Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাপনের কণ্ঠে সন্তুষ্টি-- বিসিবিকে আরও স্বাধীনতা দিলেন আদালত

| প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করতে পারবে না জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। এ পর্যবেক্ষণ দিয়ে বিসিবির সংশোধিত গঠনতন্ত্র অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া হাইকোর্টের রায়ের বিষয়ে আপিল নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ গতকাল এ আদেশ দেন। আইনজীবীরা জানান, আদেশ অনুযায়ী এখন থেকে বিসিবির গঠনতন্ত্র বিসিবিই সংশোধন করতে পারবে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) নয়।
এই রায়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। অবশেষে রায় পেয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের প্রতিক্রিয়া, ‘রায় নিয়ে এখন কিছু বলা কঠিন। রায়ের কপি এখনো হাতে পৌঁছায়নি। যতটুকু শুনেছি, তাতে মনে করি, বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য অত্যন্ত ভালো রায় হয়েছে। এখন আমাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এজিএম-ইজিএম ডেকে...গঠনতন্ত্রে যদি কোনো পরিবর্তন করতে হয়, সেটা আমরাই করতে পারব। এটা একটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এতে ক্রিকেটের ভালো হবে।’
এই রায়ের মাধ্যমে বিসিবিকে আরও স্বাধীনতা দিয়েছেন আদালত। নিজেদের মেয়াদের শেষ দিকে সংশোধিত গঠনতন্ত্রের বৈধতা পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি নাজমুল হাসান, ‘যতটুকু শুনেছি, আমরা যে গঠনতন্ত্রে এসেছি, এ ব্যাপারে কারও কোনো হস্তক্ষেপ নেই। এটি সম্পূর্ণ বৈধ। বাড়তি হচ্ছে, যদি গঠনতন্ত্রে কোনো পরিবর্তন আনতে হয়, ইজিএম-এজিএম ডেকে আমরাই তা করতে পারব। এখানে বাইরের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না। সবচেয়ে বড় কথা হলো, যে মামলাটা হয়েছিল, সেটা খারিজ।’
বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, ৩০ জুলাই বোর্ড সভায় ঠিক করা হবে বিসিবির বার্ষিক সাধারণ সভার ভেন্যু-তারিখ।
২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি বিসিবির সংশোধিত গঠনতন্ত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এর পরদিন ২৮ জানুয়ারি হাইকোর্টের এ রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ও বিসিবি। ওই দিনই বিসিবির সংশোধিত গঠনতন্ত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। পরে বিভিন্ন সময়ে এ স্থগিতাদেশ বাড়ানো হয়।
২০১২ সালের নভেম্বর গঠনতন্ত্রের সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন বিসিবির সাবেক পরিচালক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন এবং বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের সভাপতি ইউসুফ জামিল বাবু। রিট আবেদনে বলা হয়, বিসিবির বিশেষ সাধারণ সভায় কাউন্সিলরদের মতামত নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) কাছে গঠনতন্ত্র পাঠানো হয়েছিল। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ গঠনতন্ত্র যাচাই-বাছাই করে সংশোধন করে বিসিবিতে ফেরত পাঠায়। ফের বিসিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শে সাধারণ সদস্যদের মতামত উপেক্ষা করে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে এনএসসি। বিষয়টি নিয়ে রিট করা হয়। এ রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর আদালত রুল জারি করেন। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন।
আদালতে এনএসসি’র পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল। বিসিবি’র পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস। রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। বাসস



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাপন

৮ অক্টোবর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