পানিতে ‘জাল’ দিয়ে মাছ ধরার সময় স্রোতে আলাউদ্দিন (২২) নামের এক যুবক প্রাণ হারিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার ভোরে উপজেলার রোসাংগিরী ইউনিয়নের দেববাড়ি সংলগ্ন বিলে।
জানা যায়, বুধবার ভোরে আলাউদ্দিন ‘জাল’ নিয়ে মাছ ধরতে বাড়ির পূর্বে দেববাড়ি সংলগ্ন বিলে যায়। পরে দীর্ঘক্ষণ সে ঘরে না ফেরায় তার মা নুরনাহার ছেলের সন্ধান করতে গিয়ে এক পর্যায়ে দেববড়ী সংলগ্ন বিলের পানি নিস্কাশনের পাইপের ভেতর পুত্রের লাশ দেখে চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। সে উক্ত ইউনিয়নের শীলেরহাটস্থ নতুন বাড়ির জনৈক ছৈয়দুল হকের ২য় পুত্র এবং দেড় বছর বয়সী এক কন্যা সন্তানের জনক। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শোয়েব আল ছালেহীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। অপরদিকে উপজেলার মাইজভান্ডার এলাকায় প্রায় দেড় লাখ টাকা মূল্যের ২টি গরু লোহা খালের পানির স্রোতে ভেসে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৫ জুলাই দুপুরে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মাইজভান্ডারস্থ জনৈক ব্যবসায়ী মুহাম্মদ লোকমান বিক্রির জন্য ১০টি গরু নিয়ে নাজিরহাট বাজারে যাবার সময় পানির স্রোতে ২টি গরু তলিয়ে যায়।
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) থেকে তাজ উদ্দীন জানান, লোহাগাড়ার চরম্বা ও আমিরাবাদ ইউনিয়নের মাঝ বরাবর বয়ে যাওয়া টংকাবতীর নদীর ভাঙনে প্রতি বছর বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, ধানী জমি, রাস্তাঘাট ও কালভার্ট। প্রতি বছর বর্ষা এলেই নদী পাড় এলাকার বাসিন্দাদের আতংকে ঘুম হারাম হয়ে যায়। এ বছর বর্ষার শুরুতেই পাহাড়ী পানির ঢলে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে চরম্বা ইউনিয়নের রাজঘাটা ও বিবিরবিলা গ্রামে অর্ধশতাধিক বসতঘর ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আতঙ্কে রয়েছে শত শত পরিবার। পাাহাড়ী এলাকা হতে সৃষ্ট এই নদীটি যেদিক দিইে বয়ে গেছে সেদিকেই ভাঙনের আতংকে ঘুম হারাম হয়ে গেছে গ্রামবাসীর। চরম্বা ইউনিয়নের পাশাপাশি আমিরাবাদ ইউনিয়নের হাজারবিঘা গ্রামের মৌলভী পাড়া হতে রাজঘাটা ব্রিজ পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙনের তান্ডব চলছে। গত কয়েকদিনে এই গ্রামে ইতিমধ্যে প্রায় ৩০টির অধিক নদী পাড়ের ঘর ভেঙ্গে যাবার পাশাপাশি হিন্দু পাড়ার মন্দির, শশ্মান, খাল পাড়ের রাস্তা ভেঙ্গে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও বর্তমানে ওই এলাকার মৌলানা নেচার আহমদের বাড়ি, মুক্তিযোদ্ধা সফিউর রহমানের বাড়ি, সুকান্ত বিমল ভট্ট্রাচার্যের বাড়ি, নুরুল কবির চৌধরীর বাড়ি, খুলু মিয়াসহ শত শত বাড়ি ভাঙনের হুমকীতে রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ অবৈধ বালু উত্তোলনের কারনে টংকাবতীর ভাঙন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চরম্বার রাজঘাটা ও আমিরাবাদের হাজার বিঘা এলাকায় টংকাবতী নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালূ উত্তোলনের উৎসব চলছে। সরকারদলীয় ক্যাডাররা বালূ উত্তোলন করায় প্রশাসন বা স্থানীয় কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। অপরিকল্পিতভাবে বালূ উত্তোলনের কারনে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে প্রতি বছর নতুন নতুন এলাকার শত শত পরিবার ভাঙনের শিকার হচ্ছে। দিশেহারা হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। চরম্বা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাদত উল্লাহ জানান, চরম্বা রাজঘাটার মুল ভাঙন এলাকায় গতবছর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটি বাধ দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও ২০১৪ সালে চট্টগ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের পরিদর্শনে আনা হয়। সে সময় ইউনিয়ন পরিষদ হতে ভাঙন এলাকার উন্নয়নের জন্য ৫ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি। এদিকে আমিরাবাদের হাজারবিঘা গ্রামের সমাজসেবক দিদারুল আলম বাবুল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিগত কয়েকবছর ধরে নদী ভাঙনরোধের সহায়তা চেয়ে উর্ধ্বতন মহলে অনেক তদবীর করেছি কিন্তু কোন ব্যবস্থা হয়নি। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ও অনেক লেখালেখি হয়। কিন্তু কোন কাজই হয়নি। শীঘ্রই নদী পাড়ে পাথর দেওয়ার ব্যবস্থা করা না হলে পুরো হাজারাবিঘা গ্রাম বিলীন হয়ে যাবে বলে তিনি আশংখা করছেন। এলাকাবাসীরা ভাঙন রোধে উর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
