Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পুলিশ দম্পতির বাসায় গৃহকর্মীর লাশ : হত্যার অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : মিরপুরে এক পুলিশ দম্পতির বাসা থেকে রাসেল (১৩) নামে এক গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই গৃহকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। নিহত গৃহকর্মী রাসেল নাটোরের রফিকুল ইসলামের ছেলে। মিরপুর বড়বাগ এলাকার একটি ভবনের ষষ্ঠ তলায় পুলিশ দম্পতি এএসআই নজরুল ইসলাম ও জেলা বিশেষ পুলিশের (ডিএসপি) সদস্য হোসনে আরার বাসায় এক বছর যাবৎ গৃহকর্মীর কাজ করছিল রাসেল। ওই বাসার ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রোববার বিকালে তাকে পাওয়া যায় বলে গৃহকর্তা এএসআই নজরুল দাবি করলেও মিরপুর থানার এসআই অজিত রায় জানান, মৃতদেহে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার আলামত পাওয়া যায়নি। গতকাল সোমবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিহতের লাশ ময়না তদন্ত করা হয়। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রকৃত কারন জানা যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। মৃতদেহে আত্মহত্যার আলামত পাওয়া যায়নি জানিয়ে মিরপুরের এসআই অজিত রায় সাংবাদিকদের বলেন, থুতনির নিচে সামান্য জখম রয়েছে। তবে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলে যেরকম অর্ধচন্দ্রাকৃতি দাগ পড়ে বা সেরকম কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি।
পুলিশ অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) কর্মরত এএসআই নজরুল জানান, গত রোববার দুপুরে ১৩ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে মিরপুর ১৪ নম্বরে এক দন্ত চিকিৎসকের কাছে যান তার স্ত্রী হোসনে আরা। সেসময় তাদের পাঁচ বছর বয়সী আরেক ছেলে ফাহিমকে বাসায় রাসেলের কাছে রেখে যান। তার স্ত্রী বাসায় ফিরে বাইরে থেকে বন্ধ পেয়ে অনেকক্ষণ ধরে ডাকাডাকি ও দরজা ধাক্কানোর পরও তা খুলছিল না রাসেল। বেশ কিছুক্ষণ পর ছোট ছেলে ফাহিম দরজা খুলে দিলে ঘরে ঢুকে রাসেলকে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে থাকতে দেখেন। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে ভাষ্য এই পুলিশ সদস্যের। তবে রাসেলকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ এনে তার বাবা রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গত এক বছরে এক টাকাও দেয়নি ওরা (পুলিশ দম্পতি)। এরমধ্যে একবার পালিয়ে গ্রামে চলে এলেও রাসেলকে আবার জোর করে নজরুলের বোন ফাহিমা ঢাকায় নিয়ে যায় বলেও জানান তিনি। এক বছর আগে নজরুলের বোন ফাহিমাই গ্রাম থেকে কাজের জন্য দুই ভাই-বোনের মধ্যে ছোট রাসেলকে ঢাকায় নিয়ে যায়। অভাবের কারণে সেসময় ছেলেকে ঢাকায় কাজে দিয়েছিলেন রফিকুল ইসলাম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হত্যা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