পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : পাঁচ দিনের ভারতের দিল্লী সফর সফল হয়েছে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি বলেন, ভারত সফর সফল হয়েছে। বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তারা কথা দিয়েছেন আমার সঙ্গে আছেন। দেশের মানুষের সঙ্গে বিদেশি বন্ধুরাও আগামীতে জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতা দেখতে চায়। দিল্লী সফর শেষে গতকাল ঢাকা ফিরে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে মূল সড়কে দলীয় নেতাকর্মীদের সংবর্ধনার জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বিদেশি (দিল্লী) বন্ধুরা বাংলাদেশে জনকল্যাণের রাজনীতি দেখতে চায়। তারা কাদা ছোঁড়াছুড়ি ও দোষারোপের রাজনীতি পছন্দ করে না। জাতীয় পার্টি সম্পর্কে তাদের ধারণা খুবই ইতিবাচক। তারা জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করার পরামর্শ দিয়েছেন। তারা আশা করেন আগামীতে (একাদশ নির্বাচনে) জাতীয় পার্টিই ক্ষমতায় যাবে।
জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও সংর্বধনা অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন কমিটির আহŸায়ক সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দলের কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, মহানগর উত্তর সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম সেন্টু প্রমূখ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন রাজু, আরিফ খান, জহিরুল ইসলাম জহির, যুগ্ম মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, জাপা নেতা জহিরুল আলম রুবেল, আলমগীর শিকদার লোটন, মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, মহিলা পার্টির সেক্রেটারি অনন্যা হোসেন মৌসুমী প্রমূখ।
এরশাদের সংবর্ধনা উপলক্ষে দুপুর থেকেই জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা বিমানবন্দর এলাকায় জমায়েত হতে থাকেন। বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে এরশাদ বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এ সময় মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টিতে ভিজে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী তাঁকে অভিবাদন জানান। খোলা মঞ্চে ৫ মিনিট বক্তব্য রাখেন এরশাদ। তারপর নেতাকর্মীর গাড়িবহরে তাকে বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে পৌঁছে দেয়।
এইচ এম এরশাদ বলেন, বর্তমানে দেশের যে পরিস্থিতি তাতে মানুষ এ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। মানুষ পরিবর্তন চায়। দেশের মানুষের পাশাপাশি অনেক বিদেশি বন্ধুও পরিবর্তন চায়। এজন্য জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় গিয়ে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩শ আসনে জোটের মাধ্যমে ভোট করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা জোটগতভাবে নির্বাচন করব, ৩শ আসনে প্রার্থী দেব। ভোটে আমরাই ক্ষমতায় যাব।
নেতাদের শোডাউন ঃ এরশাদের সংবর্ধনাকে ঘিরে জাতীয় পার্টির নেতারা ব্যাপক শোডাউন করেন। দলের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ জেলাসহ আশপাশের এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছিলেন অনুষ্ঠানে।
এ সংবর্ধনায় সবচেয়ে বড় শোডাউন করেন ঢাকা-৪ আসনের এমপি ও মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। তার নির্বাচনী এলাকা শ্যামপুর-কদমতলি থেকে জাতীয় পার্টির প্রায় এক হাজার নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে সংবর্ধনায় যোগ দেয়। এ ছাড়াও প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, ঢাকা-৫ আসন (ডেমরা) থেকে নেতাকর্মী নিয়ে মীর আব্দুস সবুর আসুদ, নারায়গঞ্জের সোনারগাঁ’ এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সেন্টু হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে শো ডাউন করেন। এরশাদের সংবর্ধনা উপলক্ষ্যে আগত মিছিলগুলোর দিকেই নজর ছিল পথচারী ও বাস যাত্রীদের। এ সময় বিমানবন্দর এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বিমানবন্দর সড়কে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করায় রাজধানীর উত্তরার সড়কে টানা দুই ঘণ্টা ধরে গাড়িতে আটকা পড়েন হাজার হাজার ভুক্তভোগী। বিমানবন্দর সড়কে এরশাদকে সংবর্ধনা দিতে অবস্থান করেন জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, উত্তর, মহিলা পার্টি, শ্রমিক পার্টি, স্বেচ্ছাসেবক পার্টি, যুব সংহতি, কৃষক পার্টি, ওলামা পার্টি, ছাত্রসমাজসহ জাতীয় পার্টির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।