ফেনী থেকে মো. ওমর ফারুক জানান, বন্যার পানি না শুকাতেই আবারো ২য় বারের মতো প্লাবিত হয়েছে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে মুহুরী নদীর পানি বেড়ে গেলে ফুলগাজীর বিভিন্ন ভাঙন দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। এতে পূর্বের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও বাড়িঘর পুনরায় প্লাবিত হয়। ফুলগাজীতে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা ত্রাণ বিতরণ করলেও তা ছিল প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
এদিকে বন্যা দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া দুর্গত এলাকার লোকেরা ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এসব এলাকায় বিশুদ্ধ পানি, খাওয়ার স্যালাইন ও ওষুধপত্র সরবরাহে কোন সংস্থা এগিয়ে আসেনি। এদিকে জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসনের কাছে ফুলগাজীর বন্যাপীড়িত মানুষের দাবি “চিড়া মুড়ি চাই না; মুহুরী নদীর টেকসই ও দুর্নীতিমুক্ত বেড়িবাঁধ চাই।
এলাকাবাসীর অভিযোগ মুহুরী, কহুয়া আর সিলোনীয়া নদী পাড়ের মানুষ পাউবো আর রাজনীতিবিদদের শোষণের হাতিয়ার। প্রতিবার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেলে তা বাঁধার নামে কোটি টাকা বাজেট হয়। ফলে পাউবো কর্মকর্তাদের যোগসাজশে রাজনৈতিক নেতা আর ঠিকাদারদের পকেট ভারী হয়। সরকার যায়, সরকার আসে। কিন্তু মুহুরী, কহুয়া আর সিলোনীয়া পাড়ের মানুষের ভাগ্যের কোন পরির্তন হয় না। ক্ষতিগ্রস্তরা জানায় প্রতিবার বন্যায় তাদের কোটি কোটি টাকার ফসলহানির পাশাপাশি শাক সবজির বাগান এবং শত শত পুকুরের মাছ ভেসে যায়। ফলে নদীপাড়ের মানুষ চায় টেকসই বাঁধ।
এদিকে ২য় বারের মতো টানা বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার ১৫ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ছোট ফেনী নদী ও কাটাখালির নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নতুন করে গ্রামগুলো প্লাবিত হয়। এছাড়া ফেনীর সোনাগাজীতে বেডিবাঁধের বাইরে ঘর-বাড়ি ছোট ফেনী নদীর জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কোহিনুর আলম জানিয়েছেন, উজানের পানি নেমে আসায় দাগনভূঞা ও ফেনী সদর উপজেলার কিছু এলাকায় নতুন করে পানি উঠেছে। এছাড়া সোনাগাজী উপজেলায় বেডিবাঁধের বাইরে জোয়ারের পানি মানুষের বাড়ি ঘরে উঠেছে। তবে এ পানি বেশীক্ষণ স্থায়ী হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) থেকে এ. কে.এম আনোয়ার তোহা জানান, টানা বৃষ্টির কারণে ছোট ফেনী নদী ও বামনী নদীর তীরবর্তী এলাকায় ২৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলিয় সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে চরফকিরা, মুছাপুর, চরহাজারী, চরপাবর্তী ও চরএলাহী ইউনিয়নের ২৬টি গ্রাম। এর মধ্যে তলিয়ে গেছে গুচ্ছগ্রাম, মৌলভীবাজার (৭ ও ৮নং ওয়ার্ড), চরবালুয়া, ক্লোজারঘাট, চরলেংটা, মাছুয়াধনা, জেলেপাড়া, এলাহীঘাট, সাধারণ মানুষের বাড়ি, ঘর, মাছের ঘের, ৫০টি মৎস খামার, ফসলী জমি, কিল্লা, মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, আশ্রয়ন কেন্দ্র। এ সব এলাকার অসহায় মানুষ বৃদ্ধ, শিশু সন্তান কে নিয়ে বিভিন্ন এলাকার রাস্তার পাশে ২০ হাজার মানুষ খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এসব এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে নি। সুবর্ণচরের দিয়ার চর ৬শত ৫০মিটার ভেঙ্গে যাচ্ছে। বেডি বাঁধ ভেঙ্গেছে ৩ কিলোমিটার।
ভাঙন ও প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করে নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জহিরুল ইসলাম এ প্রতিবেদক কে জানায়, নোয়াখালীর বিভিন্ন পোল্ডারে ভাঙনকৃত এলাকায় দ্রæততম সময়ে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। ভাঙন
