Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জোরালো আলোচনায় নির্বাচনকালীন সরকার

| প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মাঠ রাজনীতিতে নতুন মাত্রা ঘরোয়া পরিবেশে চলছে এপিঠ-ওপিঠ হিসাব-নিকাশ
শফিউল আলম : নতুন মাত্রায় মোড় নিয়েছে মাঠ তথা তৃণমূলের রাজনীতি। এ মুহূর্তে রাজনীতি সচেতন মানুষের মাঝে এখানে-সেখানে জোরালো আলোচনায় ঘুরেফিরেই উঠে আসছে নির্বাচনকালীন সরকার কী হবে কেমন হবে সেসব বিষয়। গত ১৬ জুলাই নির্বাচন কমিশন (ইসি) সাতটি কর্মপরিকল্পনা সামনে রেখে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দেড় বছর আগে যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে তা এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে শুরু হয়ে গেছে চুলছেঁড়া বিস্তর হিসাব-নিকাশ। আগামীতে একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপভোগ করার লক্ষ্যটাই গুরুত্বের দিক থেকে সামনে চলে আসছে। তবে প্রত্যাশা আর আকাক্সক্ষা যতটা জেগে ওঠার কথা সেই তুলনায় মানুষের কথাবার্তা থেকেই ক্রমাগত উঠে আসছে নানামুখী সংশয়-সন্দেহ, কৌতূহল আর প্রশ্ন। রাজনীতি নিয়ে যখন যেখানেই আড্ডা-বৈঠক, টিভি চ্যানেলে একত্রে বসে টকশো দেখা, সভা-সেমিনার হচ্ছে সেখানেই প্রাধান্য পাচ্ছে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে। ভিন্ন মতাদর্শের বড় ছোট মাঝারি গোছের রাজনৈতিক দল-জোটের শহর-নগর-গ্রামের প্রত্যন্ত জনপদের তৃণমূল নেতা-কর্মী, সমর্থকদের পরস্পর আলাপচারিতায়ও নির্বাচনী পরিবেশের বিষয়টি এখন মুখ্য হয়ে উঠেছে। সবার কথায় স্পষ্ট ফুটে উঠছে জনগণ আগামী নির্বাচন সামগ্রিকভাবে ‘সুষ্ঠুতা’র আশ্বাসবাণী সম্পর্কে আরও নিশ্চিত এবং নিশ্চিন্ত হতে চায়।
রাজনীতি আন্দোলন-সংগ্রামের সূতিকাগার বীর প্রসবিনী চাটগাঁর মানুষ শত ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যদিয়ে সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই অধিকমাত্রায় রাজনীতি সচেতন। ফলে দেশে নির্বাচনমুখী রাজনীতির ঢেউ চট্টগ্রামে আগাম একটু বেশিই চোখে পড়ার মতো। বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের ২৩টি সংসদীয় আসন তথা নির্বাচনী এলাকায় আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির ভোটের মাঠে রাজনীতিতে তোড়জোড় তৎপরতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরাপর মাঝারি, ছোট দল বা জোটগুলোও নির্বাচনী রাজনীতির মাঠে গা-ঝাড়া দিয়ে উঠেছে এবং আসন ভাগাভাগির জন্য দরকষাকষিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সেই সাথে ভোটের মাঠ কেমন থাকবে বা থাকা উচিৎ, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত থাকবে কিনা এসব নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে আলাপ-আলোচনা, পর্যালোচনা, একে অন্যের সঙ্গে শলা-পরামর্শ করা এর মধ্যদিয়ে যেন নির্বাচনমুখী রাজনীতির আবহ জোরদার হয়ে উঠছে ধীরে ধীরে। বৃহত্তর চাটগাঁর পূর্বপ্রান্তের টেকনাফ থেকে পশ্চিমে মিরসরাই অবধি সম্ভাব্য প্রার্থী ও মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌঁড়-ঝাঁপ বেড়ে যাচ্ছে। যার যার এলাকায় ঘন ঘন ঘুরছেন। তৃণমূল কর্মীদের সাথে বৈঠক করছেন, নির্বাচনী কৌশল নিয়ে বুদ্ধি-পরামর্শ নিচ্ছেন। অনেকদিন পর তৃণমূলে ‘অবহেলিত’ থাকা নেতা-কর্মী, সমর্থকদের কদর বেড়েছে। ঠিক তেমনিভাবে জনসাধারণের মাঝে- ‘ভাই, বলেন তো, আগামী নির্বাচনটা কেমন হবে? ইসির রোডম্যাপের ঘোষণা থেকে কী বুঝলেন?’ এমন হরেক প্রশ্নের যেন ঢালি খুলে বলাবলি হচ্ছে মাঠে-ঘাটে, অফিসে-আড্ডায়, দোকান-পাট থেকে শুরু করে ড্রয়িংরুমে কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠানাদিতেও। নিকট অতীতকালে মাঠে-ময়দানে সভা-সমাবেশে, জনসভায় নির্বাচনী রাজনীতি নিয়ে ‘জ্বালাময়ী ভাষণ’ শুনতে মানুষ অভ্যস্ত ছিল। আর এখন বলতে গেলে ঘরোয়া পরিবেশে ঠাঁই নিয়েছে আগামী নির্বাচনকে ঘিরে এপিঠ-ওপিঠ হিসাব-নিকাশ আলোচনা কিংবা সমালোচনা। চাটগাঁয় শিক্ষিত-সচেতন মানুষজন সংবাদপত্রের পাতায় চোখ বুলিয়ে ভোট রাজনীতির সর্বশেষ হালচাল জানার চেষ্টা করছেন।
এদিকে নির্বাচনী রাজনীতির ফিল্ডে অবস্থান সংহত করতে প্রধান দু’টি দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি হযবরল অবস্থা কাটিয়ে নিজেদের দলকে আগের তুলে গোছানো, অভ্যন্তরীণ বিরোধ-বিবাদ, নেতায় নেতায় দ্বন্ধ-সংঘাত মিটিয়ে ফেলার দিকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েই অগ্রসর হচ্ছে এবং নাটকীয়ভাবে এক্ষেত্রে চট্টগ্রামে উভয় দলে যথেষ্ট ইতিবাচক অগ্রগতি এসেছে। সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর জন্য দু’দলই সমানতালে তৎপর। গত দুই মাসের মধ্যে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে পৃথক পৃথক শো-ডাউনেই সম্পন্ন হয়েছে প্রতিনিধি সভা। যা বিগত ৩ থেকে ৬ বছরেও করা সম্ভব হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল এমন আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রী-এমপিরা এক টেবিলে বসে হাসিমুখে তৃণমূল কর্মীদের সামনে বক্তব্য দিয়েছেন। নেতাদের পাশাপাশি কর্মীরাও তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছেন। অবশ্য চট্টগ্রামে বিএনপির সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ সিনিয়র নেতাদের মধ্যকার পুরনো বিরোধ আর রেষারেষির জের কার্যত রয়েই গেছে।
এ মুহূর্তে চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা-মন্ত্রী-এমপি ও মনোনয়ন প্রত্যাশী পুরনো আর নতুন মুখের নেতারা ছাত্রলীগ, যুবলীগের বিভিন্ন অপকীর্তিকলাপ নিয়ে জনসমালোচনার মুখে রয়েছে এবং তা সামলানোর উপায় নিয়ে বেকায়দায়ও আছেন। এ প্রসঙ্গে গতকাল চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ইনকিলাবকে জানান, যেসব এলাকা এখনও উন্নয়নে অবহেলিত বঞ্চিত রয়েছে সেখানকার সমস্যা মেটানো, নির্বাচনী ওয়াদা পূরণ, উন্নয়ন ও জনকল্যাণে সরকারের সাফল্য তুলে ধরা এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখতে সরকারের ধারাবাহিকতার প্রয়োজন জনগণের সামনে তুলে ধরার দিকে মনোযোগী হয়েছেন। অন্যদিকে বিএনপি চট্টগ্রাম নগর ও জেলায় নেতা-কর্মীরা নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযান, নির্বাচনের জন্য এলাকাওয়ারি দলকে আরও সুসংগঠিত করা, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দীর্ঘদিন পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পর এখন থানা-ওয়ার্ড-ইউনিট পর্যায়ে কমিটি গঠন সম্পন্ন করা, অভ্যন্তরীণ বিরোধ নিরসন, এলাকাবাসীর সাথে সম্পৃক্ত থাকা ইত্যাদি কর্মকান্ড এগিয়ে নিচ্ছেন। আর এর মধ্যদিয়ে সরকারের ব্যর্থতাসমূহ, অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের গুরুত্ব, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ঘোষিত ‘ভিশন ২০৩০ রূপকল্প’ ইত্যাদি বিষয় তৃণমূল কর্মীদের মাধ্যমে তুলে ধরছেন। এ সম্পর্কে তারা জনমত গঠনকে বেশি গুরুত্ব দিতে চান, যা নির্বাচনী রাজনীতিতে সুফল বয়ে আনবে বলে তৃণমূল নেতারা এ মুহূর্তে ভাবছেন। অবশ্য চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে ফিরে এলে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের যে রূপরেখা উপস্থাপন করবেন, সেদিকে এখন স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মী, সমর্থক ছাড়াও রাজনীতি সচেতন চাটগাঁবাসীর কৌতূহলী দৃষ্টি নিবদ্ধ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন ইনকিলাবকে জানান, দলের মধ্যে দুর্বৃত্তায়ন দূর করা হবে। আমরা ভিশন ২০৩০ রূপকল্প জনগণের সামনে তুলে ধরে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। আর বর্তমানে নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির প্রতি গণজাগরণ তৈরি হয়েছে। এ যাবত ২০ হাজার নতুন সদস্য বিএনপিতে অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন। আরও ২০ হাজার ফরম আমরা কেন্দ্র থেকে পাঠানোর জন্য বলেছি। অনেক তৃণমূল কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা হুলিয়া ও হয়রানির কারণে কাজ কিছুটা ব্যাহত হলেও আমরা এগিয়ে চলেছি। নির্বাচনী এলাকায় যারা বিএনপির মনোনয়ন পাবেন তারা তৎপর রয়েছেন। সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া ও সমর্থন পাচ্ছি।
রাজনীতির গতিধারা : বিশেষজ্ঞের অভিমত
বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক কলামিস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার গতকাল (বুধবার) ইনকিলাবকে নির্বাচনমুখী রাজনীতির গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে অভিমত দিয়েছেন। তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হলো। এখন রাজনীতির গতিশীলতা বাড়বে। এর প্রভাব পড়বে তৃণমূলে। প্রধান দল দু’টি জেলা, নগর, শহর ও থানা-উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করছে। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আওয়ামী লীগ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ‘কৌশলী’ হয়েই একটি ওয়ার্ম আপ ম্যাচ খেলবে। প্রথমত, হলো রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ‘সেক্রিফাইস’ করে হারের কৌশল নিয়ে দেশ-বিদেশে সবার কাছে দেখাতে পারে তারা জাতীয় নির্বাচনও এভাবে সুষ্ঠু হতে দিতে চায়। পরে যা হওয়া হবে। দ্বিতীয়ত, এসব ক’টি সিটি নির্বাচনকে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য এসিড টেস্ট হিসেবে ধরে নিয়ে ‘যেকোন প্রকারেই জেতার’ কৌশল গ্রহণ করতে পারে। যার অর্থ হলো সিটি হারলে তো জাতীয় নির্বাচনেও হারতে হবে। তাছাড়া আওয়ামী লীগ দলকে আরও গোছানো এবং প্রবল জনসমালোচনা কাটিয়ে উঠতে অন্তত নির্বাচনের আগে হলেও ছাত্রলীগের তাবৎ নেতিবাচক কর্মকান্ডের কারণে তাদেরকে বাগে আনার চেষ্টা করবে। তবে ছাত্রলীগ যতদূরে গেছে ফেরানো হতে পারে অসম্ভব।
