পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর মনিপুরিপাড়া থেকে গ্রেফতার হয়েছেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ডিরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভুঁইয়া। আইন শৃংখলা বাহিনী প্রচার করেছে তার বাসায় বিদেশী মদ পাওয়া গেছে। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) একজন পরিচালক। ক্রীড়া সংগঠন লোকমান গ্রেফতার ঘটনায় বিসিবি বিব্রত কিনা গতকাল শুক্রবার সাংবাদিকরা জানতে চাইলে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, বিব্রত হওয়ার কিছু নেই। আর লোকমান হোসেনের বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে তিনি রাজি নন। কারণ, লোকমান জীবনের মদ স্পর্শ করেনি, জুয়া খেলেনি।
নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, দেখেন এখানে বিব্রত হওয়ার কিছু নেই। আমি যেটা বুঝি কেউ যদি অন্যায় করে থাকে তার শাস্তি হবে। এটাতে তো কারো কোনো দ্বিমত হওয়ার প্রশ্নই উঠে না। আমি এইটুক জানি। এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে পদক্ষেপ নিয়েছেন এটাকে ভালো না বলার কোনো কারণ নেই। কারণ, এই রকম একটা সাহসী পদক্ষেপ একমাত্র তার (শেখ হাসিনা) পক্ষেই নেওয়া সম্ভব। আর কারো পক্ষে সম্ভব না। এটা (ক্লাবে মদ জুয়া) তো আজকের ব্যাপার না অনেক বছর ধরে হয়ে আসছে। আমি মনে করি, এখন যেহেতু এটা প্রক্রিয়াধীন আছে। যেমন ধরেন দুদক থেকে সম্পদের হিসাব তো অনেকের কাছ থেকেই চায়। এখনই বলা যাবে না উনি কোনো অনৈতিক বা বেআইনী কোনো কাজ করেছেন।
ক্রীড়া সংগঠক লোকমান হোসেন ভুঁইয়ার বিষয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, সে (লোকমান) ক্লাব ভাড়া দিয়েছে। যদি ক্যাসিনোর কাছে ভাড়া দিয়ে থাকে, এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকে তাহলে তার বিচার হবে। এর বাইরে কিছু নেই। খালি একজন নিয়ে ইস্যু না। যার আছে তারই হবে। তবে এখনো যেহেতু এটা প্রক্রিয়াধীন, তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়নি। যখন এসব হবে তখন কমেন্ট করা যাবে। আমার মনে হয় এখন কমেন্ট করার জন্য উপযুক্ত সময় না। আমি মনে করি যারা সংশ্লিষ্ট থাকবে তারাই ধরা পড়বে, তাদেরই বিচার হবে। আমরা আশা করি, সুষ্ঠু বিচার হোক, প্রকৃত অপরাধীরা ধরা পড়ুক। সবচেয়ে বড় কথা আমি কি প্রশাসনের কোথাও বলেছি, তাকে (লোকমানকে) যেন না ধরে? ইস্যুটা এখানে নয়। সিম্পল একটা ব্যাপার বলি। লোকমান হোসেন ভুঁইয়াকে যারা চেনেন, যারা এখন তার বিরুদ্ধে বলছেন, তাদেরও গিয়ে সত্যি কথাটা বলতে বলেন। তিনি আরো বলেন, আমি যে লোকমানকে চিনি সে জীবনে মদ খায়নি, জীবনে জুয়া খেলেনি; এটা যেমন সত্যি আবার সে যে ক্যাসিনোর জন্য ভাড়া দিয়েছে এটাও তো সত্যি। কাজেই অস্বীকার করার তো কোনো পথ নেই। সে যদি করে থাকে তাহলে তার বিচার হবে। আমরা তাকে যেভাবে চিনি, যেভাবে জানতাম এখন প্রমাণিত হওয়ার আগে তো কিছু বলতে পারছি না যে আসলে ঘটনাটা কি। কারণ, এখন তো অনেক কথা শোনা যাচ্ছে। দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে তারা আগে দেখুক, বুঝুক আসলে কে কি করেছে। যে যা দোষ করেছে তার সেই শাস্তি হবে, এটা নিয়ে আমাদের কোনো কিছু বলার নেই। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।