নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলের যে মানসিকতা তা দিয়ে খুব একটা ম্যাচ জেতা সম্ভব না। এই মানসিকতায় তাই রাতারাতি বদল আনতে চান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। আসছে এশিয়া কাপ থেকেই দলের চিন্তাধারায় পরিবর্তন দেখতে চান তিনি। গতকাল সরকারি ছুটির দিন থাকায় বিসিবি সভাপতি এসেছিলেন মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। তিনি যখন মাঠে আসেন তখন সেন্টার উইকেটে ব্যাটিং অনুশীলন করছিলেন মুশফিকুর রহিম। অনুশীলনে ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। অনুশীলন সেরে তখন ড্রেসিংরুমে সাকিব আল হাসান। বোর্ড প্রধান মাঠেই এই ক্রিকেটারদের সঙ্গে ছোট সভা করেন। সেখানে ছিলেন ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস ও টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।
এরপর সংবাদ মাধ্যমের সামনে হাজির হয়ে নাজমুল বলেন পুরনো কথাই। বদল আনতে চান আমূল, ‘টি-টোয়েন্টিতে আমরা শক্তিশালী না। কি করা যায় এটা নিয়ে ভাবতে গিয়ে আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পুরো মানসিকতা, চিন্তাধারা সব কিছু হঠাৎ করে বদলে ফেলতে চাচ্ছি এই এশিয়া কাপে। করে আমরা দেখতে চাই নতুন করে শুরু করা যায় কিনা।’
হুট করে বদল আনার কথা বললেও তা করতে পারা নিয়ে অবশ্য নিজেরই সন্দেহ আছে, ‘এশিয়া কাপ কিন্তু বিশ্বকাপের পরেই (বড় আসর)। গত বিশ্বকাপে আমাদের পারফরম্যান্স খুবই খারাপ ছিল। হঠাৎ করে এখন এত তাড়াতাড়ি বের হতে পারব কিনা জানি না। আমাদের মাথায় যদি চিন্তা ধারা থাকে আমরা উন্নতি করতে চাই। এই চিন্তা যদি এশিয়া কাপ থেকে শুরু না করি তাহলে বিশ্বকাপে গিয়ে আরও খারাপ অবস্থা হবে।’
চিন্তা ভাবনার বদলটা কি, তাও পরিষ্কার করেছেন তিনি। জিম্বাবুয়ে সফরের আগে থেকেই যা শুনিয়ে আসছিলেন টিম ডিরেক্টর, ‘টি-টোয়েন্টির মানসিকতা পুরোপুরি আলাদা করতে হবে যদি জিততে চাই। এখানে পাওয়ার হিটিংয়ের বিকল্প নাই। ১৩০/১৪০ করে হয়ত একটা ম্যাচ জিতে যেতে পারেন। এটা সব সময় হবে না। আমাদের ১৮০-২০০ করতে হবে। এখন আমাদের যে মাইন্ডসেট সেটা করার লক্ষণ আমরা দেখতে পাই না। সেজন্য কি করা যায় তা নিয়ে আলাপ করেছি।’
পাওয়ার হিটিংয়ের সমস্যা কাটাতে একজন বিশেষজ্ঞ কোচেরও দরকার অনুভব করছে বোর্ড। তবে বর্তমান ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স বোর্ড সভাপতির বাসায় গিয়ে তাকে আশ্বস্ত করেছেন এই দিকটা সামলাতে পারেন তিনিই, ‘আমরা একটা চিন্তা করেছিলাম পাওয়ার হিটিংয়ের জন্য বিশেষজ্ঞ কোচ আনব কিনা। তখন জেমি (সিডন্স) এসে বলল ও এই ব্যাপারে স্পেশালাইজড আছে। আমাদের মূল সমস্যা যেটা দেখি টি-টোয়েন্টিতে। আমাদের খেলোয়াড় কিন্তু আছে। সমস্যা হচ্ছে আমাদের মাইন্ডসেট বদল করতে হবে।’
বিসিবি সভাপতি জানান এশিয়া কাপে ভালো খেলার ব্যাপারে অধিনায়ক সাকিবকে আত্মবিশ্বাসী দেখেছেন তিনি। লিটন দাসের না থাকা, নুরুল হাসান সোহানকে পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় সেরা দল না থাকার আক্ষেপও ঝরেছে তার কন্ঠে। এমনকি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়া, আড়াই বছর ধরে এই সংস্করণে না থাকা তামিম ইকবালের না থাকার কথাও টেনে এনেছেন তিনি।
এশিয়া কাপের স্কোয়াডে ওপেনার রাখা হয়েছে কেবল দুজন। ফর্ম ও চোট সমস্যার কারণে এই জায়গায় নেই বাড়তি কেউ। স্কোয়াডে আছেন মাত্র এক টি-টোয়েন্টি খেলা পারভেজ হোসেন ইমন। আছেন এনামুল হক বিজয়। বিজয় লম্বা সময় পর দলে ফিরে প্রত্যাশাপূরণ করতে পারেননি এখনো। ৬ ম্যাচ খেলে স্রেফ ১৪.১৬ গড় ও ১০৬.২৫ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ৮৫ রান। বোর্ড সভাপতি অবশ্য তাকে নিয়ে আশাবাদী। বললেন, ‘কপাল ভালো আমাদের এখন বিজয় আছে।’ তবে তাকে সবচাইতে বেশি আশ্বস্ত করেছে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিবের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের ছাপ, ‘সাকিবের সঙ্গে নিয়মিতই কথা হয়। অনেকের সঙ্গেই কথা হয়, সোহানের সঙ্গে কথা হয়, লিটন দাসের সঙ্গে হয়। মোটামুটি সবার সঙ্গেই কথা বলি। আজকে জানতে চাচ্ছিলাম যে, ওর (সাকিব) কী মনে হচ্ছে (এশিয়া কাপ নিয়ে)। একটা ব্যাপার দেখলাম, সাকিব আত্মবিশ্বাসী। ওর তো অবশ্য সবসময়ই আত্মবিশ্বাস থাকে। তবে এই মুহূর্তে বেশি জরুরি এটা থাকা।’
টি-টোয়েন্টিতে সবশেষ ১৪ ম্যাচে বাংলাদেশ জয় স্রেফ দুটিতে। গত বিশ্বকাপের পর তারা দেশের মাঠে হোয়াইটওয়াশড হয়েছে পাকিস্তানের কাছে, সিরিজ ড্র করেছে আফগানিস্তানের সঙ্গে, সিরিজ হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে সফরে। এশিয়া কাপেও গ্রুপ পর্ব পার হওয়া তাই বাংলাদেশের জন্য হবে বড় চ্যালেঞ্জ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।