পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে গত ক’দিনের অবিরাম ভারি বর্ষণে মাদারীপুর, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বীজতলা নষ্ট ও মৎস্য ঘের ডুবে গেছে। এতে নিঃস্ব হয়ে গেছে অনেক কৃষক ও খামারী।ব্যাংক বা বিভিন্ন এনজিও থেকে নেয়া ঋণ পরিশোধ কীভাবে করবেন তা নিয়ে রীতিমতো পড়েছেন শঙ্কায়। সাতক্ষীরার আশাশুনিতে কলঘেষিয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে তিনটি গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কয়রায় অবিরাম বর্ষণে পাউবোর ভেড়িবাঁধে ধস নেমেছে। আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী। চট্টগ্রামেরবোয়ালখালীতেপাহাড়ি ঢলে ১জন নিখোঁজ রয়েছেন। পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের শ্রীমাই এলাকায় খালের পাড় ধসে সাজ্জাদ হোসেন (১৬) নামের এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। রাজারহাটে ভাঙন কবলিতদের বুকফাটা কান্নায়বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। এসব স্থানে ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে কবরস্থান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধানিজমি, বসতবাড়ি, মসজিদ ও মন্দির। পানি জমে থাকার কারণে দেখা দিচ্ছে পানিবাহিত রোগ। বন্যা ও ভাঙন কবলিত মানুষ খাদ্য ও আশ্রয় সঙ্কটে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। দেশে চলমান বন্যা ও ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের দুঃখ-কষ্টের কথা তুলে ধরে আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যের আলোকে রিপোর্ট-
শফিকুল ইসলাম বেবু,কুড়িগ্রাম থেকেজানান,কুড়িগ্রামে তিস্তার রুদ্ররূপে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ভাঙন কবলিতরা। বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে তাদের বুকফাটা কান্নার আওয়াজ! পানি কমে যাওয়ার পর তীব্র স্রোতে ভেঙে যাচ্ছে আবাদিজমিসহ বসতবাড়ি। দু’সপ্তাহের মধ্যে ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে স্কুল, বাঁধ, রাস্তা, বাজার, মসজিদ-মন্দিরসহ অনেক স্থাপনা। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নেয়ায় ভাঙন কবলিতরা এখন দিশেহারা। গতকাল সোমবার সরেজমিনে তৈয়বখাঁ এলাকা ঘুরে দেখা গেল ভাঙন কবলিতদের আর্তনাদ! ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার সময়েই তিনটে বাড়ির ভিটা ভেঙে গেল।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের তৈয়ব খাঁ মৌজাটি এখন গিলে খাচ্ছে খরস্রোতা তিস্তা নদী। চলতি মাসে আড়াইশ’ বসত বাড়িসহ, তৈয়বখাঁ বাজার, স্কুল, মসজিদ, মাদরাসা, মন্দিরসহ পুকুর, সুপারী বাগান চলে গেছে নদীগর্ভে। এখন যারা নদীর মুখে তাদের আশঙ্কা-আহাজারীতে থমকে আছে চারপাশ।
তৈয়বখাঁর সোমনারায়ণ এলাকার মালেকা (৫২) জানান, ‘ব্যাটাক ভাত দিবার পারি নাই। অবুঝ ছওয়াককাম করতে ঢাকাত পাঠাইছি। এক এক করি চার ভাঙা দেইল। দেওয়ার পর এক শতক মাটি কিনি বাড়ি করছি। সেও মাটি ভাঙি গেইল। যাওয়ার পর মানষের জঙ্গলে জাগা দিলে। সে জঙ্গলও ভাঙি গেইল। থাকপের কোন পথ নাই। আমি সাহায্য চাই না। নদীর কাজ চাই।’ মালেকার কথার সাথে কণ্ঠ মেলালেন আরো কয়েকজন।
বর্তমানে ভাঙনের মুখে রয়েছে ২৫টি বাড়ি। ।রাজারহাট বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্য জানান, তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে ৩০ লাখ টাকার বরাদ্দ দিয়ে পাইলিং ব্যবস্থা কোন কাজে আসেনি। ছোট ছোট বরাদ্দ দিয়ে তিস্তা নদীর ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়। বড় অংকের বাজেট বরাদ্দ দিয়ে বেরী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান তিনি। নাহলে এই ইউনিয়নের শতশত বাড়িঘর নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