কবলিত এলাকা মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম শাহীন চৌধুরী জানান, অবিরাম বর্ষণ ও ছোট ফেনী এবং বামনী নদী ভাঙনের ফলে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তার দ্রæত ব্যবস্থা না করলে কোম্পানীগঞ্জের নদীর তীরবর্তী ইউনিয়ন গুলোর ব্যাপক ক্ষতি হবে।
হিজলা (বরিশাল) থেকে মো. আবদুল আলিম জানান, গত ৩ দিনের অবিরাম বৃষ্টি আর উজান থেকে ধেয়ে আসা বানেরপানি ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিভিন্ন জনবসতি এলাকায় পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এ পানি আর এন্ড এইচ সড়ক হরিনাথপুর পূর্বকান্দি বোর্ড স্কুল সংলগ্ন ওয়াবদা নদী বাঁধ এলাকায় গত ২৫ জুলাই একটি বাবলা গাছ আকষ্মিকভাবে যাত্রীবাহি একটি ইজিবাইকের উপর গাছটি ধুমড়ে মুচরে পরে। স্থানীয় লোকজন এ ঘটনা দেখে ডাক-চিৎকার দিয়ে শত শত লোক জড়ো করে। করাতকল শ্রমিক আবদুল জব্বার ঢালী কে ডেকে গাছের এক অংশ কেটে ইজি বাইকসহ আহতদের উদ্ধার করে হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক ২ জন কে মৃত ঘোষনা করেন ও ১ জনকে ভর্তি করান। নিহতরা হলো মৌলভী হাটের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কালিকাপুর গ্রামের বকুল যোগী (২৫), একই গ্রামের ইসমাইল সরদারের ছেলে চালক নোমান সরদার (১৬)। আর আহত হন বেড়ীবাঁধে বসবাসকারী হানিফ সরদারের প্রতিবন্ধী ছেলে মোঃ রাজিব (১৬)।
জেলার হরিনাথপুর, পূর্বকান্দি, বদরপুর, আবুপুর, হিজলা, বাউশিয়া, চরপত্তনী ভাংগা, চর আবুপুর, ধূলাখোলা, আলীগঞ্জ, মেমানিয়া, গৌরবদী, দূর্গাপুর, মহিষখোলা, নাছকাঠি, ছয়গাঁও, গঙ্গাপুর এলাকায় নদী ভাঙন ও বন্যা তীব্র আকার ধারন করছে।
শ্রমজীবী দারিদ্র মানুষ কয়েকদিনের অবিরাম দুর্যোগপুর্ন আবহাওয়া কবলে পড়ে শ্রম দিতে না পারায় অর্থনৈতিক সংকটে মানবতার জীবন যাপন করছে। এ ব্যাপারে হিজলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু জাফর রাশেদেও নিকট বানভাসীদের সাহয্যের বিষয় জানতে চাইলে তিনি ইনকিলাবকে জানান, বানভাসী মানুষের সাহায্যের ব্যবস্থা গ্রহনে আমি সচেষ্ট আছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা

১৫ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ
function like(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "clike_"+cid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_like.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function dislike(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "cdislike_"+cid; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_dislike.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rlike(rid) { //alert(rid); var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rlike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_like.php?rid="+rid; //alert(url); xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rdislike(rid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rdislike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_dislike.php?rid="+rid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function nclike(nid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "nlike"; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com//api/insert_news_comment_like.php?nid="+nid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } $("#ar_news_content img").each(function() { var imageCaption = $(this).attr("alt"); if (imageCaption != '') { var imgWidth = $(this).width(); var imgHeight = $(this).height(); var position = $(this).position(); var positionTop = (position.top + imgHeight - 26) /*$("" + imageCaption + "").css({ "position": "absolute", "top": positionTop + "px", "left": "0", "width": imgWidth + "px" }).insertAfter(this); */ $("" + imageCaption + "").css({ "margin-bottom": "10px" }).insertAfter(this); } }); -->