অন্যদিকে বিএনপির নির্বাচনী গতিধারা প্রসঙ্গে ড. ইয়াহইয়া বলেছেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে যাবে। শুধু তাই নয়, সর্বোচ্চ নির্বাচনী কৌশল খুব সতর্কভাবে অনুসরণ করেই দলটি দলটি অগ্রসর হচ্ছে। চরম অবস্থানে যেতে চাইছে না। তারা হরতাল অবরোধ এসব কর্মসূচি দেবে না। যদি তাই করতো তাহলে সম্প্রতি রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন এবং দূর্গত মানুষের জন্য ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করতে যাবার পথে রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর উপর হামলার ঘটনায় হরতাল দিতে পারতো। এতে বরং বিএনপির লাভ হয়েছে। সারাদেশে ও বহির্বিশ্বে সহানুভূতি পেয়েছে। তিনি মনে করছেন, বেগম জিয়া লন্ডন সফর শেষে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের যে রূপরেখা দেবেন তাতে বিকল্প এক বা একাধিক অপশনও থাকতে পারে। নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য এসব বিষয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং নির্বাচন কমিশনের একটি সম্মত উপায়ে সমঝোতার পথে হাঁটলে তাই দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে। প্রশাসনকে দলীয়করণ করে ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন করা সঙ্গত হবে না, তা কারো জন্য মঙ্গলজনক হতে পারে না। তবে ‘আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রেখেই সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব’ মর্মে গত ১৬ জুলাই রোডম্যাপ ঘোষণাকালে সিইসির মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, আগে জানা উচিত ছিল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও অপরাপর দল-জোটগুলো কেমন সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে চায়। ইসি সেটা নিশ্চিত হওয়ার আগেই তা বলা মারাত্মক ভুল। তাছাড়া ইসির বিভিন্ন কর্মকান্ড দেখে আস্থাশীল হওয়া যাচ্ছে না; বরং যথেষ্ট সংশয়ের অবকাশ আছে। দেড় বছর আগে রোডম্যাপ দেয়া হলো ভালো কথা। তবে গ্রহণযোগ্য ‘ভাল’ নির্বাচন বলতে যা বোঝায় এরজন্য ভাল প্রস্তুতিও থাকা দরকার। তা তো দেখা যাচ্ছে না। যেমন- আগামী ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে ইসি মতবিনিময় সভা ডেকেছে। সেখানে অর্ধশতের প্রায় সবাই ঢাকাবাসী এবং সিংহভাগই এনজিরও সাথে সম্পৃক্ত। তাহলে সারাদেশের প্রতিনিধিত্ব হলো কেমন করে? ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেটসহ আরো অন্যত্র কী সুশীল সমাজের উপযুক্ত প্রতিনিধি নেই? আমার জানা মতে, ইউরোপে গিয়ে নির্বাচন পরিচালনায় অভিজ্ঞতা অর্জনকারী ব্যক্তিত্বও ঢাকার বাইরে আছেন। তিনি ইসির ভূমিকা আরও স্বচ্ছ, দায়িত্বশীতাপূর্ণ এবং পরিচ্ছন্ন করার উপর তাগিদ দেন।



 

Show all comments
  • Abul Manzur Chy ২০ জুলাই, ২০১৭, ৯:৩২ এএম says : 0
    EC must take impartial and constructive role to hold upcoming 11th MP election free, fair, acceptable. I have 100% support to Prof Dr. Yahyia Akhter's valuable opinions. Thanks Inqilab.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্টগ্রাম

৩০ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