আক্তারুজ্জআমান বাচ্চু, সাতক্ষীরা থেকে জানান, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার গাজীপুর এলাকার কলঘেষিয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে তিনটি গ্রাম ও দেড় হাজার বিঘা মৎস্য ঘের প্লাবিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে বেঁড়ি বাধটি ভেঙ্গে যায়। স্থানীয় চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে শতাধিক এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে সেখানে বাধ সংস্কারের প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয়রা জানান, দুপুরে প্রবল জোয়ারের চাপে কলঘেষিয়া নদীর প্রায় এক’শ ফুট বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলিন হয়। এতে শ্রীউলা ইউনিয়নের গাজীপুর, কাকড়াবুনিয়া ও বলাডাঙ্গা গ্রামের নিম্নাঞ্চলসহ দেড় হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি প্লাবিত হয়। শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল ঘটনাস্থল থেকে জানান, বাঁধটি সংস্কার করা না গেলে পরবর্তী জোয়ারে আরো বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হবে। তবে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বার বার অবহিত করার পরও ভাঙন এলাকায় এখনো কেউ আসেননি।
এম এস এমরান কাদেরী, বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম থেকে জানান, দু’দিনের ভারী বর্ষণ ও কর্ণফুলী নদীর জোয়ারের তোড়ে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌরসভাসহ উপজেলার নিন্মাঞ্চল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে এখান শত শত ঘর-বাড়ী ও রাস্তা-ঘাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে স্থানীয়রা। বসত ঘরের ভেতরে পানি ঢুকে যাওয়ায় অনেকের রান্না-বান্না, খাবার পানীর সংকটে পড়ে দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে হাজার শত শত পরিবারে। এ ছাড়া জলাবদ্ধতার কারণে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধী। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এখানকান হাজার হাজার মানুষ।এ দিকে পাহাড়ি ঢলে মো. মতিউর রহমান (৩২) নামের এক লেবু চাষী নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে। প্লাবিত বিভিন্ন স্থানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত ২দিনের লাগাতার ভাড়ী বর্ষণে উপজেলার নিম্মাঞ্চল গুলো প্লাবিত হয়ে পড়ে। কিন্তু হঠাৎ গতকাল সোমবার দুপুর থেকে বর্ষণের সাথে সাথে কর্ণফুলির জোয়ারের তোড়ে প্লাবিত নিম্মাঞ্চলগুলো অবস্থার অবনতি ঘটে। সেই সাথে উপজেলার পৌরসদরের শত শত ঘর-বাড়ী, দোকান, রাস্তা ঘাট সহ বাসা বাড়ীতে পানি ঢুকে পড়ে। ফলে এলাকায় দূর্ভোগ মহামারী আকারে দেখা দিয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে ছেলে মেয়েদের লেখা-পড়া, কষ্টে দিনাতিপাত করছে শিশু, মহিলা ও বৃদ্ধ রোগীরা। এছাড়া অনেক স্থানে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে উপজেলার চরণদ্বীপ ইউনিয়নের বড়ুয়া পাড়া ও ঘাটিয়ালপাড়া এলাকায় কর্ণফুলী নদীর জোয়ারের তোড়ে বসত বাড়ীতে ঢুকে পড়ায় এসব এলাকার লোকজন ঘর-বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন চরণদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান।
কয়রা(খুলনা)উপজেলা সংবাদদাতা জানান, কয়রায় গত তিন দিনের অবিরাম বর্ষণে পাউবোর ১৫ টি পয়েন্টে ভেড়িবাধে ভয়বহ ধস নেমেছে। চলতি আমন মৌসুমের বীজ তলা নষ্ঠ হয়ে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মৎস্য ঘের প্লাবিত হয়ে লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হওয়ার পাশাপশি জন জীবন বিপযর্স্ত হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে গত তিন দিনের অবিরাম বর্ষণের পাশাপশি নদীতে প্রবোল জোয়ারের পানি বৃদ্ধি হওয়ায় পাউবোর ১৩/১৪-১ ও ১৩/১৪-২ পোল্ডারের দক্ষিণ বেদকাশির আংটিহারা, চোরামুখা, উত্তর বেদকাশির রতœা, কাটকাটা ও গাজীপাড়া, কয়রা সদরের ৬নং কয়রা,৪নং কয়রা,মদিনাবাদ লঞ্চঘাট থেকে কাছাড়িবাড়ী,মহারাজপুরের দশহালিয়া, লোকা,মঠবাড়ি পবনা ও মহেশ্বরীপুরের নয়ানী এলাকার ভেড়িবাধ ভয়বাহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ সকল এলাকার বেড়িবাধ যে কোন মুহূর্তে ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে। অন্যদিকে প্রবল বর্ষণের ফলে ৭টি ইউনিয়নের অধিকাংশ মৎস্য ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলা মৎস্য অফিসার এস এম আলাউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, উপজেলার ১ হাজারের বেশি মৎস্য ঘের প্লাবিত হয়ে লাখ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান,লাগাতার কয়েকদিনের টানা দিনভর প্রবল বর্ষণও আড়িয়াল খাঁ নদীতে অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে মাদারীপুরের নিম্নাঞ্চল এলাকায় প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি প্রবল বর্ষণে মাদারীপুর পৌর এলাকার অনেক নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে । পানিবন্দি হয়ে বাস করছে পৌর এলাাকার অনেক মানুষ। সুষ্ঠু ড্রেনেজ ব্যবস্থা যথাযথভাবে গড়ে না ওঠায় পৌরসভার অনেক এলাকায় পানি নিস্কাশন না হওয়ায় পানিবদ্ধাতার সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি পৌর এলাকায় মাটি খনন করে ড্রেন নির্মাণের কাজ বৃষ্টির পানিতে জলমগ্ন হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে। খোদ পৌর এলাকায় ড্রেনের জন্য স্তুপকরা রাস্তার মাঝখানে খননকৃত মাটি বৃষ্টির পানিতে কর্দমাক্ত হয়ে পড়ায় চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
আড়িয়াল খাঁ নদীর পানি ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় মাদারীপুর সদর উপজেলার মহিষেচর ছিলারচর চরনাচনা কালিকাপুর মাদ্রা, শ্রনদী ধুরাইল এলাকায় নদীর পানি প্রবেশ করে এসব এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মাদারীপুর শহর রক্ষা বাধ ও লঞ্চঘাট এলাকা এখন হুমকির মুখে পড়েছে। বিভিন্ন সড়কে খানাখন্দক সৃষ্টি হওয়ায় ওই সব সড়কের বৃষ্টির পানি জমে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে পথচারী জনসাধারনের যাতায়াতে অর্বননীয় ভোগান্তি শিকার হতে হচ্ছে। অথচ কর্তৃপক্ষের কোন নজর নেই সেদিকে।
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, অমবশ্যায় বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ এবং গত কয়েকদিন ধরে অবিরাম ভারি বর্ষণে মঠবাড়িয়া উপজেলার আমনের বীজতলা, মাছের ঘের এবং নিম্নাঞ্চল প্রায় ১/২ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ অবস্থা আরো কয়েকদিন অব্যাহত থাকলে আগামী আমন আবাদ এবং ঘেরের মাছের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। উপজেলার নিম্নাঞ্চলের রাস্তা-ঘাট, বাড়ির আঙ্গিনা এবং রবি শস্যের ক্ষেতও পানির নিচে তলিয়ে আছে।
জানাগেছে, ভারি বর্ষণ এবং জোয়ারের পানিতে বলেশ্বর নদী তীরবর্তী তুষখালী, বড় মাছুয়া, বেতমোর রজপাড়া,ও সাপলেজা ইউনিয়নসহ মিরুখালী, গুলিশাখালী ও ধানীসাফা ইউনিয়নের অধিকাংশ আমনের বীজতলা তলিয়ে গেছে। কৃষি অফিসের তথ্যানুযায়ি উপজেলায় প্রায় ১৪ শত হেক্টর জমিতে বীজতলা করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৯৫ ভাগই স্থানীয় জাতের ধানের বীজতলা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, এখন পর্যন্ত আড়াই শত হেক্টর বীজ তলা পানিতে তরিয়ে গেছে।
পটিয়া উপজেলা সংবাদদাতা জানান, চট্টগ্রামের পটিয়ায় বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। গত দুইদিনের ভারী বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলের পানি নি¤œাঞ্চলে ঢুকে পড়ে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ফলে সকাল থেকে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। বাড়ি-ঘর থেকে কেউ সকাল থেকে বের হতে পারেনি। বেশিরভাগ সরকারি-বেসরকারী অফিস-আদালত জনশূন্য হয়ে পড়ে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি ও কর্ণফুলী নদীর জোয়ারের পানি একাকার হয়ে যায়।
এদিকে, বন্যার পানিতে ভেসে গেছে ৫ শতাধিক পুকুরের মাছ। এদিকে, পটিয়ার ভাটিখাইন এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে দুইদিন ধরে বৃষ্টির পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় ভাটিখাইন, ছনহরাসহ আশপাশের লোকজন পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন। তাছাড়া ভাটিখাইন ও ছনহরা বেড়িবাঁধ এলাকার সহ¯্রাধিক পরিবার ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছে। যে কোন সময় বেড়িবাঁধের বাকী অংশ ভেঙে অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পটিয়া বাইপাস সড়কের ঠিকাদারের অবহেলার কারণে বেড়িবাধ কেটে একটি ব্রীজ নির্মাণের কারণে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানি দ্রæত বাড়ী-ঘরে ঢুকে পড়ছে। গত রবিবার বিকেলে পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের শ্রীমাই এলাকায় খালের পাড় ধসে সাজ্জাদ হোসেন (১৬) নামের এক স্কুল ছাত্র নিহত হয়েছে। বর্তমানে শ্রীমাই খালের পানি বিপদ সীমার উপর দিতে প্রবাহিত হচ্ছে। পটিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঘুনাথ নাহা বলেন, উপজেলার পটিয়ায় গত দুইদিনের বৃষ্টিতে ২৪০ হেক্টর আমন বীজতলা নষ্ট হয়েছে এবং ২০ হেক্টর সবজি ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। এতে উপজেলার প্রায় ৫ হাজার কৃষকের ক্ষতি হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।